![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেহটা ট্রলিতে। ট্রলিটা বারান্দায়।
দেহের রক্ত অনুপ্রবেশ করছে ট্রলিটার প্রদেশে।ট্রলিটার দুপাশে
কাঁদছেন দুজন মানুষ।চিকিৎসক ফিরিয়ে নিলেন মুখ।
টিপিক্যাল গল্পটার নেপথ্যে- যৌতুক।।
আজকাল অনুধাবনে স্পষ্ট হচ্ছে পত্রপত্রিকার কমপক্ষে একটি পাতাজুড়ে ছড়িয়ে থাকে যৌতুকের ভয়াবহতা।ঝুমা আক্তার,রুমা খাতুন,নিতু বেগম, হাফিজা বেগমসহ প্রতিমাসে কমপক্ষে শতাধিক নারী এবং শিশু ভাগ্যের ঘৃণাচক্রে উদাহরন হয়ে থাকেন যৌতুকের ভয়াবহতার।আর ওদিকে সোহাগ,সাইফুল শেখ,শিপনসহ তাদের শ্রেণীর পুরুষরা তৈরী করে ফেলেন আইনের ছেঁড়া জাল থেকে বেরিয়ে পড়া ক্ষমতাধরের দৃষ্টান্ত।।
না,এরকম পুরুষদের বিরুদ্ধে কিংবা ত্রিশ পেরোনোর পূর্বে পৃথিবী ত্যাগ করা এমন নারীর জন্য বাংলাদেশের মানুষ ফুঁসে ওঠে না।তাদের টাইমলাইন জুড়ে রিদ্মিক কী-বোর্ডের বর্ণ আর ফেসবুকের ইমোগুলো বিদ্রোহ করে না।তাদের ঘৃণা প্রকাশ পায় না দীর্ঘ-দীর্ঘকাল ধরে অত্যাচারী থেকে হত্যাকারী হওয়া সেই সব পাষন্ড স্বামীদের প্রতি।।
সম্ভাব্য কারন এটা হতে পারে যে সেগুলো সব ইনডোর গেম হওয়ায় শত শত তরুন তরুনী ওৎ পেতে থাকে না ভিডিও করবার জন্য।কেউ কাউকে নিষেধ বা উৎসাহিতও করে না ভিডিও করতে বা বন্ধ করতে।"ও মাই গড" বলে অন্তত একটা আশ্চর্যসূচক বাক্য উচ্চারন করে দৌড় দেবার কেউ থাকে না।ম্যাচ শেষে এক পক্ষেই ক্ষমতার দাপটের সাথে খেলে যাওয়া লোকটিকে গনপিটুনি দেবারও কোন পাবলিক থাকে না।সেটার গণভিডিও করে ইউটিউবকেও "কিলার হ্যাড বিটেন" নামের ভিডিওতে সমৃদ্ধ করা হয় না।যৌতুকের দায়ে হত্যা করা নারীর দূর্ভাগ্য হয়তো এটাই।। যতই হোক অভিশপ্ত তো।। খোটা খেয়ে খেয়ে বেড়ে ওঠা জীবনের আর মূল্য কতটুকু!!!!
যৌতুকের দায়ে হত্যাকান্ডের সুবিচারের এমন অসহায়ত্ব দেখে খাদিজা আক্তার নার্গিসের ভিডিওটার গুরুত্ব এবং ফজীলত বুঝতে পারছি ঠিকমত।।যারা সামনে থেকে এমন একটি ভিডিও করার সাহস দেখিয়েছেন তারা যুগের পর যুগ বাংলার জনমানুষের হৃদয় এবং ইতিহাসে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।।
©somewhere in net ltd.