নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক দম্পতি সারা বাংলাদেশে। উচ্চ শিক্ষিত, মধ্য শিক্ষিত, সল্প শিক্ষিত, অশিক্ষিত সকল রকম দম্পতিদের এক বিশাল অংশ এক মিথ্যা জগতে বাস করে। স্বামী যেমন স্ত্রীর কেউ না, স্ত্রী ও স্বামীর কেউ না। সুখের অংশীদার না দুখের ভাগিদার ও না। একজন জানে না আরেক জনের মনের খবর। দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা যেন চির দিনের। মিথ্যা সংসারে তাদের বসবাস। তবু বছরের পর বছর এক ছাদের তলে চলে তাদের ঘরকন্যা।
স্বামীর কাছে স্ত্রী প্রকৃত পরিচয় তার ছেলে মেয়ের মা আর স্ত্রীর কাছে স্বামীর প্রকৃত পরিচয় হয়ে উঠেছে তার ছেলে মেয়ের বাপ। এই একটা সুপার গ্লূ দুজনকে ধরে রেখেছে অষ্ট প্রহর।
একজনের মনের অলিগলি আরেক জনের ভালবাসার আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে না। সেখানে গাঢ় অন্ধকার।
তবুও তারা থেকে যায়, একটি একটি করে দিন কেটে যায়। বছরান্তে এক বছর করে তাদের বয়স বাড়তে থেকে। একজন ছুটে বেড়ায় স্ত্রী পুত্র কন্যার নিরাপদ জীবনের রসদের খোঁজে। কখনও কখনও অন্ধ গলিতে কাঁচা মাংশে মোড়ানো খুচরা ভালবাসার খোঁজে। চুড়ান্ত বিচারে দিনান্তে সে ঘরেই ফেরে।
আরেক জন মেতে থাকে ছেলে মেয়ের স্কুল, কোচিং, শাড়ী, গয়না, সিরিয়াল, পরচর্চা নিয়ে। খুব সংগোপনে ভিন্ন রেসিপিতে রান্না করা ভালবাসাও চেখে দেখে কেউ কেউ।
কিন্তু কেউ কাউকে ছেড়ে যায় না কারন তাতে সন্তানরা যে বাবা/মায়ের ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হবে।ওদের ভবিষ্যৎ যে অন্ধকার হয়ে যাবে!
কোন কোন নারী এ খাঁচা ভেঙ্গে ফেলে তবে সেক্ষেত্রে জীবনের রসদ যোগাতে সন্তানদের পার ক্যাপিটা ভালবাসা ঘাটতি পড়ে যায়। তারা পার্টটাইম মা হয়। আর পার্ট টাইম মা হতে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে পার্টটাইম কর্মীর অপবাদ দেয় পুরুষ কর্মীরা। কারন ডিজাষ্টার সিচুয়েশনে তাদের কে প্রায় পাওয়া যায় না বলে।
আর মহাপুরুষরা পুরুষদের ক্ষেত্রে বলেছে পুরুষ মানুষে হৃদয়টা নাকি পাকস্থলীতে থাকে।বড্ড চাঁচাছোলা সমালোচনা। তবে মা না থাকলে যে বাপ তাওই(তালই) হয়ে যায় একথা কিন্তু অনেকটাই সত্যি।
কেন এমন হয়? কারন নারী পুরুষের মনজগতের বিচরনের ক্ষেত্র দু’রকম বলে। শাপলা একজনের চোখে অনিন্দসুন্দর একটা ফুল আরেক জনের চোখে শুধুই একটা সবজি।
যে দম্পতি পরস্পরের মনজগতের বিচরনের ক্ষেত্র চিনে ফেলেছে সে সংসার গাছতলাতে হলেও রেললাইনের ধারে পলিথিনের টং এর ভেতর হলেও তা স্বর্গ। সৃষ্টিকর্তার রহমত সেখানে প্রতিনিয়ত বর্ষিত হয়।
২| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: হায়, অন্ধ মানুষ মরি গেলে কবরেও অন্ধকার দেখতে পাবে না!
১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩
আঁধার রাত বলেছেন: মানুষ সেরা দৃশ্যটা চোখ বন্ধ করেই দেখে(তৃতীয় নয়নে), মরা মানুষের দেখা না দেখায় কি বা যায় আসে!
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৭
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: ভাল লাগল।
৪| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জীবন এখন এমনি। এটা নিয়ে হতাশ হয়ে কোন লাভ নেই।
৫| ১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সন্তানের কারণে এখনো অনেক সংসার টিকে আছে। যদিও ইদানীং 'সন্তান' খুঁটিও ধরে রাখতে পারছে না স্বাধীনচেতা দম্পতিদের...
৬| ১৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: মানুষ সেরা দৃশ্যটা চোখ বন্ধ করেই দেখে(তৃতীয় নয়নে), মরা মানুষের দেখা না দেখায় কি বা যায় আসে!
৭| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৬
নিশি মানব বলেছেন: যে দম্পতি পরস্পরের মন জগতের বিচরন ক্ষেত্র চিনে ফেলেছে সে দম্পতি গাছ তলাতে হলেও রেল লাইনের ধারে পলিথিনের টং এর ভেতরে হলেও তা স্বর্গ। সৃষ্টিকর্তার রহমত সেখানে প্রতিনিয়ত বর্ষিত হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৭
কাইকর বলেছেন: ইউরোপে এগুলো বেশী দেখা যায়। সুন্দর লিখেছেন