![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার সন্তানের হাতে পরীক্ষা-পাশের সার্টিফিকেট আসাটা যদি আপনার লক্ষ্য হয় তবে তাকে জোর করে হলেও পড়ান। আর যদি মনে করেন যে তার দরকার জ্ঞান তাহলে তাকে তার মতো পড়তে দিন। এমনভাবে তাকে পড়তে উৎসাহিত করুন যেন সে পড়ার মাঝে আনন্দ খুঁজে পায়।
বার্ধক্যে নিজ সন্তানকে যদি স্বার্থ-সর্বস্ব প্রতিষ্ঠিত মানুষ হিসাবে দেখতে চান তবে তাকে আপন স্বার্থ হাসিলের পথ দেখানোটা কার্যকরী। তবে যদি স্বপ্ন দেখেন যে আপনার সন্তান প্রজ্ঞার জীবন যাপন করবে; কারন হবে জানা অজানা অনেক মানুষের কল্যাণের তবে ভালোকে ভালো বলুন। মন্দকে বলুন মন্দ। এতে সে ভালো-মন্দের পার্থক্য করতে শিখবে।
নিজের জীবনে যদি ভালো প্রতিষ্ঠিত করি আমরা, এবং চাই আপন সন্তানের মাঝে ভালোর প্রতিষ্ঠা তবে তার ভালো কাজে যেন প্রশংসা করি। সে ভুল করে বা স্বেচ্ছায় যদি মন্দের প্রতি ধাবিত হয় তবে তাকে যেন বোঝায় মন্দের পরিণতি। খারাপ বা মন্দ কিছু মানুষের ভালো করলেও বৃহত্তর সমাজের জন্য তা ক্ষতির কারন।
যে সংস্কৃতির নিন্দা করি আমরা সেই সংস্কৃতি নিন্দনীয় আজ আমাদের কারনে। দুর্নীতি, হঠকারিতা, মন্দের জয়গান এসব আমরাই প্রতিষ্ঠা করেছি। একইভাবে আমরাই পারি তা হটাতে।
যদি দিনে দিনে আমরা একটু একটু করে বদলায় আমাদের জীবনাচার তবে নিশ্চয় বদলাবে আগামীর সংস্কৃতি। ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থের কথা না ভেবে যদি সামষ্টিক ভালোর কথা ভাবি, ভাবতে শেখায় আমাদের সন্তানদের, তবে তৈরি হবে নতুন কোনো সভ্যতার সিড়ি। আমাদের জীবনে শুরু হয়ে তা বিকশিত হবে আগামী প্রজন্মের মাঝে।
যদি আমাদের সন্তানদের জন্য এক সম্মানজনক সমাজ দেখতে চাই তবে বুদ্ধি বিবেক আর কর্ম দিয়ে তা করা সম্ভব এই বাংলাদেশে কিংবা পৃথিবীর সবখানে।
২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩
আবু সিদ বলেছেন: ধন্যবাদ, গিয়াসলিটন।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন ।