নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁধার রাত

আঁধার রাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের কি নিদারুন অপচয়

২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ছেলে প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আত্নহত্যা করেছে পড়লাম। আরো যে সকল ছেলে মেয়ে হরমোনের নারকীয় নৃত্যে আত্নহত্যা করার কথা ভাবছে তাদের জন্য।

আমার বাম হাতের দিকে তাকালে আমার হাঁসি পাই খুব। একটা S জ্বল জ্বল করছে তাতে। জলন্ত সিগারেটের আগুনে পুড়িয়ে লেখা একটা মেয়ের নামের অদ্যাক্ষর। হাঁসি পাই হরমোনের ক্যারিক্যাচাল দেখে।

সে মেয়ের সংঙ্গে আমার প্রেম বা ভালবাসা হয় নাই। অনেক দূঃখ পেয়েছিলাম। ১৮০ মিলির কেরুর ফাইন ব্রান্ডি এক নিশ্বাসে গলায় ঢেলেছিলাম।
এখন কি সম্ভব আমার পক্ষে জ্বলন্ত আগুনে নিজের হাত পুড়িয়ে অন্যের নাম লেখা???? না সম্ভব না। সময় পার করে ফেলেছি। বদ হরমনটা আর বানের পানির মত মস্তিষ্কে বহমান না। আবেগ এখন আর ডাইরিয়ার মত পিচকারী দিয়ে বের হয় না।

তারপর সময়ের বিবর্তনে বুঝতে শিখেছি যে ভালবাসে না তার কাছে ভালবাসার জোরালো দাবী একটা ক্রাইম সৃষ্টির সুযোগ তৈরী করে। বরং যে ভালবাসে তার ভালবাসা হৃদয় পেতে গ্রহন করলে জীবনটা ভালবাসাময় হয়ে ওঠে।

জীবন নদীর প্রতিটা বাঁকে বাঁকে এমন কিছু সুহৃদয়ের মানুষ পেয়েছি যাদের ভালবাসা যায়। প্রায় সব সময় মনে হয়েছে আগের বাঁকের চেয়ে এ বাঁকের ভালবাসা ডালি আরো বেশী সমৃদ্ধ।

মানব জীবনের এক ক্রান্তি কালে হরমোনের নারকীয় নৃত্যে আমাদের মনে হয় ঐ মেয়েটার বা ঐ ছেলেটার ভালবাসা বিহীন জীবন অর্থহীন। না পাওয়ার বেদনায় আত্নহত্যা করার মত ফালতু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।

হেমোসেফিয়েন্সের সুচনা লগ্ন থেকে যে ডিএনএ এর ধারা বহমান তা থামিয়ে দিলে তুমি তোমার চোখে অসামান্য একটা মেয়ের জন্য!??
তুমি কি জানো ছিয়াত্তুরের মনন্ত্বরে যখন এ দেশের তিন ভাগের দুই ভাগ মানুষ মারা গিয়েছিল তখন মৃত্যুর সংঙ্গে লড়াই করে তোমার পূর্বপুরুষ জয়ী হয়েছিল তার প্রমান তুমি।
একাত্তুরের সেই উত্তাল দিন গুলোতে যখন যেকোন সময় মরে যেতে পারে তেমন পরিস্থিতিতেও জয়ী হওয়া ডিএনএ তোমার শরীরে তার প্রমান তুমি।
এমনও হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ প্রত্যেকটি লড়াইয়ে জয়ীদের যে ডিএনএ তোমার মধ্যে সঞ্চারিত হয়ে ছিল তার গতি এমন ভাবে থামিয়ে দিলে তুমি!!!!!!!!
হরমোন তোমার চিন্তাশক্তিকে এমন করে ওএসডি করে ফেলেছে!!!!! নিজেকে হত্যা করলে কার জন্য??? যে তোমাকে ভালবাসে না তার জন্য।?
যে ভালবাসে তার জন্য তো জীবন দেওয়া যায়। সে মৃত্যু গৌরবের। কিন্তু যে ভালবাসে না তার জন্য জীবন দেওয়া জীবনের কি নিদারুন অপচয়।

সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থতা নতুন সম্ভাবনা দ্বার খুলে দেয়। প্রেমে ব্যর্থতা নতুন প্রেমের সম্ভাবনা তৈরী করে।
প্রেম ভালবাসা কি সে সর্ম্পকে লালন বলেছে
“বলব কি সেই প্রেমের কথা,
কাম হয়েছে প্রেমের লতা,
কাম ছাড়া প্রেম যথাতথা,
নয় সে আগমন।
করি কেমনে সহজ শুদ্ধ প্রেম সাধন……”।
আমি নিশ্চিত লালনের উপরোক্ত তত্ত্ব অনুসারে তাদের মধ্যে কখনই প্রেম হয় নাই। কারন এ তত্ত্ব অনুসারে প্রেম হলে(কাম হলে) হরমনোর নারকীয় নৃত্য স্থিমিত হয়ে পড়ে। শেষের লাইন এর চেয়ে প্রাঞ্জল করে বলা বিদ্যানোচিত হবে না।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

লায়নহার্ট বলেছেন: {জীবন দর্শন নিয়ে পাবলিকের মাথা ব্যথা নেই}

২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

আঁধার রাত বলেছেন: মাথা ব্যথা থাকলে সমস্যা ছিল। এত প্যারাসিটামলে অনেক খরচ পড়ে যেত

২| ২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার জীবনবোধ!

৩| ২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

লায়নহার্ট বলেছেন: {আত্নহত্যা করে প্রেমিক পুরুষেরা ভাতের চাপ কমাচ্ছেন}

২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

আঁধার রাত বলেছেন: যে ভাতার হিসাবে ভার নিতে চেয়ে না পেয়ে জীবন দেয় সে ভাতের চাপের চিন্তা করে না। বিষয়টা এতটা সরল নয় হয়ত

৪| ২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

সিগন্যাস বলেছেন: যারা আত্নহত্যা করে নিজের জীবন শেষ করে তাদেরকে যদি নেপচুনের ঠান্ডা জ্বলে চুবানো যেত তাহলে ঠিক বিচার হতো।নেপচুনের পানি এতো ঠান্ডা যে যদি একবার কোন মানুষ সেই পানিতে হাত ডুবায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেই হাতের ডিএনএ ফ্রিজ হয়ে যাবে

৫| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ছাত্র ছাত্রীরা লেখা পড়া শেষ হবার আগেই প্রেম ভালোবাসা করে। এটা আমার মোটেও পছন্দ না।

২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

আঁধার রাত বলেছেন: আমার কিন্তু খুব পছন্দ ভাইজান। ছাত্র/ছাত্রী জীবন শিক্ষার গ্রহনের জীবন। এখান থেকে প্রোপার শিক্ষাটা নিয়ে না গেলে দাম্পত্য জীবনে ভালবাসায় খুব সমস্যা হয়। ছাত্র জীবনে প্রেম করে নাই যারা তারা বৌয়ের মান ভাঙ্গাতে পারে না। বউকেউ যে পটানো প্রয়োজন তা তাদের মাথায় আসে না। বউ আনতে গেলে চাকুরী লাগে তখন প্রেম করার অত সময়ই বা কৈ। বউয়ের সাথে প্রেম ভালবাসা একটা দায়িত্ব আর বান্ধবীর সাথে প্রেম করা একটা এডভেঞ্চার।

৬| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৭

আলআমিন১২৩ বলেছেন: বউয়ের সাথে প্রেম ভালবাসা একটা দায়িত্ব।-কথাটা একদম ভালো লাগেনা ।জোর করে দায়িত্ব মনে করে অভিনয় হতে পারে ..প্রেম নয়।

২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৯

আঁধার রাত বলেছেন: ইহা নৈতিক দায়িত্ব নয় বরং আইনসিদ্ধ দায়িত্ব। এ দায়িত্বে অবহেলায় অভিযুক্ত হলে সোজা লাল দালান। তবে লাল দালানের ভয়ে যেমন পুরুষের কাছ থেকে ভালবাসা আদায় করা যায় না ঠিক তেমনই ভালবাসার অভিনয় করে বৌয়ের চোখে ধুলো দেওয়া যায় না। প্রেমিকার চোখ হয়ত অভিনয় করে ফাঁকি দেওয়া যায় কিন্তু বৌকে নয়। তবে শাস্তির ভয়ে কেউ বৌকে ভালবাসে না বরং আত্নার গভীরের ভালবাসায় সিক্ত হয় দাম্পত্য জীবন।

৭| ২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

মোঃ নুরুজ্জামান (জামান) বলেছেন: আর ও কিছু লিখতেন। না হলে কমেন্ট এ লিখেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.