![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমার গলার নিচে, সেই গর্তটায়
আমার ঠোঁট প্রথম গৃহবাস পায়—
তপ্ত লবণাক্ত এক শ্বাসের গুহায়
আমি হারাই শব্দহীন প্রবেশে।
তুমি ঝুঁকে পড়,
স্তনের খাঁজে গলে পড়ে চাঁদের আলো।
আমার আঙুল চলে সর্পিল রেখায়,
জমে ওঠে উত্তাপ—
নিপলের কাঁপনে ভাষা হারিয়ে ফেলে নিজস্বতা।
চুমু খাই, ঠোঁট দিয়ে ঘিরে ধরি—
তোমার স্তন তখন ঘামতপ্ত শ্লোক।
পেটের ওপরে রাখি জিহ্বার ধাক্কা,
আদর নয়—
তোমার কাঁপনে আমি ছন্দ ধরি।
নাভীর ভেতর
এক চুমু রেখে তোমার কোমরের ঘূর্ণিতে
হারিয়ে ফেলি নিজেকে,
তুমি ওঠো, মাথা বাঁকাও—
বুকে, পিঠে, ঘাড়ে—
আমি শুধুই লিখে চলি,
ভেজা কবিতা।
তোমার উরু ছুঁয়ে ছুঁয়ে আমি
পৌঁছে যাই গোপন রসের উৎসস্থলে—
তুমি ঠেলে দাও শরীর আমার বুকের ওপরে,
আর আমি,
তোমার ভিতরে এক নিঃশব্দ পুলক হই।
সহবাস নয়—
এই মিলন যেন ঝড়ের ভেতর বৃষ্টির গর্ভস্থ আলো,
যেখানে আমি চিরকাল মিশে যাই—
একটি কাঁপন, একটি ঘাম, একটি দীর্ঘ
অর্গাজমের অন্ধকার আলো।
শেষে তুমি নিঃস্তব্ধ।
আর আমি?
তোমার স্তনে মাথা রেখে শুনি—
পৃথিবীর আদিমতম গান।
©somewhere in net ltd.