পিন্টু হত্যা ও আলকায়েদার স্বীকারোক্তি

০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

আবদ্ধ ঘরে দীর্ঘদিন ধরে স্লো পয়জনিং করে জলজ্যান্ত মানুষকে মেরে ফেলার অনেক কাহিনী পড়েছিলাম আবুল আসাদের সাইমুম সিরিজে।



এটা এমন এক নিরব ও গোপন কিলিং সিস্টেম যে কেউ বুঝতেই পারে না তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে!!! মৃত্যুর পর সবাই মনে করে তার স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছে। কিন্তু আসলে তাকে হত্যা করা হয়েছে!!



আমার প্রবল বিশ্বাস, আওয়ামী লীগের ত্রাস, জাঁদরেল বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুকে স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমেই হত্যা করা হয়েছে।



স্লো পয়জনিংয়ের পাশাপাশি চিকিৎসা না করানো, ওষুধ না দেয়া, ইত্যাদি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেও তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়।



পত্রিকায় শিরোনামও হয়েছে মৃত্যুর আগমুহুর্তে পিন্টুকে চিকিৎসা করতে দেননি জেলার !! তাকে হাসপাতালে নেয়া হয় মৃত্যুর পর!!



পিন্টুর পরিবারের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়েছে পরিকল্পিত হত্যার ।



কথা হলো পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডটি ৪ ঘন্টার মাথায়ই ধামাচাপা পড়ে গেলো অন্য এক রহস্যময় ব্রেকিং নিউজে!!



অভিজিৎ হত্যার দায় নাকি স্বীকার করেছে আলকায়েদা !!



বুঝলামনা!! আলকায়েদার একমাত্র ভিডিও রেকর্ডার কি হঠাৎ নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো যে সেটা ঠিক করে বার্তাটি রেকর্ড করতে এতদিন লেগে গেলো?



তাদেরকে তো সবসময়ই দেখেছি ঘটনার সাথে সাথেই দায় স্বীকার করে নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করতে!! এবার এত বিলম্বে কেনো?



আর এ কেমন দায় স্বীকার যে গোপন গোয়েন্দা সংস্থা মারপত জানতে হলো?



র্যা ব কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ বলেছেন তারা এই ভিডিও বার্তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত নন।



তাইলে এই ভিডিও বার্তার ভিত্তি কতটুকু??



আমি বলবোনা এই নিউজ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং পিন্টুর হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতেই এই চক্রান্ত। কারন কিছু বিদেশী মিডিয়ায় এটি এসেছে।



আবার বিদেশী মিডিয়ায় আসছে বলেই যে সত্য, সেটা ভাবারও কোনো সুযোগ নেই।



তবে আওয়ামী লীগ, তাদের পদলেহনকারী মিডিয়া ও চুশীলরা পিন্টুর পরিকল্পিত হত্যাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য আলকায়েদার মত একটা রসগোল্লা ইসু পেয়ে গেলো।



টকশো মাতাতে যেই ইসুর বিকল্প কোনো ইসু এখনো বাংলার জমিনে সৃষ্টি হয়নাই!!



এখন দেখার বিষয় হলো, ধামাচাপা দেয়ার এই ইসু কি বিনামূল্য অর্জিত, নাকি মূল্য দিয়ে অর্জিত??



কারন অনেক অসম্ভবই এখন সম্ভব। আর তথ্যবাবাদের হাতও কিন্তু মেলা লম্বা…..!!!

০ টি +০/-০