নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিও একদিন লাশ হব, সেই লাশ মাটির নিচে থেকে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে অংগার হবে। বৃষ্টি ভিজা কাদায় শরীর ভিজে যাবে, শুধু অনুভবে নিথর লাশ হয়ে রয়ে যাব শেষ বিচারের অপেক্ষায়.......

ফেনা

মুক্ত ও সাদা মনের মানুষ হতে আগে চাইতাম। এখন আর চাই না। এখন একটু মুক্তি চাই, চাই জীবনটা শেষ হবে এই অপেক্ষার অবসান। [ মৃত্যুটা খুব স্বাভাবিক; বেঁচে থাকাটা অস্বাভাবিক।]

ফেনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

৮ ই ফাল্গুন বাংলা মাতৃভাষা দিবস, ২১ শে ফেব্রুয়ারী নয়। (রি-পোষ্ট) ( এই ধরনের লেখা নির্বাচিত হয় না।)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৭


বাংলা ভাষার জন্য যুদ্ধ করে শহীদ হওয়ার পর অর্জিত হয়েছিল বাংলায়, মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার। কিন্তু দুঃখের বিষয় নানা অজুহাত আর রাষ্টীয় অনাগ্রহ এবং অবহেলার কারনে বাংলা মাতৃভাষা দিবসটি বাংলাতে বলতে পারিনি। মাতৃভাষা দিবস বলতে আজও আমাদের ২১ শে ফেব্রুয়ারী বলতে হয়। ৮ই ফাল্গুন বলতে পারিনা। আফসুস বাংলার জন্য যুদ্ধ করে বাংলাকে অবহেলা।
ইদানিং আবার নতুন একটা অজুহাত-
এটা তো এখন আন্তর্জাতিক দিবস, কিছু করার নাই। ভাই এই কারনেই আমাদের দাসত্ত করা লাগে। আমাদের সত্তা কেন বিসর্জন দিব!!!
আসুন আজথেকে বদলায়, বলি-
৮ ই ফাল্গুন হল বাংলা মাতৃভাষা দিবস।
২১ শে ফেব্রুয়ারী হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। যা বাংলা মাতৃভাষা দিবসের অনেক পরে সীকৃতি পেয়েছে।
আমরা শুধু মাত্র কথার এবং দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন করি, তাহলেই আমাদের সত্তায় কোন প্রকার আঘাত আসবেনা।
যুদ্ধ করে লাভ কি যদি নিজেই নিজেকে শ্রদ্ধা করতে না পারি!!!!

গত বছর এই পোষ্টটি প্রথম দিয়েছিলাম। তখন বেশ কয়েকজন সম্মানীত ব্লগার বা লেখক ভাইরা মন্তব্য করেছিলেন। আজ সেইগুলো সহ রি-পোষ্ট করলাম। এখানে সকল মন্তব্য দেওয়া হয়নি। ৮ ই ফাল্গুন বাংলা মাতৃভাষা দিবস, ২১ শে ফেব্রুয়ারী নয়

১. ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৬১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বৃটিশ থেকে বের হওয়ার পর, দেশের রাস্ট্রীয় ভাষা ইংরেজী থাকাই উচিত ছিলো; উর্দু বা বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার কথা যারা বলেছিলেন, তারা বুদ্ধিমান ছিলেন না।

২. ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৮০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তাইলেতো ভা্ই
২৫মার্চ স্বাধীনতা দিবস
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস
নতুন করে হিসাব কষতে হব।
এমন কিছু সময় দিন মাস
ক্ষণ আছে যা আমাদের জাতি
সত্বার কাছে খাপ খাইয়ে নিয়েছে।
এখানে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করা
ঠিক হবেনা।

৩. ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩৫১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ফেব্রুয়ারি বানান ভুল
দাসত্ব বানান ভুল
এ বছর একুশে ফেব্রুয়ারি কয় তারিখ বাংলায়?????
৯ ফাল্গুন হবে......

International দিবস গুলো সবই ইংরেজি তথা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে.......


৫. ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৮০

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ইংরেজি বা বাংলা যেটাই হোক ,এটাকে ইস্যু না বানিয়ে আগে সঠিক ভাষা শিক্ষা জরুরী ।

৭. ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৩০

কিশোর মাইনু বলেছেন: তার আগে কয়জন বাংলা বার মাসের নাম বলতে পারবে সেটা দেখেন ভাইয়া।

৮. ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫০

সনেট কবি বলেছেন: দিবসের হিসেব সাধারণত ইংরেজীতেই হয়।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৭০

লেখক বলেছেন: কেন বাংলাই করেন না???? বাংলাতে কি গণণা সাল নেই!!!! আর আমাদের নিজেদের ঐতিহ্য অনুষ্ঠান কেন আমরা ভিন্ন দেশের ভাষাতে বা তাদের বলে দেওয়া সালে পালন করব!!! তাই যদি করতে হয় তাহলে কিসের আবার বাংলা ভাষা, কিসের ভাষা দিবস, কিসের মাতৃভাষা!!!! উর্দুই ছিল ভালা।
৯. ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: কিসের আবার বাংলা ভাষা, কিসের ভাষা দিবস, কিসের মাতৃভাষা!!!! উর্দুই ছিল ভালা।
কুল ম্যান !! সম্ভবত আপনার বোঝার ভুল আছে, আবেগ দিয়ে সব কিছু হয়না। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সঃ) জন্ম তরিখও(২৯ আগস্ট ৫৭০খ্রীস্টাব্দ) কিন্তু আরবীর সাথে ইংরেজী সনের হিসেবে করা হয়। তাতে কি তার জন্ম তারিখ অশুদ্ধ হয়ে যাবে?
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪০

লেখক বলেছেন: জনাব তখন কিন্তু আরবি গণনা সাল ছিল না। নবী(সঃ) হিজরত করার পর থেকে আরবি গণনা সাল শুরু করা হয়। যার ফলে খ্রীস্টাব্দ কে গ্রহণ করা হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের বাংলা ভাষার জন্য যখন যুদ্ধ হল তখন কিন্তু আমাদের একটা গণনা সাল ছিল এখনো আছে তাহলে সেইটাকে আমরা গ্রহণ না করে কেন খ্রীস্টাব্দ-কে গ্রহণ করলাম!!!! এইটা কি বাংলার জন্য যুদ্ধ করে প্রান দিয়ে বাংলাকে অবমাননা নয়???? তাহলে ভাষা দিবস বলে এই সব নাটকের মানে কি????

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৯

সবুজ অঙ্গন বলেছেন: গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ীই বলতে গেলে সারা পৃথিবী চলে। আমাদের টাইম ঘড়িও গ্রেগরিয়ান। কোনো ঘড়িতে বাংলা বা আরবি মাসের নাম বা হিসাব নাই। শিক্ষা বর্ষ শুরু হয় এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী। আপনি ৮ ফাল্গুন ধরে থাকলে বাকি সবকিছু উলট পালট হয়ে যাবে। আমার কাছে টা পশ্চাতপদ চিন্তাভাবনা মনে হয়।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৬

ফেনা বলেছেন: তাহলে ভাষা শহীদদের এত সম্মান দেন কেন?? তাদের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সম্মান জানিয়ে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করে লাভ কি। এই দেশের সাধারণ মানুষের মাথাপিছু আয় খুবই কম।

ভাল থাকবেন সতত।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫১

সবুজ অঙ্গন বলেছেন: ব্যাপারটা এরকম না যে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা উর্দু হলে এ দেশে বাংলা বা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের ব্যবহার রহিত হয়ে উর্দু সাল গণনা শুরু হতো। পাকিস্তানের নিজস্ব সাল গণনা পদ্ধতি আছে কিনা আমার জানা নেই। আগেও গ্রেগরিয়ান, এরাবিক ও বাংলা সাল গণনা চলতো, এখনো চলছে। পাকিস্তানেও একই রীতিতে সাল গণনা চলছে।
একই ভাবে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়ার অর্থ এই না যে, এ দেশে গ্রেগরিয়ান, বাংলা ও এরাবিক ক্যালেন্ডারের ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে। প্রতিটা ক্যালেন্ডারের বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে আমাদের দেশে। আমরা ১লা বৈশাখ উদযাপন করি, কিন্তু তা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সাথে মিলিয়ে বলি, এবার ১৪ এপ্রিলে ১লা বোশেখ হবে। এভাবে শাওয়ালের চাঁদ, রমজানের ১ তারিখ আমরা গ্রেগরিয়ান পদ্ধতির সাথে মিলিয়ে নিই। কেন? কারণ হলো, আমাদের সারাবিশ্বের সাথে যোগাযোগ করতে হয় গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের টাইমিং অনুযায়ী। বিমান চলাচলের দিন-ক্ষণ বাংলা বা আরবি মাস অনুযায়ী হয় না, হয় গ্রেগরিয়ান পদ্ধতিতে।

ভাষা আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল উর্দুকেই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার প্রতিবাদ এবং বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি। এই আন্দোলন সফল হওয়ায় আজ বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা। আপনার পয়েন্ট হতে পারে- বাংলাভাষা রাষ্ট্রভাষা করার ফলে আমাদের যে সব ফিল্ডে ইম্প্রুভ করার কথা ছিল, তা হয়েছে কিনা, বা কতখানি হয়েছে, ইত্যাদি।

যাই হোক, এ ব্যাপারে আমার মতামতটুকুই বললাম। ধন্যবাদ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩১

ফেনা বলেছেন: একটা প্রশ্ন করি আপনাকে -
আপনার ঘরে একটা টেলিভিশন এনেছে অনেক ঝগড়া করে। আপনার চাচার সাথে মোটা মুটি বড় ধরনের ঝগড়া করেই। যার খেশারত হিসাবে আপনার চাচাদের সাথে সকল প্রকার সেপারেশন হয়ে গেল।
এদিকে আপনার পাশের বাসায় একটা বড় টিভি আছে। এখন আপনি কি নিজের ঘরেরটা রেখে পাশের বাড়িতে চলে যাবেন টিভি দেখতে????
পাশের বাড়িতেই যদি যান তবে চাচাদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করলেন কেন??? টিভিটা নাই কিনতেন।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫০

রিফাত হোসেন বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেব এর মত আমার বাবাও তাই মনে করেন। কারণ আমার বাবা ব্রিটিশ সময়ের লোক। আর চাঁদগাজী সাহেব পাকিস্তান সময়ের।
----

ফেনা সাহেব, আপনি সঠিক।
আমরা চর্চার অভাবে মাস,সাল,দিন(বাংলা) ভুলে যাচ্ছি। কোন মানের জাতি হলে আমরা মিশ্রিত মাতৃভাষায় কথা বলি। আমার দেখা ফরাসী, ইংরেজ, জার্মান, তুর্কি, রাশিয়ান,গ্রীক, বলকান অংশের বিভিন্ন ভাষাভাষীরা মিশ্র ভাষায় নিজেদের সাথে বলে না। তাদের বোকা ভাবার কারণ নেই। তারা শুধু ইংরেজিতে নয় বরং কয়েক ভাষায় পারদর্শী হয়ে থাকে। সাধারণত তারা নিজ ভাষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। আর আমরা আধুনিকতার ভাব ধরার নিয়তে বাংলিশ বলে থাকি অথবা অভ্যাসের কারণে অথবা বাংলা শব্দকোষের অভাবে।
আমিও বলি, অভ্যাস! চেষ্টা করি কম করার।

এসবের প্রভাব আমাদের এই পঞ্জিকাতেও পরে।
৮ই ফাল্গুনকে বাংলা ভাষা আর ২১কে ইংরেজিতে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালন করা যেত।

উপরে অনেক ব্লগার মনে করেন যে, সব জায়গায় বাংলা হলে আমরা পিছিয়ে যাব, তা ভুল। অনেক উন্নত জাতি নিজ ভাষায় এগিয়ে আছে। সাথে সাথে আন্তর্জাতিক ব্যাপারও অনুসরণ করে যাচ্ছে।
আমার সহকর্মী জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি(বাংলায়) সম্ভাষিত কিভাবে করে থাকি?
জবাব ছিল এরকম, কাগজে কলমে কিছু আছে। তবে ইংরেজিতে বলতে বর্তমান যুগের বাংলাভাষীরা পছন্দ করে। কাউকে দুঃখিত বললে চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকবে।

তবে ব্লগার সবুজ সাহেবও সঠিক বলেছেন মনে হচ্ছে। বাংলা রাষ্ট্র ভাষা হলেও আমরা এগিয়ে যেতে পারি নাই।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৩

ফেনা বলেছেন: আসলে আমরা উপনিবেশিক মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে পারিনি।
আমরা দাসত্তেই অভ্যস্থ হয়ে গেছি।
আমাদের এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৩

ফেনা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জ্বী, সহমত I

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৪

ফেনা বলেছেন: শুধু সহমতে কি চলে। ঘরে বাইরে উপনিবেশিক মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসার জন্য সচেতনতা তৈরি করা দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.