নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিও একদিন লাশ হব, সেই লাশ মাটির নিচে থেকে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে অংগার হবে। বৃষ্টি ভিজা কাদায় শরীর ভিজে যাবে, শুধু অনুভবে নিথর লাশ হয়ে রয়ে যাব শেষ বিচারের অপেক্ষায়.......

ফেনা

মুক্ত ও সাদা মনের মানুষ হতে আগে চাইতাম। এখন আর চাই না। এখন একটু মুক্তি চাই, চাই জীবনটা শেষ হবে এই অপেক্ষার অবসান। [ মৃত্যুটা খুব স্বাভাবিক; বেঁচে থাকাটা অস্বাভাবিক।]

ফেনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার সোনার বাংলাদেশ এবং আমার কিছু কথা

১১ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭



বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, এবং কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে না পারায় দেশের অর্থনীতিতে চাপ বেড়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঘাটতি, এবং আমদানি-রপ্তানি ভারসাম্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
সাথে বর্তমান বাংলাদেশে নতুন গণ-অভ্যুত্থানের পর হাসিনা তথা আওমী লীগের পতন হয়েছে মাত্র কয়েক দিন আগে। এরই মধ্যে নতুন করে দায়িত্ত্ব নিয়েছে তত্ত্বাবদায়ক সরকার। সতের সদস্যের এই সরকারে প্রায় সকল সেক্টরের জ্ঞানী গুণিরা আছেন।
বিগত কিছু দিনে দেশের যে পরিমান ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে তাঁর পরিমাণ নির্ণয় করা প্রায় অসম্ভব। সুতরাং এই নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে আমাদের উচিৎ সুন্দর একটা বাংলাদেশ গড়ার আশায় কাজ করা। আর যেন হানা-হানি না হয় সেইদিকে মনোযোগী হওয়া। সম্পুর্ণ বাংলাদেশকে নতুন করে সংশোধিত-পরিমার্জিত করার এখনি সময়। আমি মনে করি এইবার যদি এই দেশকে ঠিক করা না যায় আগত আগামীতে আর সম্ভব হবে না। এই দেশ সামনে না গিয়ে পিছনে চলতে শুরু করবে। যা কখনোই ভাল কিছুর ইঙ্গিত করে না।
সুন্দর বাংলাদেশের লক্ষ্যে আমি এই অতি সামান্য মানুষ কিছু কথা বলতে চাই। চিন্তা করলে তা করণীয় হতে পারে।

নিম্নের এই বিষয়গুলির দিকে মনোযোগী হলে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে খুব দ্রুত রিকভার করা সম্ভব। (ভাল কিছুর জন্য এই তত্ত্বাবদায়ক সরকারের লাগুক না কিছুটা সময়)

### কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান:
১. নিরাপত্তাঃ বর্তমান পরিস্থিতি সামলানোর জন্য এই বিষয়ে নজর দেওয়া খুবই জুরুরী। আমার মনে হয় সর্বোচ্চ গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষোয় হয়ে দাড়িয়েছে।

২.দুর্নীতিঃ নিরাপত্তার বিষোয়টার পর বা সাথেই এই বিষোয়টায় নজর দেওয়া উচিৎ। এই একড়া বিষয় সোনার বাংলাকে প্রায় একটা ডাষ্টবিনে পরিনত করে ফেলেছে। এর থেকে বের হয়ে আসা উচিৎ। শুধু উচিৎ -ই নয় উপায়হীন অবস্থা এখন।

৩.শিক্ষাঃ দেশে শিক্ষা আছে কিন্তু তা কোন পর্যায়ের তা আলাদা করে ব্যাখ্যা করার প্রোজন নেই। এই ব্যবস্থাকে কখনোই কোন প্রকার কাজে বা কল্যাণকর বলা যাবে না। যে শিক্ষা ব্যবস্থা মানুষের নৈতিকরা আর জীবনবোধ শিক্ষা দেয় না সেইটা কখনো শিক্ষা ব্যবস্থা হতে পারে না। সুরতাং এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডেলে সাজাতে হবে।

* বর্তমান যারা শিক্ষক বা শিক্ষিকা আছেন তাদের বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। (আমি মনে করি দেশে এখন সম্পুর্ণ্রুপে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া উচিৎ।)

৪.বেকারত্ত্বঃ অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বেকারত্বের হার বাড়ছে, যা সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করছে। বেকারত্ত একটা পরিবার তথা একটা দেশের জন্য অভিশাপ। এই কথা আলাদা করে বলার কিছু নেই। আশা করি এই বিষটার উপর সরকার আলাদা করে পরিকল্পনা সাজাবেন। দেশের জনসংখ্যার বিশাল একটা অংশ শিক্ষিত-অশিক্ষিত বা দক্ষ-অদক্ষ বেকার। তাদের বিষয়ে নজর দিলে দেশ আরো শক্তিশালী হয়ে সামনে এগিয়ে যাবে।

৫. প্রবাসী / রেমিটেন্সঃ এয়ার্পোটে প্রবাসীদের যথার্থ সম্মান দেওয়ার পাশাপাশি তাদের আসা যাওয়ার খরচ কমিয়ে আনা হোক। যদি পারা যায় বিনামূল্যে বা নাম মাত্র খরচে তাদের বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। এইটা কঠোর হাতে দমন করতে হবে যা এই বিদেশ পাঠানোর নামে যে দালাল (দাজ্জাল মাঝে বসে থাকে তারা কোন ভাবেই না থাকে)বিদেশ যেতে সর্বোচ্চ যাতে পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি না লাগে। দেখবেন দেশে রেমিটেন্সের বৃষ্টি হবে। (কথা কিন্তু সত্য। অনেকেই বিদেশে যেতে চায় কিন্তু খরচের ভয়ে যেতে পারে না। )

*** এই বিষয়টা খুবই গুরুত্ত্বের সাথে দেখা হোক।

৬. মূল্যস্ফীতিঃ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি, খাদ্যশস্য এবং জ্বালানির উচ্চমূল্য সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলছে।

৭. বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভঃ রিজার্ভের ঘাটতি মোকাবেলায় কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এখনও চাপ রয়েছে। আমদানি খরচ কমাতে রিজার্ভ ব্যবহারের হার কমানো হচ্ছে।

রপ্তানিমুখী শিল্পগুলিকে আরও সহায়তা করা, যেমন পোশাক খাতের পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করা, যা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি ভালো উপায় হতে পারে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা করতে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে মুদ্রা বিনিময় নীতি আরও সুদৃঢ় করা জরুরি।

৮. কৃষি ও প্রযুক্তি খাতে উন্নয়নঃ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি খাতে আরও বিনিয়োগ করা এবং প্রযুক্তি খাতকে সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখতে পারে।

৯. উন্নত শাসনব্যবস্থাঃ প্রশাসনিক দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর সংগ্রহ বাড়ানো, দুর্নীতি হ্রাস করা এবং সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন নিশ্চিত করা যেতে পারে।

এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: এখন দরকার ভালো কাজ করা লোকের।ভালো ভালো কথা অনেকেই বলতে পারে।

১১ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

ফেনা বলেছেন: আশা করি এমন ভাল কিছু হবে। আমি নিজেও প্রস্তুত আছি ভাল এবং আলোর দিকে হাটতে।
ভাল থাকবেন সবসময়।

২| ১১ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০২

সোনাগাজী বলেছেন:




একমাত্র ড: ইউনুস ব্যতিত বাকীগুলো বানর।

১১ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪২

ফেনা বলেছেন: কাঊকে হেয় করা ঠিক না। আপনি অন্যকে সম্মান না দিলে আপনাকে কেউ সম্মান দিবা না এইটাই বাস্তব।

আর আমার মনে হয় না তাদের কাউকে আপনি ব্যক্তিগত ভাবে চিনেন। সো ........

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:




এই আন্দোলনে শিবির জয়ী হওয়ায় দেশ গৃহ যুদ্ধার দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। সরকার থেকে শিবির সরে না'গেলে জাতি ইয়েমেনে পরিণত হবে।

১১ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২০

ফেনা বলেছেন: আপনারা কি ভাল কিছু চিন্তা বা ভাবতে পারেন না। আশা করেন বা দোয়া করেন ভাল কিছু হবার জন্য।

ভাল থাকবেন।

৪| ১১ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৩৮

নয়া পাঠক বলেছেন: খালি তেনা প্যাচানো যাদের স্বভাব, তাদের কিভাবে জ্ঞানী বলি? এরা আসলে জ্ঞানীর ভেকে থাকা মুষিক বলেই তাদের অপ্রাসঙ্গিক জ্ঞানের বহর দেখিয়ে বেড়ায়। সত্যি তাদের জন্য দুঃখ হয়। বিগত কয়েকবছর দেশের আম-জনতা যে কি পরিমাণ কষ্ট ভোগ করেছে তার কিছু হিসেবে আজকের কয়েকটি ব্লগে উঠে এসেছে। এত মহাজ্ঞানী মহাপণ্ডিত মহাক্ষমতাধর এই ব্লগে রয়েছে, তাদের কাউকে দেখলাম না সে সব পোস্টে গিয়ে কোন প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করতে। সত্যিই সেলুকাস!

১২ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ফেনা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.