নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আহমেদফাইয়াজ

আহমেদফাইয়াজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম ব্যবসায়ী

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪২

আজ সন্ধ্যাবেলা মার্কেট থেকে বাসায় ফিরছিলাম।একটা রাস্তায় ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে।মাহফিলটা হচ্ছে রাস্তা বন্ধ করে।এই রাস্তাটা সন্ধ্যার পরে খুব ভিড় হয়।রাস্তাটা এক লেনের রাস্তা হওয়ায় মানুষকে অনেকটা ঘুরে আরেক রাস্তা দিয়ে যেতে হচ্ছে।ফলে সেই রাস্তাটায় ও জ্যাম হয়ে যাচ্ছে।হুজুর মাইকে বড় গলা করে ধর্মের কথা বলছেন আর এদিকে মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে।আমার লেখা পড়ে হয়ত মনে হচ্ছে আমি নাস্তিক।না আমি নাস্তিক বা ভাসিফ ছহিউদ্দিন না।নাস্তিকতা নামক মানসিক রোগটা আমার নেই।আমার ধর্মের প্রতি পুরো বিশ্বাস আছে।আমার ধর্ম নিয়ে কোন আপত্তি নেই,আমার আপত্তি ধর্ম প্রচার করার ব্যবস্থা নিয়ে।ধর্মটা এখন একটা ব্যবসা হয়ে গেছে।হুজুর কিছুক্ষন ধর্ম নিয়ে আলোচনা করে টাকা নিয়ে চলে যাবেন।কে কয় ওয়াক্ত নামাজ পড়ল তা নিয়ে তার কোন মাথা ব্যথা নেই।তার কাজ হচ্ছে কিছুক্ষন কথা বলে টাকা নিয়ে চলে যাওয়া।সব হুজুর যে এমন তা আমি বলছিনা তবে বেশির ভাগ হুজুর এখন ব্যবসায়ী হয়ে গেছে।তারা ধর্ম টাকে পুরো ব্যবসা বানিয়ে ফেলেছে।আল্লাহ কথাও বলেনি যে মানুষকে কষ্ট দিয়ে ধর্ম প্রচার কর।একজন মানুষ যদি আরেকজন মানুষ কে কোন কষ্ট দেয় তাহলে কেয়ামতের দিন তাকে জবাবদিহি করতে হবে।আল্লাহ কেয়ামতের দিন সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয়ের হিসাব নিবেন।হুজুর সুন্দর করে ধর্মের কথা বলছেন কিন্তু ধর্মে যে মানুষকে কষ্ট দেওয়া নিষেধ করা আছে সেটা হুজুর ভুলে গেছেন।এসব ধর্ম ব্যবসায়ী হুজুরদের জন্য আজ নাস্তিকরা ধর্ম নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৮

মোমের মানুষ বলেছেন: আসলেই ব্যাপারটা খুবই লক্ষনীয়। তবে এটা ওয়াজকারীদের না বলে ব্যবস্থাপনা ও আয়োজনকারীদের বলা উচিত। বেচারা হুজুর মানুষ দাওয়াত পেয়েছে তাই ওয়াজ করতে এসেছে....................।

গত কয়েকদিন আগে টংগি বাজারে আমার এক আত্মিয় একটি ওয়াজে দাওয়াত দিল। (বক্তা হিসাবে নয় ওয়াজ শোনার জন্য)। সেখানে সেখানে দেখলাম রাস্তা বন্ধ করে ওয়াজ হচ্ছে, মানুষ খুব ভোগান্তিতে পড়ছে। তারপর ব্যবস্থাপনা কমিটির একজনকে অনুরোধ করলাম পথচারীদের প্রতি খেয়াল রাখার জন্য

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

রিওমারে বলেছেন: এইসব অয়াজ মাহফিল শুনে কোন মানুষ নিজের কুকর্ম থেকে ফিরে আসছে এমন একটাও উদাহরন কি আছে ?/ রাত্রে অয়াজ শুনে সকালে অফিসে গিয়ে যথারীতি ঘুষ খাইতেছে। সিন্তাই কারী সিন্তাই করতেছে। ব্যাবসায়ী মাপে কম দিতাছে ।চরিত্রহিন আগের কাজেই বহাল আছে ইত্যাদি ইত্যাদি।। যদি থাকত তাহলে সমাজের এত বেহাল দশা থাকত না। কারন দেলোয়ার হোসেন সাইদী বিগত ৪০ বৎসর যাবত অয়াজ মাহফিল করতেছেন যদি কাজ হত তা হলে বাংলাদেশের মানুষ সব ফেরেস্তা হয়ে যাওয়ার কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.