নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু সিদ

আবু সিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবিকা

৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮



দারিদ্রের কষাঘাতকে র্দুদৈব মেনে যাত্রা পথে আজ আছে

আছিরুল। হরিনের মাংস খেয়ে ক্ষুধা মেটাবে সে,

রাতটা কাটাবে যে সুন্দরবনের গহীনে! দুই দিন করে

অনাহার আর পারেনা টিকতে; গোপনে সে সটকে পড়ে একাকী

আসমান জমিন আর অন্তরাত্মা তার সাক্ষী

প্রকৃতির প্রতি তার অপ্রেম নেই, নেই লোলুপ কোনো দৃষ্টি।

‘শুধু বাঁচার জন্যে ...’ , তাই সে সন্তর্পনে আজ গোপনে

এসে ভিড়েছে মধু সংগ্রহকারী দলটির সাথে। নির্জনে সটকে পড়ে

ভাবে সে, ‘যদি হরিন একটা আটকে যায় ফাঁদে

বেচা-বিক্রি করে মাংস তার কয়েক দিনের জীবন আমার

স্বস্তিতে কেটে যায়’, উদর পুর্তির র্দুভাবনা তাকে উস্কায়।



অন্যরা এ সময় হয়ত অবলীলায় কেটে যায় বৃক্ষ আর

তাল-পাতা! প্রার্থনা মনে তাদের যেন কোনো মৌচাক

মধুমক্ষিকা খুঁজে পায়। পায়ে পায়ে তাদের বাঘের পদচিহ্ন

আর পুঁজিবাদের দুর্মর জয়যাত্রা ফানটা পেপসি কোকাকোলা

শূন্য বোতল হয়ে ছুটছে সুন্দরবনের চারধারে জলাধারে।



অনুসন্ধিৎসা নিয়ে কত যে মানুষ পায়ের ছাপ তাদের রাখে

এই বনে হিসাব তার জানা নেই। লেখা নেই কারো মনে

সুন্দরবনের জন্যে সম্ভাব্য কোনো বিপদের আশঙ্কা বা র্দুভাবনা!

‘ যদি বিলীন হয়ে যায় এই বনটা মাতৃ-ধরনী তাদের ছেড়ে

বলবেনা কথা’, কানাকানি করছে জলশুশক দুইটা, ‘দুর্মর

ঘূর্ণিঝড় টর্নেডো সাইক্লোন ভূত প্রেত আর পেতœী হয়ে

সর্বক্ষণ করে ফিরবে তাড়া’। আছিরুল বুঝতে পারেনা

করবে তাহলে এখন কি সে Ñ হরিনটা তার ফাঁদের কাছে

এসে পড়েছে। তৎক্ষণাৎ মনে চিন্তা তার, ছেড়ে কি দেব তবে?

বুভুক্ষু সন্তানের চোখ দুটো তার মনে ভেসে ওঠে। জেগে ওঠে

এ সময় নদীতে বাঘের কামড়ে মরা মানুষ একটা। বিব্রত হলো

আছিরুল, উঠল তার গা গুলিয়ে; উপার্জনের একটা উপায়

যদি কেউ দিত পাইয়ে!



অন্য মানুষের চিন্তা মানুষ করত যদি

প্রকৃতির এত সন্তান প্রতিনিয়ত হতনা হত্যা বা বলি।

ধনী জীবনের অপরিমিত জীবনের হলি করছে বিনষ্ট

দরিদ্র মানব আর অপরিমিত জীব-বৈচিত্র-সম্ভার।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.