![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ বিডিআর বিদ্রোহ বিচারের রায়। খবরটা শুনেই মনে পড়ে গেল আমার বস্তির রিকশাঅলাটার কথা, মেঘে মেঘে তো আর কম বেলা হলো না, তাই লোকটার নাম ঠিক মনে করতে পারছি না, রাস্তাই দাঁড়াতেই সামনে এসে বললে, চেরাগী যাবেনতো? আসেন মামা দিয়ে আসি। আমিও উঠে বসলাম। জানতাম আগে বিডিআর-এ চাকরি করে অবসরে এসেছে, ছেলে-মেয়েগুলো এখনো ছোট, তাই সংসার চালাতে রাতে নাইট গার্ডের চাকরি করে, আর সন্ধ্যা চালায় রিকশা। রিকশাতে চেপে দেওয়ানহাট মোড় অতিক্রম করার পর অনেকটা রসিকতার সূরে বললাম, মামা কাজটা ভাল করলো, আপনাদের জোয়ান এতগুলো আর্মি অফিসার মেরেফেলেছে। প্রতিক্রিয়াটা পেলাম সঙ্গে মঙ্গে। আমার দিকে ফিরে তাকাল রক্তচক্ষু দৃষ্টিতে। শরীরে শুরু হয়েছে প্রচন্ড কাঁপন, যেন আমার সাথেই বিদ্রোহ করে বসলো! তারপর প্রচন্ড রাগ-ক্ষোভ মেশানো কণ্ঠে বললে, শুয়োরগুলানরে মারছে আচ্ছা করছে, আমি থাকলে একই কাজ করতাম, ২১বছর চাকরি করে এখন পেটের দায়ে রিকশা চালায়, আর হারামিরা দুই চার বছর চাকরি করলেই ঢাকা চিটাগাং বাড়ি করে, এত টাকা পায় কোয়? ওগো ব্যবহার শুনলে মনে হয় আমরা যেন মানুষ না, কুত্তার মতো ব্যবহার করে। ওরা যেমন সরকারের চাকরি করে জনগনের টাকায় বেতন নেয়, আমরাও তাই। অথচ ওগো আচরণে মনে হয়, আমরা যেন ওগো চাকর। মনে রাগবেন মামা সহ্যের সীমা আছে!ওই রিকশাঅলা এখন আর আমাদের বস্তিতে থাকে না। তবে তার ক্ষোভটা বিবেচনায় না নিয়ে বিডিআর বিদ্রোহের বিচার হবে অর্থহীন ও আরেকটি বিদ্রোহের সম্ভবনাকে জীয়ে রাখা।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১১
আহমদ জসিম বলেছেন: আপনার চমৎকার তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: ব্লাডি সিভিলিয়ান । কৈত্তে এইসব পাও ?? কথা কিন্তু মিছা না।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১২
আহমদ জসিম বলেছেন: কোন কথাটা?
৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪১
পাউডার বলেছেন:
এক্তা গল্প বলি। মিরপুর ক্যান্টনমেন্টে বৈসা এক সিভিলিয়ানের কাছে শোনা।
ধরেন ক্যান্টনমেন্টের এক অফিসে চুরি হৈছে। আর্মির অফিসার্রা চোর ধরতে মিটিং এ বসলো। মিটিং এ যা হৈলো তার ফলাফল এমন:
১। অফিসে কোনো সিভিলিয়ান কাজ করে? করলে সে চোর।
২। (সিভিলিয়ান না পাইলে), আনসার-পুলিশের কেউ ছিলো? থাকলে সে চোর।
৩। নাইলে নেভীর যে ছিলো সে চোর।
৪। তাও না পাইলে এয়ারফোর্সের লোকেরা আসল চোর।
৫। তাও না পাইলে, আর্মির ননকমিশন্ড লোক গুলা চোর।
আর শেষে তাও না পাইলে কোনো চুরি হয় নাই। কারন আর্মির অফিসার্রা চুরি করে না।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
আহমদ জসিম বলেছেন: সাধারণ গল্প ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
হেডস্যার বলেছেন:
এইটা ১০০ ভাগ সত্যি যে.....ডিফেন্সের কর্মকর্তারা সৈনিক আর সিভিলিয়ানদের মানুষই মনে করে না। শালারা আসলেই বেজাত।
তবে ব্যতিক্রম ও আছে।
আমার ২/৪ জন বন্ধু বিএমএ থেকে ট্রেনিং করে ফিরে স্বীকার করে , যে ওইখানে ব্রেন ওয়াশ করে বুঝানো হয়। তোমরাই মানুষ, বাকীরা সব গরু ছাগল।