| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটবেলায় সন্ধ্যার সময়ের পড়া শেষ হলে আম্মা অথবা বাবার কাছে গল্প শুনতে চাইতাম। প্রিয় গল্পগুলোর তালিকায় সবসময় মুক্তিযুদ্ধের গল্পই এগিয়ে থাকতো।
মাঝে মাঝে বাবাকে বলতামঃ বাবা তুমি কি সত্যি সত্যি রাইফেল দিয়ে গুলি ছুড়ে যুদ্ধ করেছিলে?
বাবা যখন পুরু চশমার ভিতর দিয়ে তাকিয়ে খুব ভারি গলায় বলতঃ হুম, করেছিলাম তো, কিন্তু কি হল? শুধু দেশটাই স্বাধীন করলাম, খুনি রাজাকারগুলিকে তো শেষ করা হলনা।
আজ থেকে ১০/১২ বছর আগে এত গভীর চিন্তা বোঝার মতো শক্তি আমার হয়নি, আজ যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে তখন খুব পরিস্কার ভাবে বুঝি বাবার সেই ভারি গলার মাহত্ত্য।
নানু , মামা আর আম্মার কাছে শুনেছি কত কষ্ট করে তারা ঢাকা থেকে আমার নানাবাড়ি মুন্সিগঞ্জে গিয়েছিলেন, কয়েক শ অসহায় নারীপুরুষ ও শিশুদের আশ্রয় আর খাবারের যোগান দিয়েছিলেন।
বাবার গল্পগুলোর মধধ থেকে আমার সব চেয়ে পছন্দের ছিল কি করে বাবা আর তার সহযোদ্ধারা মিলে পলায়নপর রাজাকারদের খুঁজে বের করত......
বিচার তো হচ্ছে কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা কেউ খুশি নন, প্রজন্ম ৭১ রাও সন্তুষ্ট নন, আর সাধারণ জনতা? তার উত্তাল বিক্ষোভ তো আমরা বিগত ৪দিনের লাগাতার কর্মসূচী দেখতেই পাচ্ছি।
ক্যান লিখছি এইসব?
কারণ আমিও মনে করি শুধু বাচ্চু রাজাকার না যতগুলি কসাই-বদমাস-নপুংসক রাজাকার আছে সেইসবগুলোর মৃত্যুদণ্ড ছাড়া আর যেই শাস্তিই দেওয়া হোক না কেন সেটা খুবই লঘু হয়ে যাবে।
বাবাকে আজ যখন বললামঃ বাবা, আমি শাহবাগ যাচ্ছি।
বাবার উচ্ছ্বাসটাই যেন বলে দিলঃ আমাদের অসমাপ্ত কাজের ভার তোমাদের কাঁধে তুলে দিয়ে আজ নির্ভার হলাম, তোমারা, হ্যা তোমারাই পারবে এই দেশটাকে সত্তিকারের সোনার বাংলা করতে।
জয় বাংলা। - আসুন রাজনীতির প্রভাবমুক্ত হয়ে সত্যিটা জানি আর সঠিক কাজটা করি।
©somewhere in net ltd.