নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অভী জিবরান

পরে লিখবো।

অভী জিবরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাওনের "কৃষ্ণপক্ষ" এর বিশ্লেষণী রিভিউ !

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৫



শেষ কবে বাংলাদেশী সিনেমা দেখে এসে রিভিউ লিখেছি মনে নাই। মনে হয় আইচের জিরো ডিগ্রী। আজ দেখলাম হুমায়ূন আহমেদের রচিত মেহের আফরোজ শাওন পরিচালিত "কৃষ্ণপক্ষ"। বলাকা সিনেমাহল প্রায় ভর্তি। "ফাস্ট ডে ফাস্ট শো" - জীবনে পরথম। রিভিউটা বিশ্লেষণী যা যা ছিল মাথায় সব দিতে চেয়েছি বলে বড় হয়ে গেছে- দুঃখিত।

বেশ কদিন ধরেই মুভিটা নিয়ে লেখালেখি করছিলাম, আশার চেয়ে হতাশা ছিল পরিচালকের সিটে শাওনকে দেখে। তার সামাজিক ভাবমূর্তি এখানে প্রভাব বিস্তার করেছিল আমার মধ্যে আমি নিজেও টের পাচ্ছিলাম। যাই হোক, তবু মুভিটা নিয়ে পজিটিভ ভাইব পাচ্ছিলাম মূলত এর কাস্টিং দেখে। জ্যাজ মাল্টিমিডিয়ার কল্যাণেই হোক আর যাই হোক, প্রথমবারের মত বাণিজ্যিক ফিল্মে পটিয়সি মাহিয়া মাহিকে দেখা গেল "অরু" চরিত্রে। মারমার কাটকাট ন্যাকামোর জন্য কিছি মহলে সমালোচিত এই সুপারস্টারকে সিরিয়াস ফিল্মে গ্রহণ করতে পারছিলেন না অনেকেই। ব্যতিক্রম ছিলাম আমি। ট্রেলার দেখেই মাহির রূপসজ্জার সাথে প্রচণ্ড রূপবতী তরুণী চরিত্রের একটা মিল পাচ্ছিলাম, কে জানে হয়ত এতদিনে সে অনেক ইম্প্রুভ করেছে। সাহিত্যের অবলম্বন বলে কথা।

যাই হোক, এতসব জল্পনা কল্পনার পরেও পরিবার নিয়ে দেখার মত একটা মুভি হবে ভেবেই দেখতে গেলাম।



আশা করি, সবাই উপন্যাসটা পড়েছেন। আমি একাধিকবার পড়েছি, তবে বেশ আগে। বিশেষ করে ওপেনিং দৃশ্যটা তখনও ব্রেইনে তরতাজা। তবে ফিল্মে রুপায়ন ভিন্ন হবে এটাই স্বাভাবিক। হলও তাই। Here is My Review -



কৃষ্ণপক্ষের নায়ক নায়িকা মুহিব-অরু হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুই চরিত্র ছিল মুহিবের বড় বোন এবং দুলাভাই। ফিল্মের ওপেনিং সিন হিসেবে শাওন বেছে নিলেন মুহিবের ছোট বেলাকে। বড় বোনের বিয়ে, বিবাহের রাতের ঘটনা। মানে শুরুতেই শক্তিমান অভিনেতা আমার পছন্দের অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম। এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই শাওন, সাবাস!

একটা ফিল্মের কাস্টিং এবং অভিনয় শক্তিশালী হলে অনেক দিক দিয়েই সেটা যে পার পেয়ে যায় তার জলন্ত উদাহরণ শাওনের কৃষ্ণপক্ষ। ছোট থেকে ছোট চরিত্রে বেছে নেয়া হয়েছে সব পরীক্ষিত অভিনেতাদের। সাক্ষাৎকারেই শাওন বলেছিলেন হুমায়ূন আহমেদের নাটক আর চলচ্চিত্রের সাথে বিভিন্ন সময়ে জড়িত অনেকেই যেকোনো ভাবে এই ফিল্মের সাথে যুক্ত থাকতে চেয়েছেন। এরপরও কিছু সারপ্রাইজ ছিল। এমন কজনকে দেখলাম যাদের টিভি নাটকেই এখন আর তেমন দেখা যায়না। তাই বেশীরভাগ বাংলা সিনেমায় এই কমন সমস্যাটা এখানে ছিলনা। তবু চিত্রনাট্যে কিছু “ফ্ল” ছিল। পরে বলছি।



কৃষ্ণপক্ষে এমন একটা পারফর্মেন্স আছে যা স্মরণকালে বাংলা নাটক সিনেমা সব মিলিয়ে শেষ কবে দেখেছি মনে করতে পারবোনা। একার্থে তার স্ক্রিন টাইম মূল চরিত্রের চেয়েও ছিল অনেক বেশি। বিশেষ করে মুভির দ্বিতীয়ার্ধে... ফাটায় ফেলছে!!! এই মুভির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার তারই প্রাপ্য। তিনি হচ্ছেন মুহিবের বোনের চরিত্রে – তানিয়া আহমেদ। এই অভিনেত্রী মনে হয় এতদিনে সেরকম একটা রোল পেলেন বড় পর্দায়। আজাদ আবুল কালামের সাথে তার রসায়ন আর দৃশ্যগুলা ছিল আমার দেখা বাংলা সিনেমার ইতিহাসে সেরা কিছু মুহূর্ত।





এতদিন বাংলা সিনেমায় অভিনয় থাকলে, থাকত না ভালো পান্ডুলিপি। পান্ডুলিপি ভালো হলে আবার সংলাপ বলায় বস্তুত অভিনয়ে থাকত বিশাল সমস্যা। কৃষ্ণপক্ষে আজাদ আবুল কালাম আর তানিয়া আহমেদ এই দু’জায়গাতেই ছিলেন দুর্দান্ত!! সত্যি বলছি। ম্যাথোডিকাল এক্টর হিসেবে পরিচিত এই ভদ্রলোককে বড় পর্দায় কেন এতদিনেও সেভাবে ব্যবহার করা হয়নি আল্লাহ্‌ মালুম। ছোট পর্দায় আজীবনও সে বস, মঞ্চ খেয়ে আসা বলে কথা।

হুমায়ূন আহমেদের অসাধারণ সংলাপগুলার জন্য এধরণের অভিনেতারাই যেন মিসিং ছিল শেষ অনেকগুলা ফিল্মে। থ্যাঙ্কস টু শাওন কৃষ্ণপক্ষ আবারও প্রমাণ করলো, যতই ভালো সিনেমাটোগ্রাফি আর সাজসজ্জা থাকুক... ভালো অভিনেতার বিকল্প নাই।

এবার আসি ছবির তথাকথিত নায়ক নায়িকা মানে রিয়াজ আর মাহির প্রসঙ্গে। মাহি...
যা সন্দেহ করেছিলাম তাই হয়েছে... অরু চরিত্রটা ভালোভাবেই আত্মস্ত করেছিলেন মাহিয়া মাহি...



তার চিরাচরিত উচ্ছলতা বজায় থাকলেও সংলাপ বলা দেখে আমি প্রায় অভিভূত। জানিনা এটা প্রত্যাশা জিরো থাকায় হয়েছে কিনা। তবে এতটুকু মনে হয়েছে তিনি উপন্যাসের লাইনগুলা নিজের মত করে বলার চেষ্টা করেছেন যেন উপন্যাসের অরুকেই দেখতে পেয়েছি আমি। চরিত্র যেমনই হোক, কন্সিস্টেন্সি বজায় রাখতে পারলে চরিত্র উঠে আসবেই। যেটা মাহি মোটামুটি ভালোই পেরেছেন বলতে পারি।



তার ছিপছিপে দেহায়বে রূপসজ্জা কখনওই বেশি বেশি মনে হয়নি যা অভিনয় থেকে মন সরিয়ে নিতে পারে। শুধুমাত্র তার সংলাপের টোন বাকিদের চেয়ে একটু অস্পষ্ট ছিল, সাধারণত আমাদের সিনেমায় অভিনেতাদের স্বাভাবিকের চেয়ে একটু জোরে কথা বলতে শুনি, সেই তুলনায় আর কি। ডাবিং এ আরেকটু কাজ করলেই এটা দূর হয়ে যেত।



অরুর বোনের চরিত্রটি ছোট হলেও মৌটুসি তার সুঅভিনয় দিয়ে ইন্টারেস্টিং করে তুলেছেন।

ফেরদৌস আর ওয়াহিদা মল্লিক জলি সেভাবে সুযোগ পাননি। এরপরে বলতে হয় মুহিবের বন্ধু চরিত্রে আরমানের কথা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় কমেডিয়ান হুমায়ূন আহমেদের ফিল্মে মনে হয় প্রথম সুযোগ পেলেন। এবং ভালো করলেন। তার বাচাল বউ এর চরিত্রটা মনে আছে? ঐযে মুহিব অরু বিয়ের পর ওদের বাসায় উঠলে মহিলার বকবক আর রসিকতার চোটে অরুর যে মাথা ধরে যায়? অভিনেত্রীটাকে চিনতে না পারলেও সেও যে মঞ্চের মানুষ বুঝতে কষ্ট হয়নি।



এমনকি উপন্যাসের প্রথম দ্রিশ্য যখন ফিল্মে আসে, সেই রিকশাওয়ালার অভিনয়ও চরম লাগসে।
মাহি খুব স্মারটলি ডায়লগ থ্রো করেছেন।

অভিনয় গেল, পরিচালনা কেমন ছিল? প্রথমেই সিনেমাটোগ্রাফিতে ভিন্নতা চোখে পড়ল। কোন কথোপকথন দৃশ্যে সাধারণত চরিত্রদের সোলো ফ্রেমে রেখে সম্পাদনা করা হয়। এখানে দেখলাম স্থির লং শটের প্রাধান্য বেশি।



মনে আছে পিঁপড়াবিদ্যায় মোস্তফা সরোয়ার ফারুকির বিচিত্র নিরীক্ষা কতটা বিরক্তি উৎপাদন করেছিল? এখানে ততটাই শান্তি পেয়েছি। পরিচালনার আসনে শাওন যেন পরিবেশের মাধ্যমে চরিত্রকে ধরতে চেয়েছেন।

আবহ সঙ্গীতে ইমন সাহা ক্লাইম্যাক্স ছাড়া বাকি সময়ে প্রায়ই টিপিকাল শব্দ ব্যবহার করে আবহ নষ্ট করেছেন। এখানে মনপুরার অর্ণবকে মিস করেছি ভালোভাবেই। মনপুরার মত কৃষ্ণপক্ষও তো নিখাদ ভালোবাসার গল্প, কোন কমেডি না, সিরিয়াস কিসিমের ড্রামা। সিনেমা হলে অনেকেই হয়ত অনন্ত জলিল বা হুমায়ূন আহমেদের আগের অপেক্ষাকৃত কম সিরিয়াস ফিল্মের মত কিছুর প্রত্তাশায় গিয়েছিলেন। তাইতো দ্বিতীয়ার্ধের টেনশান আর লম্বা কথোপকথনে মন বসানোর চেষ্টাও করেননি। শেষ হওয়ার অপেক্ষায় নিজেদের মধ্যে হাসি তামাশায় মগ্ন ছিলেন।

এমনিতেই বলাকার সাউন্ড সিস্টেমে বেশ কয়েকবার সমস্যা করছিল, তারপর আবার সিরিয়াস মুহূর্তে গল্পগুজব মেজাজ খারাপ করে দিচ্ছিল।

রিভিউ পড়ে বুঝতেই পারছেন শাওন তার প্রথম পরিচালিত ফিল্মটি যথেষ্ট সিরিয়াসলি বানিয়েছেন, যত্নের ছোঁয়া ছিল, আবেগ ছিল।



একজন মহিলা পরিচালক যে হুমায়ূন আহমেদের বহুদিনের সাথী হয়ে তাকে যেভাবে ভালোবেসে অকালে হারিয়েছেন, তা মুভির শেষ দৃশ্যে ভালোভাবেই বুঝা গেছে। তৎক্ষণাৎ বুঝতে পেরেছি প্রিয় লেখকের প্রতি স্বামীর প্রতি উৎসর্গ করে কৃষ্ণপক্ষকে বেছে নেয়ার কারণ।



তবে মানতে পারিনি হলুদ পাঞ্জাবী পোড়ানোর দৃশ্যটা ফিল্ম থেকে বাদ দেয়াকে। যতটুকু জানি উপন্যাসের শেষের ঐ দৃশ্যটা মহা significant ছিল এর ভক্তদের জন্য। কি চিন্তা করে বাদ দিলেন বুঝলাম না। এই একটাই আফসোস পুরা ফিল্মে।

আর দুঃখিত সুপারস্টার রিয়াজের অভিনয় বিরক্ত করেছে আমাকে। আমি জানিনা ছোট পর্দায় এত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন সুঅভিনেতা রিয়াজ বড় পর্দায় এগুলা কি অভিনয় করে।



মুহিবের চরিত্র অনেকটাই “হিমু”র চরিত্র এবং এখানে মিনিমাম একটা ব্যক্তি সত্তা তইরি করতে হয় অভিনয় দিয়ে। তা না করে তিনি তার সভাবসুলভ অভার কনফিডেন্স বাচনভঙ্গি, চলনভঙ্গি চালিয়ে গেলেন। কেউ কি তাকে বলেনি তার সংলাপ বলা, চলনবলন তার ব্যক্তিত্ব নষ্ট করছে? অভিনয়ের তো নিয়ম আছে, সংলাপ বলার টাইমিং আছে। চোখে লেগেছে বেশি কেননা কো-এক্টর হিসেবে বেশীরভাগ সময় ছিল দুর্দান্ত আজাদ আবুল কালাম আর তানিয়া আহমেদ। আমি নিজেও রিয়াজকে নাটকে পছন্দ করে এসেছি।

মুভিটি আরও জমজমাট হত, যদি কিছু দৃশ্যকে আরও ভালো ফিল্মের জন্য অ্যাডাপ্ট করা যেত। যেমন মুহিব আর অরুর মাঝে আরও দু একটা দৃশ্য থাকলে তাদের প্রেমটা ভালমত প্রতিষ্ঠিত হত। উপন্যাসে সব থাকেনা। মুভিতে এগুলা থাকতে হয়। নাইলে ফাঁক থেকেই যায়। যতটা শক্তিশালীভাবে মুহিবের সাথে তার বোন আর দুলাভাইর সম্পর্কটা উঠে এসেছে ততটা অরু-মুহিবেরটা লাগেনি। মাহির সাথে রসায়নটা সেভাবে জমেনি।



তাইতো আনমনেই ছোট পর্দার আফরান নিশোদের মত তরুণদের মিস করছিলাম সে জায়গায়। এছাড়াও তাদের বিচ্ছেদটা আরেকটু গাড় করতে আরো কিছু টুকটাক দ্রিশ্য থাকতে পারত।যেমন... রিয়াজ যাবার সময় মাহি তাকে অপেখা করতে বলা, দরজা ধরে দারিয়ে থাকা, চোখ ছলছল... প্রেমে যেমন দেখানো হয় আর কি... প্রেমটা আরেকটু গভীরভাবে ফুটে উঠতে পারত তাতে।

এছাড়া মুভিতে সময়কালটা আরও ভালোমতো ধরা উচিত ছিল। আমার ঠিক মনে নেই কৃষ্ণপক্ষ যখন লেখা হয়েছিল তখন মোবাইল ছিল কিনা। তবে মুভিতে মোবাইল থাকা শত্তেও লম্বা সময় ধরে অরুর মুহিবের সাথে যোগাযোগের কেন চেষ্টা করবেনা সেটা পরিষ্কার হয়নি।

আর “ফ্ল” বলতে গেলে মুভির একমাত্র গান দুইটার সেতুবন্ধন হয়নাই, এটা আসলে ফ্লও না। বাংলা সিনেমায় সম্পাদনা বলে কিছু থাকেনা কখনওই। তাই বাদই দেই। অথচ একটা ফিল্মের সার্বিক গাঁথুনির জন্য সম্পাদনা একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাস্পাতালের ডাক্তারদের হন্তদন্ত চলাফেরাটা খানিকটা হাস্যকর হয়েছে, মনে হচ্ছিল ডাক্তার না, যেন একদল আরমি। দুরঘটনার আগের ট্রাকের সাথে রাস্তায় দ্রিশ্যধারন ভাল ছিল। কিন্তু দুরঘটনার দ্রিশ্যটায় সম্পাদনা ছিল একেবারে সাধারন মানের। সহজেই আরেকটু রিয়েল করা যেত। প্রচুর সিনেমায় এসব দ্রিশ্য হয়। পরে লোকজন দুপাশে জড় হয়ে আছে, এক্ষেত্রে রাস্তা ব্লক হয়ে যাওয়ার কথা, তা না হয়ে গাড়ি থামছে না, পিচ্চি মেয়েটার একা থামানোর চেস্টাটা বেশি লেইম হয়ে গেছে। দরকার ছিল না। ইমোশান এম্নিতেই তুঙ্গে।দুরঘটনায় রিয়াজের মেকাপও ভাল হয়নি।হাস্পাতালে তার মুখ দিয়ে বের হওয়া শব্দও হাস্যকর ছিল। এক্ষেত্রে সামান্য কমন সেন্স ব্যবহার করলেই আরো বাস্তব করা যেত। এগুলা ম্যাটার করে।





গানগুলার করিয়োগ্রাফি ভালো। বৃষ্টিতে ভিজাভিজির গান দেখে যেরকম হবে ভেবেছিলাম, তা হয়নি। ভিজা শরীরে লাগা শাড়িতে যেকোনো সিনেমাতেই নায়িকার শারীরিক আবেদনময়তা ঠিকরে বেড়িয়ে আসতে চায়। তবে এখানে সেটা দারুণ নিপুনভাবে শাওন এড়িয়ে গেছেন। দ্বিতীয় গানটার আইডিয়াটাও ভালো ছিল। মুভিতে ২টাই গান আর শেষে পূর্বব্যবহৃত গান “এক বর্ষায়”...

দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরাটা সময়ে চোখ বেয়ে পানি পড়েছে। নস্টালজিয়ায়... আর কিছু না।



সব মিলিয়ে প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে শাওন সারপ্রাইজই করলো। আরও বিশ্লেষণী হলে আরও কিভাবে ভালো করা যায় বলতে পারতাম। থাক। শুধু এটা জানি কিছু টুকটাক ব্যাপার শুধরালে এটাও মনপুরার মত কিছু হতে পারত। তবে শাওন হুমায়ুন আহমেদের স্টাইলের বাইরে নিজের স্টাইলটা রেখেছেন এটা মেন্টেইন করলে সামনে তার কাছে এরকম ভাল কাজ আর প্রত্যাশা করা যায়।

আমার গ্রেডিংঃ বি

মুভিটি নিয়ে শাওন, রিয়াজের সাক্ষাৎকার পর্বের ভিডিও দেখুন -

পর্ব ২ঃ কৃষ্ণপক্ষঃ পর্ব ২


পর্ব ১ঃ কৃষ্ণপক্ষ (পর্ব ১) - রিয়াজ শাওন



ফোটোগরাফি: নাহিন ইরফান।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০০

পুলহ বলেছেন: বেশ বিস্তারিত এবং সূক্ষ্ম বিশ্লেষণই করেছেন মনে হোল, সৎ বিশ্লেষণও বটে :)
বইটা তো অবশ্যই পড়েছি, সিনামা এখনো দেখা হয় নি।
আপনার রিভিউ ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ!
শুভকামনা জানবেন :)

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০১

মহা সমন্বয় বলেছেন: দেখতে হবে কোন একদিন।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪১

ঝাপসা বালক বলেছেন: ভাল লাগলো ।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২২

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: পড়লাম পুরা। ফিল্মটা দেখার ইচ্ছা আছে।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শাওনের প্রথম সিনেমা তো! পরবর্তীতে ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে অাশা করি ।

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৩

বিজন রয় বলেছেন: ভাল বিশ্লেষণ।
++++

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই ধরনের একটা চমৎকার রিভিউ কয়টা মুভির ভাগ্যে জোটে? আমি মুভিটি দেখার ব্যাপারে আগ্রহবোধ করছি। পোস্টে প্লাস।

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব সুন্দর ও বিস্তারিত রিভিউ। শাওনের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি নিয়ে আগ্রহ নেই। রিভিউ পড়ে আশা জাগলো নিয়মিত থাকলে আমরা একজন ভালো পরিচালক পেতে যাচ্ছি ।

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২

প্রামানিক বলেছেন: ফিল্মটা দেখার ইচ্ছা রইল।

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

হামিদ আহসান বলেছেন: দেখব ফিল্মটা ........
রিভিউএর জন্য ধন্যবাদ

১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

ইয়েলো বলেছেন: ভাল রিভিউ দিয়েছেন। ইউটিউবে পাব মুভিটা?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

অভী জিবরান বলেছেন: ্না

১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাল রিভিউ :)

১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৫

বৃতি বলেছেন: ডিটেইল্ড রিভিউ। বেশ ভালো লেগেছে :)

১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

১৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

নাজরুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেছেন: আপনার লেখাগুলো বিশ্লেষন ধর্মী। খুব ভাল লাগলো পড়ে, ধন্যবাদ আপনাকে

১৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লেগেছে রিভিউ। দেখা হবে কিনা জানি না। আজাদ আবুল কালাম, তানিয়া আহমেদ, মৌটুসি উনাদের অভিনয়ের সাবলীলতা আছে কিন্তু রিয়াজের ক্ষেত্রে শুরু থেকেই আমার কানে লাগতো উনার ডায়ালগ বলার জড়তা যেটা এখনো উনি কাটিয়ে উঠতে পারেন নি এমন মনে হয়। ফ্লেক্সিবল না উনার ডায়ালগ।

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর রিভিউয়ের জন্য।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

অভী জিবরান বলেছেন: খুব কম মানুষই বুঝে ব্যাপারটা রিয়াজের। আমি অবাক হয়ে যাই।

১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার রিভিউ ।

মুভিটা দেখতে যাবো ভাবছি :)

১৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
awesome review

১৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

পারভেজ রানা বলেছেন: ধন্যবাদ

২০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০২

অন্ধ জনা বলেছেন: যখন রিভিউ পড়ে মনে হয়, "ছবিটা দেখা উচিত" নতুবা "এই ছবি দেখে সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না" তখন বুঝতে হবে রিভিউ ভাল হয়েছে।আমার ছবিটা দেখতে ইচ্ছে করছে। রিভিউ এর জন্য ধন্যবাদ।।

২১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

অভী জিবরান বলেছেন: রিভিউতে একটা তথ্য ভুল আছে। স্বয়ং তানিয়া আহমেদ ঠিক করে দিল, আবহ সংগীত দিয়েছেন ইমন সাহা। এস আই টুটুল নয়।

২২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অবাক হন কেন?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৮

অভী জিবরান বলেছেন: অবাক হই কারন বেশিরভাগ মানুশই এটা বোঝেনা. পাগল ভাবে যখন আমি বলি রিয়াজের ওভিনোয় হোয়না।

২৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হাহাহা! জ্ঞানি গুণীরা যেহেতু রিয়াজকে কোনো চরিত্রে কাস্ট করেন,সেহেতু পাগল বলবেই। ব্যাপার না! তবে আপনার রিভিউ ভালো লেগেছে।
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ

২৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৪

অপূর্ব আহমেদ জুয়েল বলেছেন: খুব ভাল রিভিউ লেখছেন । সিনেমা যাবো দেখতে মুভিটা! আপনার রিভিউ পড়ে আগ্রহ বাড়লো । ধন্যবাদ

২৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৫

রাফা বলেছেন: এ+ বা এ ও না /বি মার্কিং করলেন তারমানে সাধারন মানের হয়েছে ছবিটা।মুহিবের চরিত্রটার সিলেকশন অবশ্যই ভালো হয় নাই।যদিও ছবিটা আমি না দেখেই বলছি।রিয়াজের নাটক আর ছবি যাই বলুন ২/১টা ব্যাতিক্রম ছাড়া তেমন উচ্চমানের অভিনয় নেই।
একমাত্র হুমায়ুন আহম্মেদের নির্মান কুশলতার জন্যই রিয়াজ শাওনের সাথে উৎরে যেতেন।

বাকি কাস্টিং অবশ্যই ভালো মনে হোচ্ছে আমার।মাহির ভেতরে অভিনয় ব্যাপারটা আছে।কিন্তু আমাদের ভালো মানের নির্মাতা ও গল্পকারই আসলে নেই ।আর ট্যাকনিকেল দিকে আমরা এডুকেটেড নই /অভিজ্ঞতা দিয়েই চালিয়ে দিতে চাই।তাই সম্পাদনা ও আবহ সংগীতে আমাদের ছবি অনেক পিছিয়ে থাকে।কিছু ফর্মূলার বাইরে আর তেমন কোন কিছুই চোখে পড়েনা এই দু'টো ব্যাপারে।অথচ স্ক্রিনপ্লে হোচ্ছে একটি ছবির প্রাণ।ছবির গতি নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে সব কিছুই বিফল আসলে।

জানিনা ছবিটি কবে দেখতে পাবো।আপনার রিভিউ মোটামুটি ভালোই হয়েছে -কারন আপনি পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ,অভী জিবরান।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২১

অভী জিবরান বলেছেন: বি দিয়েছি কারণ এতদিন যা দেখেছি সেগুলা সি মাইনাস পাওয়ারও যোগ্য না। তার মানে ভালো উন্নতি ধরে নেন। তবে মনপুরাকে এ দেয়া পাবলিক আমি। পিঁপড়া বিদ্যা ছিল সি প্লাস আর টেলিভিশন বি মাইনাস। দেখেন শাওন গ্রাউন্ড ব্রেকিং কিছু করে নাই। ও শুধু বাণিজ্যিক ধারা বলে শস্তামি করেনাই। দিতিয়ভাগে সে সম্মানটা দিতে পেরেছে উপন্যাসকে যদিও আমি নিশ্চিত জাজের চাপে এন্ডিং পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে যে কারণে পাঞ্জাবি পুড়ানোর ঘটনাটা নাই বলে মন খারাপ করেছি। সেভাবে এন্দিং করলে সেটা হত সত্যিকারের সাহসী।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৩

অভী জিবরান বলেছেন: অভিনয়ের ভক্ত হলে আর কৃষ্ণপক্ষের ফ্যান হলে শুধু তানিয়া-আজাদ আবুল কালামের অভিনয়ের জন্যই মুভিটা দেখতে পারেন। এমন অভিনয় বাংলা সিনেমায় বেশী দেখবেন না। এটা নিশ্চিত। পসিবল শুধু যখন ভালো পান্দুলিপি আর অভিনেতা এক সাথে হয়।

২৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

আলম হোসেন সিইক বলেছেন: ভাই চরম লিখছেন !

২৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫১

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: দেখার ইচ্ছে আছে

২৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৬

আবু শাকিল বলেছেন: যেভাবে রিভিউ লিখছেন - না দেখে কি থাকা যায়।আজকাল ভাল ভাল সিনেমার চুরি ডাকাতি কম হয়।অপেক্ষায় বসে না থেকে হলে গিয়ে মুভিটা দেখার ইচ্ছে রইল :)

২৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

চমৎকার একটা রিভিউ।

প্রথম পরিচালনা দুএকটা ভূল থাকবেই। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে আশা করি।

৩০| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধূরী বলেছেন: বুঝা গেলো আপনি ছবিটাকে ভালোভাবেই পর্যবেক্ষণ করেছেন। আমার কাছেও ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটা বিভিন্ন জায়গায় পারপেক্ট মনে হয়নি। ডায়লগের সাথে মিউজিকের উঠা নামা বা সিন্ক্রোনাইজটা কম ছিল। তবে ছয়দিন স্যূটিং স্পটে উপস্থিত থেকে দেখেছি নতুন পরিচালক হিসাবে ছবিটাকে ভালো করার জন্য শাওনের আপ্রাণ চেষ্টা ও আন্তরিকতা। উল্ল্যেখ্য, আমার মেয়ে লাবণ্য "কৃষ্ণপক্ষ" চলচ্চিত্রে "সারা" / "প্রিয়দর্শিনী" চরিত্রটা রুপদান করেন। স্যুটিং এর একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করি। একরাতে কমলাপুর রেলওয়ে হাসপাতালে স্যুটিং চলাকালে লাবণ্যের পূর্বের সিনে ব্যবহৃত একটি হাতঘড়ি ভুলে বাসা থেকে নেওয়া হয়নি। ফলে আমি একই রং এর একটি হ্যান্ড ব্যান্ড লাবণ্যের হাতে পরিয়ে দিই। কিন্তু শটে ক্যামরায় চোখ রেখে পরিচালক শাওন ঠিকেই বিষয়টি ধরে ফেলেন। এরপর তিনি ঐ একই প্রপস/ঘড়িটা বাসা থেকে আনার অনুরোধ করেন। ফলে অতরাতে আমার শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে সেই একই "প্রপস" নিয়ে যেতে হয় এবং পরে স্যুটিং আরম্ভ করেন তিনিবুঝা গেলো আপনি ছবিটাকে ভালোভাবেই পর্যবেক্ষণ করেছেন। আমার কাছেও ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটা বিভিন্ন জায়গায় পারপেক্ট মনে হয়নি। ডায়লগের সাথে মিউজিকের উঠা নামা বা সিন্ক্রোনাইজটা কম ছিল। তবে ছয়দিন স্যূটিং স্পটে উপস্থিত থেকে দেখেছি নতুন পরিচালক হিসাবে ছবিটাকে ভালো করার জন্য শাওনের আপ্রাণ চেষ্টা ও আন্তরিকতা। উল্ল্যেখ্য, আমার মেয়ে লাবণ্য "কৃষ্ণপক্ষ" চলচ্চিত্রে "সারা" / "প্রিয়দর্শিনী" চরিত্রটা রুপদান করেন। । স্যুটিং এর একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করি। একরাতে কমলাপুর রেলওয়ে হাসপাতালে স্যুটিং চলাকালে লাবণ্যের পূর্বের সিনে ব্যবহৃত একটি হাতঘড়ি ভুলে বাসা থেকে নেওয়া হয়নি। ফলে আমি একই রং এর একটি হ্যান্ড ব্যান্ড লাবণ্যের হাতে পরিয়ে দিই। কিন্তু শটে ক্যামরায় চোখ রেখে পরিচালক শাওন ঠিকেই বিষয়টি ধরে ফেলেন। এরপর তিনি ঐ একই প্রপস/ঘড়িটা বাসা থেকে আনার অনুরোধ করেন। ফলে অতরাতে আমার শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে সেই একই "প্রপস" নিয়ে যেতে হয় এবং পরে স্যুটিং আরম্ভ করেন তিনি। তাই বলতে দ্বিধা নেই চলচ্চিত্রের প্রথম পরিচালক হিসাবে "কৃষ্ণপক্ষ" ছবিটা ভালো করার জন্য শাওনের আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল। পরিচালক শাওনের জন্য অনেক শুভ কামনা থাকলো। তাই বলতে দ্বিধা নেই চলচ্চিত্রের প্রথম পরিচালক হিসাবে "কৃষ্ণপক্ষ" ছবিটা ভালো করার জন্য শাওনের আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল। পরিচালক শাওনের জন্য অনেক শুভ কামনা থাকলো।

৩১| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:০২

কালনী নদী বলেছেন: লাবন্য নামের সারার প্রতি রইলো শোভ কামরা। আর লেখকের লিখনীতে সততা যেন সুন্দর্যের রুপ নিল যদিও ছবিটা এখন দেখতেই হবে।

৩২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মবিনহোসেন বলেছেন: খুবই চমৎকার রিভিউ। পড়েও শান্তি লাগলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.