নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু সিদ

আবু সিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা - ৪. শিক্ষার পর্যায় সমূহ

২২ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:২০


সময়ের সাথে মানব-মেধার ব্যবহার বা চর্চার ওপর ভিত্তি করে শিক্ষাকে চারটি পর্যায়ে বর্ণনা করা যায়। বোঝার সুবিধার্তে পর্যায়গুলোকে নিচের পিরামিডের মাধ্যমে দেখানো হলো -



চিত্র ৪.১ এ দেখানো সাধারন বোধ হলো কোনো কিছু শেখার প্রথম শর্ত। অর্থাৎ, যার সাধারন বোধ নেই তিনি কোনো কিছু শিখতে অপারগ। হয়ত নিছক প্রয়োজনের খাতিরে তিনি কিছু কাজ করে থাকেন! এখন প্রশ্ন হলো, সাধারন বোধ কি? সাধারন বোধ হলো জীবন ও জগত সম্পর্কে সহজ-সাধারন ও সামগ্রিক ধারনা। একজন সাধারন বোধ সম্পন্ন্ মানুষ মেঘমুক্ত আকাশের রং নীল-ই দেখেন। যদি বলা হয়, ’আকাশের রং নীল’ তবে তিনি শোনেন ’আকাশের রং নীল’। আনন্দে তিনি হাসেন, দুঃখে তিনি মন খারাপ করেন। অর্থৎ, তার ধারনা ও অনুভূতি একজন সুস্থ মানুষের ধারনা ও অনুভূতি।

সাধারন বোধে ঘাটতি আছে এমন মানুষের পক্ষে শিক্ষা অর্জন একটা কষ্টকর সাধনা, তবে তা অসম্ভব নয়। যেমন, হেলেন কেলার নামে অন্ধ বধির ও মূক মানুষটি অনেক কিছু শিখেছিলেন ও তা প্রয়োগ করেছিলেন।

সাধারন বোধ যেমন যে কোন শিক্ষাকে কৌশলগত শিক্ষা তেমন ব্যবহারিক শিক্ষাকে, ব্যবহারিক শিক্ষা প্রায়োগিক শিক্ষাকে এবং যেকোনো প্রায়গিক শিক্ষা তৎসংশ্লিষ্ট সার্বক্ষণিক শিক্ষাকে সহজতর করে। সাধারন বোধ ও ওপরে বর্ণিত চার পর্যায়ের শিক্ষা ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজ করে। অর্থাৎ, এই চার পর্যায়ের কোনো এক পর্যায়ে কারও দূর্বলতা থাকলে পরবর্তী পর্যায়ে ওঠা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে, কিন্তু তা অসম্ভব নয়। তবে সাধারন বোধ-হীন কারও পক্ষে যেকোনো কিছু শেখা অনেক কষ্টকর, অনেক ক্ষেত্রে তা অসম্ভব। এ ধরনের মানুষদের মানসিক প্রতিবন্ধী হিসাবে অভিহিত করা হয়। এসব মানুষ কিছুটা বেশি সময় ও সহযোগিতা পেলে আরও অনেকের মতো শিক্ষার যেকোনো পর্যায়ে সফল্যের পরিচয় দিতে পারবেন।

আমরা যে কেউ তাই চেষ্টার হাল ধরে থাকলে ’সার্বক্ষণিক শিক্ষা’র ঘাটে পৌঁছে যেতে পারব অনায়াসে প্রয়েজন কেবল সতর্কতা ও সাধনা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.