| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আফসানা মিমি
এটা আমার লিখিত কাব্য,আর আমার কাব্যে আমি রাজা,,আমিই রানী।।
আমাদের সমাজে অনেক ধরনের "ওপেন সিক্রেট" অপরাধ হয়। যেগুলা আমরা বই পুস্তক এ অপরাধ বলি। কিন্তু সামনাসামনি কেউ করলে সেটাকে "আরেহ! এটা হয়ে-ই,করবেই" বলে থাকি।
ধীরেধীরে আমাদের এসব ছোটখাটো অপরাধ এর পরিধি বেড়েই চলেছে। বাড়বেনা কেন? আমাদের সমাজ এসব অপরাধ কে খাইয়েদাইয়ে বড় যে করছে!
এক শ্রেনীর পুরুষ সমাজ আছে যারা সকালে এক রুপ আর অন্ধকার টা একটু পরতেই আরেক রুপ ধারন করে। সকাল সকাল তারা এমন ভাবটা নিয়ে চলে যেনো তাদের কাঁধেই নারীর সকল সম্মান ভাড় দেওয়া হয়েছে। তাদের ট্যাগ লাইন "Oe Mohila Hezab koe!" আর অন্ধকার টা একটু পরতেই তাদের চোখ থেকে লালসার আলকাতরা পরতে থাকে। অন্ধকারে কোনো মেয়ে একা হাটা মানেই এখন তাদের কাছে সেটা ভোগ এর বস্তু। তাদের কিছু করার লাগেনা।তাদের চোখেই এতোটা শক্তি যে চোখ দিয়েই সেখানে বিব্রতিকর পরিবেশ তৈরী করতে পারবে।।
এবার আসি বহুল আলোচিত সিগারেট খাওয়া নিয়ে কথাবার্তা। জ্বী আমরা সবাই জানি পাব্লিক প্লেসে স্পকিং দণ্ডনীয় অপরাধ। ওহ আচ্ছা দাড়ান! একটা কথা জুড়ে দেই। পাব্লিক প্লেসে নারীর স্মকিং দণ্ডনীয় অপরাধ। আসলে ক্লাস ৭/৮ এ বইয়ে না পড়লে কখনো জানতেই পারতাম না যে এটাও কোনো অপরাধ।আবার একটু বড় হতে হতে জানলাম যে বইয়ে ভুল আছে। পুরুষ সমাজ এ অপরাধ করলে সেটা অপরাধ না। নারী সমাজ এটা করলে তাকে বলা হবে "বেশ্যা" ( সেক্স ওয়ার্কার দের আমি এখানে ছোট করছিনা)
রাতের পর রাত পুরুষ সমাজ বাহিরে আড্ডা দেবে সেটা হবে ছেলেদের আড্ডা টাইম। আর মেয়েরা ত এটাই জানে না রাত হলে বাহির টা দেখতে কেমন লাগে,আর তারা আড্ডা কি দেবে!
আর দিলেও সে মেয়েটাকে একটা এগ্রিমেন্ট এ সাইন করতে হবে, যেটায় লিখা থাকবে "বংশ খারাপ"।
জানেন! এগুলো সব আমরা মেনে নিয়েছি। সবগুলোই। একটা মেয়ে বড় হয় আশেপাশের সব মানুষ এর এত্ত বড় বড় চোখ নিয়ে।
কারও চোখ খোজে মেয়েটার দোষ,কারও চোখ খোজে মেয়েটা কোন ছেলের সাথে কোথায় দাঁড়িয়ে কথা বললো,কারও চোখ গিলতে চায় আর কারও চোখ তাকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
আমি দিন দিন এসব দেখছি আর অবাক হচ্ছি। আমি নিজেকে অনেক বেশি ভাগ্যবান মনে করি আমার বাবা-মা কে পেয়ে যারা আমাকে কখনো এটা অনুভব করতে দেয়নি যে রাত মেয়েদের জন্য না। "আযান" নামক টাইম লিমিট মাঝে মাঝে দেশের পরিস্থিতির কারনে দিয়েছে তবে কাজের কারনে লেট হলেও বুঝছে ব্যাপারটা।
হ্যা দেশের যে অবস্থা! আর আমরা যে হারে এসব অপরাধ কে বলতে গেলে মেনেই নিয়েছি সে হিসেবে বাবা-মার চিন্তা করাটা সাজে। "আযান" নামক টাইম লিমিটটিও দেওয়াটা আমি অযৌক্তিক মনে করিনা।।কারন সমাজ আমাদের মেয়েদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারবেনা। বাবামা সেটা জানেন।আর সে কারনেই এভাবে সমাজের হাতে নিজের সন্তানকে তারা ছেড়ে দিতে পারবেন না এটা স্বভাবিক। তাই বলে শুধু মেয়ে সন্তানকেই না,ছেলে সন্তানকেও বলুন সন্ধ্যার আযান এর আগে ঘরে ফিরতে।আশা করি এভাবে একটু একটু করে সমাজটা ঠিক হবে। চিন্তাধারাও পরিবর্তিন আসবে। এর পরে রাত আর নারীর বিপক্ষে থাকবেনা।
কোনো বাবামা-ই সন্তানের বিপক্ষে না।সন্তানের কোন দোষ হলেও তারাই সেটাকে কভার দেওয়ার চেষ্টা করবেন।। বিপক্ষে হলো সমাজ আর সমাজব্যবস্থা
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:২১
আফসানা মিমি বলেছেন: সমাজ পরিবর্তনশীল। আর পরিবর্তন মেনে নেওয়াই আমাদের কাজ।
২|
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমান সমাজের অবস্থা ভয়াবহ।
এই সমাজে টিকে থাকাই মুশকিল।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:২২
আফসানা মিমি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।।
৩|
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সবার দৃষ্টিভঙ্গি এক নয়।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:২২
আফসানা মিমি বলেছেন: তা ঠিক বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:০২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সমাজের অবস্হা সব দেশে সমান নয়,
আবার ছোট বেলায় সৌদিদের প্রতি যে সম্মান ছিল
তাও নাই ।
............................................................................ তাই
বলে আপনার সব কথা মেনে নেওয়া যায় না, বর্তমানে কিছু
ক্ষেত্রে নারীদের আচরন ও ভয়ংকর ।