![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
ইরানে হামলাকারীরা ছিলো সুইসাইড স্কোয়াড.......
ইরানে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কিভাবে বেছে বেছে নির্দিষ্ট ২৯ জন সামরিক কমান্ডার এবং পরমাণু বৈজ্ঞানিক মেরে ফেলা হয়েছিল....তা নিয়ে আমাদের কৌতুহল এবং তাচ্ছিল্য মোটেই কমতি ছিল না। হত্যাযজ্ঞের ঘটনাটা কয়েক ঘন্টায় সমাপ্ত করলেও এই টার্গেট হত্যাযজ্ঞে ধাপে ধাপে অনেক দিনের পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি ছিলো। যারা এমন ঝুঁকিপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করে বা অভিযানে নিয়োজিত, তারা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সুইসাইড স্কোয়াড গঠন অভিযানে অংশ নেয়। অর্থাৎ মৃত্যু নিশ্চিত জেনেই অভিযানে অংশ নেয়।
সুইসাইড স্কোয়াড সাধারণত তাদের টার্গেট নির্ধারণ করে থাকে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এবং গোপনীয় অভিযানের জন্য। এই দলটিকে ব্যবহার করা হয় যখন প্রচলিত আইনী বা সামরিক পন্থা কাজ করে না। তাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে এমন ব্যক্তি বা স্থান যেখানে প্রচলিত পদ্ধতিতে পৌঁছানো কঠিন বা অসম্ভব। সাধারণত, এই স্কোয়াডের সদস্যদের কারাদণ্ড কমানোর প্রলোভন দেখিয়ে বা তাদের পরিবারের সুরক্ষার আশ্বাস দিয়ে এই কাজে নিযুক্ত করা হয়।
সুইসাইড স্কোয়াড সাধারণত তাদের টার্গেট নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করেঃ-
(১) গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুঃ
স্কোয়াড এমন ব্যক্তিদের টার্গেট করে যারা রাষ্ট্রের জন্য হুমকি স্বরূপ বা যাদের কার্যকলাপ রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর।
(২) অতিরিক্ত ঝুঁকিঃ
যে সকল স্থানে বা ব্যক্তির কাছে পৌঁছানো কঠিন, সেখানে এই স্কোয়াড ব্যবহার করা হয়।
(৩) গোপনীয়তাঃ
এই ধরনের অভিযান সাধারণত গোপন রাখা হয়, এবং স্কোয়াড সদস্যদের পরিচয়ও প্রকাশ করা হয় না।
(৪) রাজনৈতিক বা কৌশলগত গুরুত্বঃ
কখনও কখনও রাজনৈতিক বা কৌশলগত কারণেও সুইসাইড স্কোয়াডকে ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, ডিসি কমিকস-এর সুইসাইড স্কোয়াড সিনেমায়, আমান্ডা ওয়ালার নামের এক সরকারি কর্মকর্তা এই স্কোয়াডকে পরিচালনা করেন। তিনি তাদের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ মিশনে পাঠান, এবং বিনিময়ে তাদের কারাদণ্ড কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন। পরিবারের উত্তরাধিকারদের বিশাল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা প্রদান ইত্যাদি।
অভিযান পরিচালনা করার আগে দীর্ঘদিন বছরের পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হয়। যেমন- কমান্ডো প্রশিক্ষণ, অস্র-বিস্ফোরক ব্যবহার এমনকি সংযোজন, তৈরী করা, লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ, লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করার দক্ষ লোকবল এবং রসদ সংগ্রহ ইত্যাদি।
Self-Sovereing Identity, SSI ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা নিজেদের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করার পর তৃতীয়পক্ষ তাদেরকে প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করে।
স্ব-পরিচয় ডিভাইস বলতে সাধারণত এমন একটি ডিভাইসকে বোঝায়- প্রায়শই স্মার্টফোন বা অনুরূপ কোনো যন্ত্র, যেখানে ব্যবহারকারীর ডিজিটাল পরিচয় সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা করা হয়, বিশেষ করে স্ব-সার্বভৌম পরিচয় (Self-Sovereign Identity, SSI) ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে। এই মডেলে ব্যক্তি তার ডিজিটাল পরিচয়ের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং কেন্দ্রীয় কোনো কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর না করে প্রয়োজনমতো তৃতীয় পক্ষের সাথে তথ্য ভাগ করতে পারে। তৃতীয় পক্ষ
লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণঃ লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করার জন্য, প্রথমে সুস্পষ্ট বস্তু কিম্বা ব্যক্তিকে নির্ধারণ করা হয়, যা "SMART" (Specific, Measurable, Achievable, Relevant, Time-bound) মানদণ্ড পূরণ করে। এরপর, ডেটা বিশ্লেষণ করে এবং পরিবেশ, পরিস্থিতি, প্রতিবন্ধকতা, সময় অবস্থা বুঝে একটি কার্যকর আঘাতের পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।
আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
স্ব-সার্বভৌম পরিচয় (SSI) এবং ডিভাইসের ভূমিকা:
বিকেন্দ্রীকৃত পরিচয় (Decentralized Identity):
SSI ব্যবস্থায় ডিজিটাল পরিচয়ের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় সংস্থা (যেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সরকারি প্রতিষ্ঠান) থেকে ব্যক্তির হাতে আসে।
ওয়ালেট হিসেবে ডিভাইস:
SSI ব্যবস্থায় ব্যবহারকারীর ডিভাইস একটি নিরাপদ “ওয়ালেট” হিসেবে কাজ করে, যেখানে তাদের ডিজিটাল শংসাপত্র (যেমন যাচাইযোগ্য শংসাপত্র) সংরক্ষিত থাকে।
নির্বাচিত তথ্য ভাগ (Selective Sharing):
প্রত্যেক সেবায় নিজের সব তথ্য দেওয়ার বদলে, ব্যবহারকারী প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট শংসাপত্র কেবল তৃতীয় পক্ষের (যেমন ব্যাংক বা নিয়োগকর্তা) সাথে ভাগ করতে পারে।
উদাহরণসমূহ:
বয়স যাচাই: ব্যবহারকারী কেবল প্রমাণ দিতে পারে যে সে প্রাপ্তবয়স্ক, কিন্তু জন্মতারিখ প্রকাশ করতে হয় না।
শিক্ষাগত শংসাপত্র যাচাই: নিয়োগকর্তা সরাসরি প্রতিষ্ঠানকে না জানিয়ে শংসাপত্র যাচাই করতে পারে।
নিরাপদ লগইন: ব্যবহারকারী নিজের ব্যবস্থাপিত শংসাপত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন সেবায় লগইন করতে পারে।
SSI-এর মূল উপাদানসমূহ:
★ ডিসেন্ট্রালাইজড আইডেন্টিফায়ার (DID):
এগুলো অনন্য শনাক্তকারী, যা কোনো কেন্দ্রীয় রেজিস্ট্রির সাথে যুক্ত নয় এবং ব্যবহারকারী নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
★ যাচাইযোগ্য শংসাপত্র (Verifiable Credentials)ঃ
এগুলো ডিজিটাল নথি, যা ব্যবহারকারীর নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের প্রমাণ দেয় (যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্স, ডিপ্লোমা)।
★ ব্লকচেইন/বিকেন্দ্রীভূত লেজার প্রযুক্তিঃ
DID এবং শংসাপত্র নিরাপদ ও স্বচ্ছভাবে সংরক্ষণ এবং যাচাইয়ের জন্য প্রায়ই ব্লকচেইন বা ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার ব্যবহার করা হয়।
মূলত, SSI-এর প্রেক্ষাপটে একটি স্ব-পরিচয় ডিভাইস হলো এমন একটি টুল, যা ব্যক্তিকে নিজের ডিজিটাল পরিচয় ব্যবস্থাপনা, ব্যক্তিগত তথ্যের নিয়ন্ত্রণ এবং অনলাইন সেবার সাথে নিরাপদ ও গোপনীয়ভাবে যোগাযোগের ক্ষমতা প্রদান করে।
৩০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ইজরায়েলের গুপ্তঘাতকদের সাথে কামিকাজের কিছুটা পার্থক্য ছিলো। কামিকাজরা ছিলো ১০০% আত্মঘাতী। তারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে শত্রুদের ধ্বংস করতো। অর্থাৎ হামলায় জড়িত পাইলটরা জানতেন যে তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম, তবুও তারা দেশের জন্য আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিলেন। অন্যদিকে, ইজরায়েলের ঘাতকদের নিজেকে রক্ষা করা, নিজেকে শত্র পক্ষের আড়ালে রা এবং বাঁচিয়ে রেখে প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করা অগ্রাধিকার দেয়। তবে টার্গেট মিস করে না।
২| ২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:০৬
ওমর খাইয়াম বলেছেন:
আপনি সামরিক স্কুলের গ্রেজুয়েট, যুদ্ধ নিয়ে আপনার সঠিক ধারণা আছে; তবে, ইহুদীরা ও মোসাদ সুইসাইড স্কোয়াড কখনো ব্যবহার করে না; তারা এই ধরণের অপরেশনে "রিস্ক ক্যালকুলেশন" করে; তবে,নিজেদের লোকের প্রাণের বিনিময়ে অন্যকে হতয়ার প্ল্যান করে না; নিজেদের লোকের প্রাণ যাবার সম্ভাবনা থাকলে, সেটা তারা বাদ দেয়।
৩০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রথমত আমি সামরিক স্কুলের গ্রাজুয়েট নই। ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেছি।
ক্যাডেট কলেজে সাধারণত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা দেওয়া হয় এবং সেই সাথে সামরিক বাহিনীর উপযোগী করে কিছু অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এখানে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ক্যাডেট কলেজে প্রদত্ত শিক্ষা মূলত দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত।
প্রথমত, ক্যাডেট কলেজগুলোতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সিলেবাস অনুসরণ করে একাডেমিক শিক্ষা প্রদান করা হয়।
দ্বিতীয়ত, ক্যাডেটদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে সামরিক প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলাবোধ বৃদ্ধি, নেতৃত্ব Gun development, খেলাধুলা, ইত্যাদি।
কঠোর শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা ক্যাডেট কলেজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এখানে শিক্ষার্থীদের সময়ানুবর্তিতা, নিয়ম-কানুন মেনে চলা এবং আত্ম-নিয়ন্ত্রণ শেখানো হয়। ক্যাডেটদের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী বিকাশের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন। ক্যাডেটদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, সহযোগিতা, সহনশীলতা, ন্যায়পরায়ণতা ইত্যাদি চারিত্রিক গুণাবলী অর্জনে সহায়তা করা হয়। সংক্ষেপে, ক্যাডেট কলেজ একটি বিশেষ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক, চারিত্রিক ও নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে সহায়তা করা হয়, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে সফল হতে সাহায্য করে।
আমি ব্যক্তিগত কৌতূহল থেকেই গোয়েন্দা বাহিনীর উপর লেখা বই পড়ে এবং সিনেমা দেখে যতসামান্য জেনেছি, তারই আলোকে এই লেখা।
আন্তর্জাতিক মিডিয়া সূত্রে জানতে পেরেছি- ইরানে যারা হামলায় অংশ নিয়েছে তারা ইজরায়েলের বাসিন্দা নয়- ইন্ডিয়া, আফগান এবং ইরানের ভাড়াটে বাহিনী। সুদুর প্রসারী পরিকল্পনায় তাদেরকে রিক্রুট করা হয়েছে এবং তৃতীয় কোনো দেশে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর ইরানে পোস্টিং দিয়েছে উন্নয়ন কাজে পেশাজীবি হিসেবে।
৩| ৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:২৭
ওমর খাইয়াম বলেছেন:
৯ জন জেনারেল কিভাবে প্রাণ হারালো, কোন ধারণা?
৩০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: এই বিষয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম- 'জেরুজালেম পোস্ট' একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলো। যার সারমর্মঃ ইরানি পরমাণুবিজ্ঞানী এবং শীর্ষ সেনা কমান্ডারদের টার্গেট করে ইসরায়েল এর অভিযানের নাম ছিল ‘নারনিয়া’। এটা এমন একটা নাম, যা অভিযানের অসম্ভব প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে এবং এটা বাস্তব জগতের চেয়ে অনেকটা কাল্পনিক মনে হতে পারে। পুরো অভিযানে ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ইরানের পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের নির্মূলের জন্য চারটি ভাগে ভাগ করেছিলেন। তাদের সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন অগ্রাধিকারে তালিকা করা হয়েছিল।
সামরিক দক্ষতা সম্পন্ন এবং তাদের প্রতিস্থাপনে সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হবে, এমন বিজ্ঞানীদের হত্যায় তালিকার শীর্ষে স্থান দেওয়া হয়েছিল। এরপর ইসরায়েল গুরুত্ব অনুসারে একটি হিট লিস্ট তৈরি করেছিল। গোয়েন্দাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এই তালিকা করা সম্ভব হয়। হত্যার শিকার বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞরা পরমাণু কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। প্রথম এক ঘন্টার অভিযানে অন্তত ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানী এবং ১৫ জন সেনা কমান্ডারদেরকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।'
(আপনি ভেড়ার চামড়ার উপর ছাগলের লোম লাগিছেন.....তবুও চিনতে সমস্যা হয়নি)
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:০৪
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: এরা তো দেখছি জাপানি "কামাকাজি" যোদ্ধাদের আধুনিক সংকরন।