নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁধার রাত

আঁধার রাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয়কর আদায়ে “যে যবর যা, যে জাতের যা ফর্মুলা”

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

দেশে ২১-২২ লাখ লোক আয়কর দেয় কারন তারা অধিকাংশই চাকুরীজীবি এবং তাদের আয়ের পরিমানটা ডকুমেন্টেট। আয়ের তথ্য ডকুমেন্টেড না হলে আয়কর দেওয়ার জন্য লাখ খানিক লোক পাওয়া যেত কিনা আমার সন্দেহ আছে। বিস্ময়কর ঘটনা ১৬-১৭ কোটি মানুষের মধ্যম আয়ের একটা দেশে মাত্র ২১-২২ লাখ লোকের বাৎসরিক আয় আড়াই লাখ টাকার বেশী? অবিশ্বাস্য- মাননীয় স্পিকার আমি চুদনা হয়ে গেলাম।

আয়কর দেওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়াতে মটিভেশনে কোন কাজ হবে না আমার দেশে। আয়কর প্রদান করে দেশপ্রেমের প্রমান দেওয়ার চেয়ে আমরা গলাবাজি করে দেশপ্রেমের প্রমান দিতে বেশী আগ্রহী।

তাই আয়কর পেতে হলে প্রতিটি নাগরিকের আয়কে ডকুমেন্টেড করতে হবে। প্রতিটি নাগরিকের আয়কে ডকুমেন্টেট করতে হলে সর্বপ্রথম চোখ কান বন্ধ করে সকল কাগজের টাকা তুলে দিতে হবে। কেন্দ্রিয় ব্যাংককে টাকা ছাপানো বন্ধ করে ডিজিটাল কারেন্সিতে যেতে হবে।
কাজের পারিশ্রমিক বাবদ, পন্যে ও সেবার মুল্যবাবদ কাগজের টাকার পরিবর্তে সংখ্যা একাউন্ট টু একাউন্ট ট্রান্সফার হবে।

মাছের দামটা, রিকসার ভাড়াটা, মোবাইলের ব্যালেন্সটা, প্রস্টিটিউটের পেমেন্টটা, রাজউকের কর্মকর্তার ঘুষটা, ফকিরের ভিক্ষাটা সহ সব কিছুর মুল্য পরিশোধ হয়ে যাবে কোমল হাতের স্পর্শে একাউন্ট টু একাউন্ট।

চায়ের দোকানদার আজ কয় কাপ চা বিক্রি করে কয় টাকা আয় করেছে, একজন শিক্ষক কয়জন ছাত্রকে প্রাইভেট পড়িয়ে কয় টাকা আয় করেছে, একজন যৌনকর্মী কতজন খদ্দেরকে সন্তুষ্ট করে আজ কতটাকা আয় করেছে এমন সবকিছু ডকুমেন্টেট হবে স্বয়ক্রিয়ভাবে। সবার আয় ডকুমেন্টেট হবে। ইন্টিলিজেন্ট সফটওয়্যার ডাটা এ্যানালাইসিস করে আয় চিহিৃত করে উৎসেই আয়কর কর্তন করবে।
যে যবর যা, যে জাতের যা

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: বড় বড় ব্যবসায়ীরা কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য উকিন রাখেন। উকিলের বুদ্ধি পরামর্শে কর ফাঁকি দেন।

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: কেবল কাগজবিহীন /ডিজিটাল অর্থ ব্যবহারের মাধ্যমে এটি অতিক্রম করা সম্ভব নয় ।কারণ, একটি জাতি হিসাবে আমরা
বিশ্বাসী না ।


কোন দেশ নগদ ট্রানজেকশন পুরোপুরি থামাতে পারে না প্রথম বিশ্বের দেশ হলেও ।তবে ইনকাম ট্যাক্সের জন্য প্রথমে আমাদের সম্মানিত মেম্বার অফ পার্লামেন্ট, বড় পজিশন হোল্ডার এবং লিডারদের এগিয়ে আসতে হবে ।সম্মানিত মেম্বার অফ পার্লামেন্টরা লাখ টাকা মাসে রোজগার করলেও উনাদের আয়কর নাই ।বাড়ি ,গাড়ি কর ফ্রি । আর গরীব মাসে ২১,০০০ টাকা ইনকাম করলেই ট্যাক্স দিতে হয় ।মুশকিল এখানেই । বাকিরা ভাবে বড়রা দেয়না ,আমরা কেন দিব ।
যে ২০ / ২২ লাখ কর দেয় ,তাদের আসলে না দিয়ে উপায় নাই তাই দেয় ।কিন্তু তা হওয়ার কথা ছিল স্বেচ্ছায় ।

এই সমস্যাটি কাটিয়ে ওঠার জন্য করদাতা বাড়ানোর জন্য ,"নগদ বিনিময় নিয়ন্ত্রণ করা উচিত এবং রাষ্ট্রের আইন, বিধি অনুসরনে
আমাদের সবাইকে খাঁটি দেশপ্রেমিক হওয়া উচিত "

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: আঁধার রাত,




হত দরিদ্র দেশে আপনার "একাউন্ট টু একাউন্ট" থিওরী অসম্ভব একটি ব্যাপার। সব কিছু ডকুমেন্টেড হবে কি ভাবে ? উপায় তো বললেন না।
সব চেয়ে সহজ হয় যদি প্রতিটি কর্মক্ষম ব্যক্তিকে করের আওতায় আনা যায়। কি ভাবে ? সবাইকেই কর দিতে হবে। রিক্সাওয়ালা থেকে শুরু করে সকল পেশার লোকজনকেই কর দিতে হবে, এমনকি রাষ্ট্রপতিকেও।
এখন রিক্সাওয়ালা , চানাচুর বিক্রেতা, ঠেলাওয়ালা, চুড়িফিতা বিক্রেতা, গৃহকর্মী ইত্যাদি ছোট ছোট পেশায় নিয়োজিত সবাইকে বছরে মনে করা যাক ১০০ টাকা কর দিতে হবে যা এন,আই,ডি কার্ডের মতোন কার্ডে রেকর্ডভুক্ত হবে । বছরের কর বছরে ( সময় নির্দিষ্ট নয়, বছরের যে কোনও সময়) দিতে ব্যর্থ হলে প্রতিবছরের জন্যে দ্বিগুন ফাইন পরিশোধ করতে হবে। এদের উপরে একটু বেশী আয়ের লোকজন যেমন ড্রাইভার, ছোট মুদি দোকানদার, চুলকাটার লোক, মাছবিক্রেতা ইত্যাদিদের জন্যে বছরে কর হবে ১৫০ টাকা। এভাবে সব পেশার আয়ের ধরন বুঝে আয়কর বাড়বে। প্রতিটি কর্মক্ষম লোকের সাথেই এই আয়কর কার্ড থাকতে হবে। দেখাতে ব্যর্থ হলে শাস্তি জেল - জরিমানা হবে। প্রতিটি থানায় এই আয়কর জমা দেবার জন্যে আলাদা জমা অফিস খুলতে হবে ( এতে কর্মসংস্থান হবে ) এবং আইনের লোকেরা যখন তখন পথচলতি বা কাজে নিয়োজিত সকল ধরনের লোকজনদের কাছে এই কার্ড দেখতে চাইতে পারবেন এবং সেমতো করনীয়গুলি করবেন। এন,আই,ডি কার্ড ছাড়া যেমন আজকাল কোনও সরকারী কাজই করা যায়না বা সুবিধা পাওয়া যায়না তেমনি এই আয়কর কার্ড না থাকলে সকল সুবিধাই বন্ধ করে দেয়া হবে।
এতে প্রতিটি লোক আয়কর দিচ্ছেন বলে একজন নাগরিক হিসেবে সচেতন হয়ে উঠবেন এবং দেশের একজন করদাতা মালিক বলে তার নিজস্ব দায়ভার সম্পর্কে সজাগ থাকবেন।
দেশের কর্মক্ষম বা যে কোন ধরনের কাজ থেকে কোনও না কোনও ভাবে আয় করছেন তাদের সংখ্যা কয়েক কোটি ছাড়িয়ে যাবার কথা। এতে সরকারের রাজস্ব আয় মনে হয় বর্তমানের চেয়ে কয়েকশো গুন বৃদ্ধি পাবে।

এমনটা সরকারও ভেবে দেখতে পারেন।

(মন্তব্যে আরও বিশদ লেখার সুযোগ কম।)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.