![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট্ট ছেলেটি একটা ব্যাগ হাতে নিয়ে বাজারে যাচ্ছে তাহার বাবার দোকানে.বাজারে গিয়ে দোকানে ডোকেই বল্লো.
আব্বা আমি আইয়ালাইছি তারাতারি চাউল কিন্নাদেন আম্মায় কইছে ঘড়ে চাউল নাই.
তাহার বাবা তাহার মুখের দিকে তাকিয়ে বল্লো
আইছত বাবা একটা কাম কর তুই আবার বাড়ি থেইক্যা একটা গোরান দিয়া আয়.
ছেলে বল্ল
কেরে আব্বা বাবা তখন কিছু না বলে
যাতো তুই" আমি মাগরিবের নামাজ পরে আইতাছি.
ছোট্ট ছেলেটি তখন গান গাইতে গাইতে বাড়ি হতে ফিরে এলো...এবং বল্লো
আব্বা চাউল কিন্নাদেন আম্মায় ভইয়া রইছে.
তার বাবা বল্লো ........
একটু ধৈর্য্যদর তর দাদায় আইবো তারপর.
কোন দাদা আব্বা.
সবুর করতে পারছিনা আইলেতো দেখবি.
তখন প্রায় অন্ধকার হয়ে এসেছে. ছেলেটি হেনরিকেন পাসে উপর হয়ে বসে আছে আর তার বাবা কোদাল দিয়ে দোকানের বিটিটা সমান করতেছে. ছেলে একটু পর পর বলে আব্বা দাদা আসেনা কেনো.আর বাবা ছেলেটিকে শান্তনা দিয়ে বলে এখনি এসে পরবে.এমন করতে করতে রাত প্রায় নয়টার মত বেজে গেলো কেউ আসেনা.
কিছুক্ষণ পর একজন বৃদ্ধ লোক আসলো এবং বল্লো.
কইরে তুই আমি আইছি একটু অপেক্ষা কর আমার ছেলেটা আইতেছে. হেতে লইয়া আইবো.
বাবা তখন তার ছেলেকে বল্লো কিরে বাবা পেটে খুদা লাকছে একটু অপেক্ষা কর এখনি বাড়িতে চলে যাবো...
কিছুক্ষণ পর একটা লোক একটা লুঙির মধ্যে পেচিয়ে তিন চার কেজির মত চাউল নিয়ে আসলো.
এরপর এই চাউলগুলি নিয়ে বাবা তার ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে গেলো.এবং রান্না করে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করলো তখন রাত প্রায় বারটা...
কথা হলো ছেলেটির বাবা ছিলো একজন টেইলার্স.তার পুজি বলতে শুধু একটা মেশিন .
ঐদিন তাহার কোন ইনকাম হয়নি যায় কারনে এক কেজি চাউল ক্রয় করার পয়সা তাহার পকেটে ছিলো না.
সেই জন্য আগে থেকেই তাহার পরিচিত ও ভাল সম্পর্কের একজন দফেদার ছিলো যাকে চাচা বলে ডাকতো. অনেক সমস্যার কথা তাহার সাথে বলতো..টাকা পকেটে না থাকার ব্যপারটা ও আগে বলেছিলো. তখন দফেদারের নিকট টাকা না থাকার কারনে নিজের বাড়ি হতে চাউল এনে দিয়েছিলো.
বর্তমানে এই রকম মানুষ পাওয়া বড়ই দূশকর.
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫০
Ahsan mir বলেছেন: আছে আমাদের আড়ালে
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৫
ওমেরা বলেছেন: আছে এখনো এরকম ভাল বা এর চেয়ে ভাল মানুষ আছে হয়ত আমি আপনি জানি না তবে আছে ।