![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.
ব্যক্তিগত জীবনের সুদীর্ঘ ষোলটি বছর আকাঠ নিরবিচ্ছিন্নতায় এবং অল্প বিস্তরের বিচ্ছিন্নতায় আরো চারটি বছর প্রত্যন্ত একটি গ্রামের আলো,বাতাস,মাটি,মানুষ এবং মানুষের প্রকৃতির সংস্পর্শে থেকে বেড়ে ওঠার এক বিরাট সৌভাগ্য এবং সুবিধার্তে বেশিরভাগ সময়ই খুব কাছে থেকে,কখনো কখনো দৃষ্টিসীমার দূর থেকেও প্রত্যক্ষ করেছি পল্লীর পরম রাখালী,অত্যধিক সরলা,অপ্রবল বুদ্ধিমতী,একনিষ্ঠ পরিশ্রমী এবং ঘোর সংসারী মেয়েগুলোর অতিরিক্ত আবেগ জর্জরিত নানা নিন্দনীয় ঘটনা।
.
নিঁখুত সত্যতাও খুঁজে পেয়েছি অল্প সময়ে দ্রুত পরিসরে দুষ্কৃত লোকদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া মেয়েঘটিত নিন্দনীয় ঘটনাগুলো।।
.
চোখে দেখা এবং লোকমুখে শোনা এসব নিন্দনীয় ঘটনার কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকা মেয়েগুলো মাত্রই বয়ঃসন্ধির ঘরে ঢুকে পড়েছে, তারা একদিন নারী হয়ে উঠবে।বয়ঃসন্ধির জ্বালা যন্ত্রনার গভীরে ঢুকবার প্রস্তুতি নেবার পূর্বেই তারা পৌঁছে যেতে চায় যৌবনের গভীরতম গভীরে।।
.
অতিরিক্ত ক্ষতিকর আবেগীয় তাড়নায় এরা অপর্যাপ্ত বয়সেই প্রেমে নিমজ্জিত হতে থাকে,এদের অধিকাংশই কিনার হিসেবে খুঁজে পায় খুব অল্প দুরত্বে অপেক্ষা করতে থাকা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সংকীর্ণ দুয়ার।।
.
বিয়ে,প্রেম,যৌনতা এগুলো নারীদের সংবেদিত স্বীকার্য তবে সেজন্য পর্যাপ্ত বয়সের প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষনের মাধ্যমে পরিষ্কার করছে বহু উপরে উন্নীত হওয়া এ সময়ের বিজ্ঞান।।
.
এরা পুরুষদের দৃষ্টিগোচরের ভয়ে বক্ষবন্ধনী লুকিয়ে লুকিয়ে শুকানোর বিষয়ে যতটা সচেতন, তার থেকেও অনেক বেশি উৎসাহী বক্ষবন্ধনী প্রিয়তম প্রেমিকের আঙ্গুলের ছোঁয়ায় খুলবার জন্য।একবিংশ শতাব্দীর এই আশীর্বাদপুষ্ট ইলেক্ট্রো-মিডিয়া-ইন্টারনেটের অত্যাধুনিক যুগে ব্যাপক বিস্তরতা ছড়াচ্ছ এই নিন্দনীয় ঘটনাগুলোর।।
.
প্রবল উৎসাহ,গভীর উচ্ছ্বাস এবং পর্যাপ্ত বিশ্বাস নিয়ে পল্লীর আবেগপরায়ণ রাখালীরা স্থানীয় প্রেমিকের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর পর অনুশোচনায় ফোলাতে থাকে ফুসফুস। তাদের বিশ্বাসগুলো কখনো কখনো জমা হয়ে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়তে থাকে মোবাইলে,ইন্টারনেটে এবং বাজারের ব্যবসায়িক কম্পিউটারে।নিজেদের এমন কুকর্মের জন্য তাদের পরিবারের সম্মান হেলে পড়ে যায় মাটির দিকে।।
.
এমন দু-একজন অতিরিক্ত আবেগপরায়ণ মেয়েকেও দেখার পরম সৌভাগ্য হয়েছে যে মেয়েটা প্রেমিক হারানোর দুঃখ-হতাশা-ক্ষোভে বিষ গিলে শুয়ে এসেছে হসপিটালের বিছানাতেও,সেও দশদিন পেরোতে না পেরোতেও অন্য প্রেমিকের হাত শক্তমুঠোয় ধরে পালিয়ে পাড়ি দিয়েছে বহুপথ।অল্প ধৈর্যের এবং কম শক্তির মেয়েগুলো অবশ্য এ থেকে কোন শিক্ষাই নিতে পারবে না।
.
পারিবারিক আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজেকে শুদ্ধতম মেয়ে ভেবে অতিরিক্ত আবেগকে পরাজিত করা মেয়ের সংখ্যাও কম নয়।এরা বহুল নন্দিত,বন্দিত এবং এরাই আদর্শ নারীর প্রতিক হয়ে উঠবে একদিন।।
©somewhere in net ltd.