নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্রিজা

অথই জলে খুঁজে বেড়াই পূর্ণিমারই চাঁদ।

আদ্রিজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পূর্ণেন্দু পত্রীর কথোপকথন__(৩৩-৩৬)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

'কথোপকথন ৩৩'





খবর্দার! হাত সরিয়ে নাও।

ব্যাগে ভরে নাও টাকাগুলো।

আজ সমস্ত কিছুর দাম দেবো আমি।

কী হচ্ছে কি শুভঙ্কর? কেন এমন

পাগলামির ঢেউয়ে দুলছো?

এইজন্যেই তোমার উপর রাগ হয় এমন।

মাঝে মাঝে অর্থমন্ত্রীদের

মতো গোঁয়ার হয়ে ওঠো তুমি।

কাল কতবার বলেছিলুম, চলো উঠি,

চলো উঠি।

আকাশ আলকাতরা হয়ে আসছে, চলো উঠি।

এখুনি সেনাবাহিনীর মত

ঝাঁপিয়ে পড়বে বৃষ্টি, চলো উঠি।

তুমি ঘাসের উপর বুড়ো বটগাছ

হয়ে বসে রইলে।

কলকাতা ডুবল, তুমিও ডুবলে

আমাকেও ডোবালে।

কেন আমার কথা শোনো না বল তো?

আমি কি নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি

যে সিংহাসনের হাতলে হাত রাখলেই

হারিয়ে যাবে স্মৃতিহীন অন্ধকারে?

কলের জলের মতো

ক্যালেন্ডারের তারিখের মতো

বন্যার গায়ে গায়ে খরার মতো

আমি তো তোমার সঙ্গেই আছি।

এবং থাকবো।

তাহলে কেন আমার

কথা শোনো না শুভঙ্কর?





'কথোপকথন ৩৪'





- বল তো কত বয়স হল তার?

- কার?

- যার মাথাভর্তি সবুজ দেবদারু চুল

যার টলমলে পা কেবল ভুল পথের কাঁটার

উপরে

যার সমস্ত কথাই অস্পষ্ট,

সন্ত্রাসবাদীদেরমত সংকেতময়

এবং বিস্ফোরক

যে কেবল হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়

এমন বাগানে

যেখানে ফুলের গায়ে হাত ছোঁয়ালেই

অট্টহাসির বিদ্যুৎ

যেখানে লতা গুল্মের

আড়ালে পিছলে পড়ার গোলাপী গহ্বর

আর ফুসলিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার খর

জলস্রোত।

বল তো কত বয়স হল তার?

- তিন বছর।

- তাহলে মনে আছে তিন বছর আগে ঠিক

এইখানে

ঠিক এইরকম পাশুঁটে সন্ধ্যার

সাড়ে পাঁচটায়

এইরকম আরশোলা রঙের ছেঁড়া পর্দার

আড়ালে

তোমার আর আমার যৌথ উল্লাসে জন্ম

হয়েছিল তার

তোমার প্রথম চিঠিতে তুমি যার নাম

দিয়েছিলে, অসহ্য সুখ

আমার প্রথম চিঠিতে আমি যার নাম

দিয়েছিলাম, নবজন্ম।





"কথোপকথন ৩৫"





-লোকে বলে শুনি সেলায়ে তোমার পাকা হাত

ছুঁচ দিয়ে লেখ কবিতা।



-গোয়েন্দা নাকি আমার যা কিছু লুকানো

জানতে হবে কি সবই তা?



-তর্ক কোরো না

জুড়ে দেবে কিনা এখুনিই হৃদপিন্ডের ক্ষতটা।



-দিতে পারি তবে মজুরি পড়বে বিস্তর

জোগাতে পারবে অতটা?



-কাজ যদি হয় নিখুঁত, পাবেই মজুরি,

ভেবেছ পালাব গর্তে?



-হৃদপিন্ডের ভিতরে থাকে যে ঝর্ণা

দিতে হবে স্নান করতে।





কথোপকথন ৩৬





তুমিই আমার ধ্বংস হবে তা জানলে

এমন করে কি ভাসাতাম ডিঙি নৌকো?

ভাসাতাম?

তুমি চলে যাবে সমুদ্রে আগে বলনি

তাহলে কি গায়ে মাখাতাম ঝড়-ঝঞ্ঝা?

মাখাতাম?

নুড়িতে-পাথরে নূপুর বাজিয়ে ছোট্ট

জলরেখা ছিলে দুই হাত দিয়ে ধরেছি।

ধরা দিয়েছ।

এখন দুকুল ভরেছে প্রবাহে প্লাবনে

উঁচু মাস্তুলে জাহাজ এসেছে ডাকতে।

ওকে সাড়া দাও।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.