নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তানভির মোকাম্মেলের লালন আর গৌতম ঘোষের মনের মানুষ সাঁইজির উপর দুইটি চলচিত্র। আমি প্রথমে মনের মানুষ সিনেমাটা দেখি ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করে ২০১২ সালে।ছাত্র জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছি কুষ্টিয়াতে আবার আমার নিজ জেলা কুষ্টিয়ার পাশ্ববর্তী জেলা হওয়ায় সাঁইজির গান, তত্ব, জীবনাচার, দর্শণ সম্পর্কে একটি ধারনা এবং অগাধ ভালবাসা রয়েছে মনের গভীরে সেই ছোটকাল থেকে। সিনেমাটা সাঁইজিকে আবার খুঁজতে বলেছে। আমি খুজেঁ পেয়েছি সাঁইজিকে জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুরের বজরায় ছবি আঁকবার ফাকেঁ ফাকেঁ। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কলমে জমিদার জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুরের জবানীতে দৃষ্টিতে বিচারে বনর্নায় সাঁইজিকে যে মনের মানুষ বানান হয়েছে তা অনেকটা টেলিভিশনের পর্দায় রানা প্লাজার ধংসস্তুপের ছবি দেখে লেখা ভবনে চাপাপড়া অসহায়ের অভিজ্ঞতার বর্ননার মত।রবিন্দ্রনাথের কবিতার ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয় “মাথার ছাতাখানার অবস্থাটা জরিমানা দেওয়া মাইনের মত, বহু ছিদ্র তার। সাঁইজির দর্শন সম্পর্কে ধারনা দেওয়াতো দুরে থাক সাঁইজির দর্শনকে স্পর্শও করতে পারেননি জমিদার বাবু।
গত আট নয় মাস তানভির মোকাম্মেলের লালন ছবিটা প্রায় ত্রিশবার দেখেছি। আমার দেখা সাঁইজিকে এখানে অনেকটা সাঁইজির মত করেই পেয়েছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
শান্ত কুটির বলেছেন: একেবারে মনের কথাটা বলে দিলেন। আমি যে কতবার লালন ছবিটা দেখছি বলতে পারবোনা। পাগলা বাবুলের কন্ঠে লালনের গানগুলো যেন হৃদয় ছুয়ে যায়। আর রাইসুল ইসলাম আসাদ এর অভিনয় কি যে অসম্ভব সুন্দর যেন সাইজিকে বাস্তবে দেখতে পাই। আপনার পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।