![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট্ট একটা ঘর।ঘরের ডানে ঘর,বামে ঘর এবং পিছনেও ঘর।তাই ঘরে জানালা রেখে আন্তঃঘরের যোগাযোগ ব্যবস্থা এ সরকারের মত উন্নতমানের হোক কর্তৃপক্ষের কাছে তা বিরোধীদলের মত।একপাশে ছোট্ট একটি দরজা সেজদার মত অবনত।তেল চিটচিটে নিউটনীয় আমলের দরজার পর্দাটাই ছোট্ট ঘরটার প্রবেশদ্বার আবৃত করে রাখে যেভাবে একজন দরিদ্র শীতার্থকে ঢেকে রাখে একটা চাদর।
.
১০০ টাকার স্বল্পমূল্যের এই এনার্জি বাল্বের প্রতুলতার যুগেও ঘরটার দখলদারিত্ব নিয়েছে অন্ধকার।তারপর ছড়িয়ে গেছে বাসিন্দাটির ব্যক্তিগত জীবনে।ছন্দে ছন্দে ঘড়ির কাঁটার কেঁপে ওঠা ব্যতিত আন্দাজ করা খুবই কঠিন দুপুর গড়াচ্ছে বিকেলের কোলে নাকি সন্ধা ছুটছে মধ্যরাত ছুঁতে। ভরসা শুধু মাসির ভয়ার্ত ডাক।
.
ছোট্ট ঘরটা মধ্যদুপুর ব্যতিত বাসিন্দার সান্নিধ্যহীন হয় না।তবে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার,বিভিন্ন ধর্মের-জাতের প্রবল পৌরুষ্যযুক্ত পুরুষদের অবাধ বিচরন চলতেই থাকে।সেদিক থেকে বাসিন্দা অসাম্প্রদায়িক। বাসিন্দার শরীর তাদের ব্যক্তিগত রাষ্ট্র আর তারা স্বৈরশাসক।দৈহিক সক্ষমতার শেষপর্যায়ে রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখলে নেয় আরেক স্বৈরশাসক। স্বৈরশাসক পাল্টে, ক্ষত-বিক্ষত হয়ে শুধু থেকে যায় রাষ্ট্রটি।তারা বাসিন্দাকে জমিন ভেবে চালায় লাঙ্গল,গীটার ভেবে চালায় আঙ্গুল,ভয়ঙ্কর সুর তোলার জন্য ব্যবহার করে ধারালো নখ।।সবগুলোর প্রভাব বাসিন্দার চোখের জল কমানোতে দু হাত বাড়িয়ে এগিয়ে যায়।।
.
জরিপ করতে ছুটে আসে হাজারো মানুষ,উদ্ধার করতে আসে না কেউ।শারীরিক অবস্থার উন্নতির গল্প শোনায়।পরামর্শ দেয়।দিন শেষে আবার তাদের আকাশে ওঠে করুনতার সূর্য।যন্ত্রনা পৌছে যায় কোষে কোষে।উপায়ন্তর না পেয়ে মহাকষ্ট হৃদয়ে ভরে উপভোগ করে যৌনতা।।
.
কষ্ট আর আক্ষেপের সন্ধিতে রং মাখানো বুড়ো চামড়ার ঠোঁটে বেরিয়ে আসে এক মহাসত্য "এটা কি কোন জীবন হল?"
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আবু আল সাঈদ বলেছেন: দাদা আমি একদমই নতুন।।খুবই ছোট মানুষ।।শিখতেছি মাত্র আপনাদের লেখা পড়ে
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:৫৪
অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: অঞ্জন দত্তের একটা গান মনে পড়ছে। "চোখের জল কিংবা পানি সেতো নোনতাই রয়ে যায়"। ভাল লিখছেন।