নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাচ্চারা বাচ্চাদের সাথে খেলতে পছন্দ করে, গল্প করতে পছন্দ করে, মারামারি করতে পছন্দ করে, ভাবভালবাসা করতে পছন্দ করে। বাচ্চারা যখন এগুলো করার জন্য বাচ্চা সঙ্গি পায় না তখন আপনি বাবা মা কে বাচ্চা সেজে তা পুরুন করার ব্যর্থ চেষ্টা করে বিরক্ত হয়ে বলতে হয় “একটার যন্ত্রনায় বাঁচি না আবার আরেকটা”।
এটি বর্তমানে উচ্চ শিক্ষিত চাকুরীজীবি পিতামাতার একটি কমন ডায়লগ।
অনেকে মনে করে থাকেন দুইটি বাচ্চা তাদের ঝামেলার পরিমান বাড়াবে। কিন্তু মোটেও তা নয় বরং ঝামেলা কমাবে। ছোট বাচ্চার বয়স যদি দেড় বছর হয় আর বড়টার বয়স যদি তিন থেকে ছয় বছর হয় তাহলে আপনি বাবা মাকে গোনার টাইম তাদের নাই। খাওয়ানোর সময় ছাড়া মারামারি/ঝগড়া ঝাটি থামানো আর অভিযোগের মিমাংসা করা ছাড়া তাদের আলাদা ভাবে সঙ্গ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। প্রয়োজনীয় খেলনার জোগাড় করে আপনাদের দায়িত্ব তখন আম্পায়ারের মত। অধিকাংশ খেলনার সেটই একটা হওয়া উচিত যেন তারা খেলনা নিয়ে কাড়াকাড়ি চুলাচুলি মারামারি করে নিজেদের আরো ব্যস্ত রাখতে পারে। তারা তাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকবে আপনারা দুইজন দু’জনকে দেওয়ার মত একসন্তানের সময় যতটুকু সময় পেতেন তার চেয়ে আরো অনেক বেশী সময় পাবেন।
প্রক্ষান্তরে বাচ্চা যদি একটা হয় তাহলে সে আপনাদের নজর ছাড়া করতে চাইবে না। খেলার সাথির অভাব পুরুনের দাবি নিয়ে সামনে আসবে প্রতিক্ষণ।
বাচ্চা বড়টা যদি ছেলে হয় তাহলে মারামারি বেশী হবে আর বাচ্চা বড়টা যদি মেয়ে হয় তাহলে মাহশাল্লাহ ঐ চার বছরের মেয়েই আপনার দেড় বছরের বাচ্চার লজিষ্টিক সাপোর্ট দিতে পারবে পরম মমতার সাথে। মাইর হবে কান্নাকাটি হবে কিন্তু মারা মারী হবে না।
প্রথম বাচ্চা আর দ্বিতীয় বাচ্চার বয়সের পার্থক্য পাঁচ বছর হওয়া উচিত এটি মস্তবড় একটা ভুল ধারনা। ব্যাপক সমস্যা তৈরী করে দেয় পাঁচ বছরের পার্থক্য।
এটা অনেকটা রুটির খামির দিয়ে একটা রুটি বেলা, সেটা তাওয়া সেঁকে রুটি বানানো, গোশতের ঝোল দিয়ে সেই রুটি খেয়ে আবার পরের রুটির জন্য খামির নিয়ে রুটি বেলার মত।
দুই বাচ্চার জন্মদান প্রকল্প তিনবছর মেয়াদী হওয়ায় উত্তম। অর্থাৎ প্রথম বাচ্চা জন্মদেওয়ার জন্য কনসিভ করা আর দ্বিতীয় বাচ্চার জন্মের মেয়াদ সবোচ্চ তিন বছর হওয়া উচিত। দুই বাচ্চায় প্রাইমারী স্কুলে, দুই বাচ্চায় স্কুলে, দুই বাচ্চায় কলেজে। অনেক সুবিধা। আপনি যখন অফিসে তখন তারা কখনই একাকিত্ব বোধ করবে না।
মনে রাখবেন বাচ্চারা বাচ্চাদের সাথেই খেলতে পছন্দ করে। আরো মনে রাখবেন ভাইয়ের ভাই দরকার হয় বোনের বোন দরকার হয়। যদি সেটা দেওয়া না যায় তবে অন্তত ভাইয়ের জন্য একটা বোন বা বোনের জন্য একটা ভাই বা ভাইয়ের জন্য একটা ভাই বা বোনের জন্য একটা বোনের ব্যবস্থা করেন।
যদি না করেন তাহলে হক নষ্ট করার পাপে পাপী হবেন।
২| ২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৭
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: অনেকে আছে গরীবীর ভয়ে বাচ্চা নিতে চান না।অথচ আল্লাহ্ বলেন,
তোমরা দারিদ্রতার ভয়ে সন্তান নেওয়া থেকে বিরত থেকো না।কারন রিজিকের মালিক আল্লাহ্ নিজেই।
৩| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১
করুণাধারা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। তবে পিঠেপিঠি বাচ্চা হলে প্রথমে পড়ালেখা শেখাতে একটু অসুবিধা হয়। যেমন আমার চার বছরের মেয়েকে পড়াতে বসলেই দুই বছরের ছেলে এসে নানা ঝামেলা কৌতুক কিছুতেই মন দিয়ে পড়াতে পারতাম না... অবশ্য এইটুকু অসুবিধা বাদে বাকি সব টুকুই সুবিধা ছিল পিঠাপিঠি বাচ্চা হওয়ার।
৪| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: এই সমাজে নতুন একটা শিশু আনার দরকার টা কি? এনে কষ্ট দেওয়ার কোনো মানে হয় না। দরিদ্র দেশ। দুষ্টলোকের দেশ।
৫| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৪৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বেশ
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০০
হাসান রাজু বলেছেন: ঘর হওয়া উচিৎ বাচ্চা কাচ্চায় পূর্ণ। একটা বিদেশ যাবে, একটা শহরে থাকবে, একটা বউ নেওটা হবে, অকর্মার ঢেঁকিটা ঠিকই শেষ বয়সে বুকে জড়িয়ে রাখবে। ঘরে দুইটা তিনটা মেয়ে থাকবে, ঘরে ঢুকে ক্লান্ত সদস্যরা স্বর্গের সুখ পাবে। আল্লাহ তাদের তাদের তৌফিক দিন যারা বেশি বাচ্চা কাচ্চা নিতে চায়।