নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুব সাধারণ একজন মানুষ। বিনয়ে বলা সাধারণ নয়, সত্যিকারের সাধারণ। রূঢ় ভাষায় বললে \"গুড ফর নাথিং\"।

বিষাদ সময়

বিষাদ সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈমানের কষ্টিপাথর

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৮



(পুরো লেখাটি আমার সীমাবদ্ধ জ্ঞানের আলোকে লেখা একটি নিজস্ব চিন্তা চেতনা)

আমরা সবাই জানি ঈমান হচ্ছে অংকের ১ এর মতো আর আমল হচ্ছে ০ এর মতো। ঈমান থাকা মানে আপনি অংকের এক বসালেন তারপর যত আমল করবেন ১ এর পর তত শুন্য পড়বে, আপনার নাম্বার বাড়তে থাকবে। আর যদি ঈমান বা ১ না থাকে তার পিছনে যতই শুন্য বসান ফলাফল শুন্য।
আমরা যারা আস্তিক তারা প্রায় সকলেই ঈমানের দাবীদার অর্থাৎ আমাদের ১ আছে। ১ এর পিছে শুন্য বসানো জন্য নামাজ পড়া দরকার, অনেকেই পড়িনা, রোজা রাখা উচিত, অনকেই রাখিনা, জাকাত দেয়া দরকার, দেই না, সুদ খাই, ঘুষ খাই, গীবত গাই। এ দিকে আঙুল তুললে- কারও জবাব অলসতায় পারিনা, কারও জবাব বয়স হলে ঠিক হয়ে যাবে, কারও জবাব এ যুগে এর চেয়ে ভাল থাকা যায় নাকি আর সবচেয়ে বড় কথা আল্লাহ রহমানুর রাহিম তিনি ক্ষমা করে দিবেন। কারণ ঈমান আমাদের দৃঢ়। কিভাবে ? আমরা আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল (সাঃ) বিশ্বাস করি, পরকালে বিশ্বাস করি, ধর্মের নামে কেউ কিছু বললে কষ্ট পাই, নাাস্তিকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ি ইত্যাদি, ইত্যাদি। অতএব আমাদের ঈমান পাকা।

কিন্তু সত্যি কি আমরা যেমন মনে করি আমাদের ঈমান ততটাই পোক্ত? আমার মনে হয় না। কারণটা একটা উদাহরণ দিলেই পরিস্কার হয়ে যাবে। ধরেন আপনার বাসায় এসে থানার ওসি বলে গেল- কাল থেকে যদি দৈনিক পাঁচবার থানায় হাজিরা না দেন তবে থানায় নিয়ে উল্টা করে টাঙ্গানো হবে। তবে কি আপনি ওসির কথা মতো না চলে বিভিন্ন ওজর আপত্তি দেখাবেন? আমার মনে হয় না। কিন্তু আল্লাহ তার আদেশ না মানলে জাহান্নামের ভয় দেখিয়েছেন তারপরও কেন এত ওজর আপত্তি!!!

আপনার ঈমান আসলে ততটা দৃঢ় না। শুধু আশৈশব শুনে আশা ঈমানের ধারনাটা আপনা মনে শক্ত হয়ে বসে আছে। সেটাকে মন থেকে বের করে এনে কষ্টি পাথরে ঘষে তার বিশুদ্ধতা আপনি পরীক্ষা করেননি। আপনার ব্দ্ধমুল ধারনা যে আপনি ঈমানের পরীক্ষায় পাশ।
এই ধারণ থেকে বের হয়ে আসুন একটু যাঁচাই করি-

ইসলামে ঘুষ খাওয়া নিষেধ আপনি নিচ্ছেন। একবার ভাবুন আপনাকে দুদক এর চেয়ারম্যান এসে বলে গেল এর পর ঘুষ নিয়ে আপনাকে ধরে নিয়ে গিয়ে পত্রিকায় ছবি ছাপিয়ে দিবে তারপরও কি আপনি ঘুষ খাবেন? খাবেন না। তারমানে আপনি ঈমানের পরীক্ষায় ফেল।

আপনি পাড়া পরশির হক মেরে খাচ্ছেন। চেয়ারম্যান এসে বলে গেল পড়শির হক আদায় না করলে কাল আপনাকে হাটের মাঝখানে বেঁধে পিটানো হবে । তারপরও কি আপনি পড়শির হক আদায় করবেন না? যদি করেন তাহলে আপনি ঈমানের পরীক্ষায় ফেল।

আপনি গীবত গান। ডিবি থেকে এসে বলে গেল আগমীকাল থেকে গীবত গাওয়া বন্ধ না করলে ডিম থেরাপি দেয়া হবে । তারপরও
আপনি গীবত গাইবেন? মনে হয় না। আবারও আপনি পরীক্ষায় ফেল।

আপনার কাছে আল্লাহর চেয়ে দুদক, চেয়ারম্যান বা ডিবির ভয় বড়। দোযখের আগুনের চেয়ে ইহকালের শাস্তি বড় । তারমানে আপনি ফেল। ঈমানের পরীক্ষায় ডাহা ফেল। অতএব আশৈশব ঈমানের দৃঢ়তার কল্পনা করে যে বেহেশতের আশায় বসে আছেন তা কল্পনার ফানুস মাত্র। বাস্তবতার কষ্টিপাথরে যাঁচাই করলে তা থেকে হয়তো বার আনাই খাদ বের হবে।

ছবি-https://pixabay.com/photos/tree-sunset-clouds-sky-silhouette-736885/

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘জিনাকারী যখন জিনায় লিপ্ত হয়, তখন সে মুমিন থাকে না। যখন কেউ মদপান করে, তখন সে মুমিন থাকে না। কেউ চুরি করার সময় মুমিন থাকে না এবং কোনো ছিনতাইকারী এমনভাবে ছিনতাই করে যে, ভুক্তভোগী তার দিকে অসহায় তাকিয়ে থাকে; তখন সে (ছিনতাইকারী) মুমিন থাকে না। (সহিহ বুখারি: ৬৭৭২)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২৭

বিষাদ সময় বলেছেন: ব্লগ বাড়িতে আসায় ধন্যবাদ। নতুন একটা হাদিস জানলাম।
মুমিন না থাকলেও মুসলিম থাকে কি?
অনেক অনেক শুভকামনা।

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ঈমানের জোর ইন্ডিভিজুয়াজি মাপা যায় না,ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যহাসিল করলে বুঝা যায়।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩১

বিষাদ সময় বলেছেন: ঈমানের জোর ইন্ডিভিজুয়াজি মাপা যায় না,ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যহাসিল করলে বুঝা যায়।

আমি তেমন কিছুই বুঝলাম না !!! :(
শুভ কামনা।

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যে কি বুঝাতে চাচ্ছেন সেটাই আমি বুঝতে পারলাম না।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:২২

বিষাদ সময় বলেছেন: আমি হয়তো ঠিকমত বোঝাতে পারিনি। সেটা আমারই ব্যর্থতা।
শুভকামনা।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার একটি পোস্ট দেয়ার জন্য। ব্লগে ধর্ম বিষয়ক নিজস্ব উপলব্ধির পোস্ট খুবই কম। সুস্থ আলোচনা ও প্রশ্ন করা ক্ষেত্র বিশেষে কঠিন হয়ে দাঁড়ায় বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারেন।

আমার ধারনা, এই দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে ধর্ম বিষয়টি পরিষ্কার নয়। যেমন দেখুন না, কোরান শরীফ অর্থ সহ বুঝে পড়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে অনেকগুলো ধাপ আছে। আমি নিজস্ব ব্যস্ততার মাঝে সময় পেলে কোরান অর্থ সহ পড়তে চেষ্টা করি। মজার ব্যাপার হলো, একটু অনুসন্ধিৎসু মানসিকতা থাকলে, অনেক সময় কোরানের একটা আয়াত বুঝতেই অনেক সময় লাগে।
যেমন বেশ কিছুদিন আগে সুরা নিসার একটি আয়াত পড়লাম। সেখানে বলা হয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যখন তোমাদের সালাম দেওয়া হবে, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে অথবা জবাবে তাই দেবে।’ (সুরা-৪ নিসা, আয়াত: ৮৬)।
কিন্তু এই আয়াতটি পড়ে আমার বেশ কিছু বিষয়ে প্রশ্ন জাগ্রত হলো বা সালাম সম্পর্কে আমার প্রচলিত ধারনার সাথে কনফ্লিক্ট করছে। এই বিষয়ে স্বচ্ছ ধারনার জন্য আমাকে পুরো সুরার আরো বেশ কিছু আয়াত সম্পর্কে পড়তে হয়েছে। জানতে হয়েছে এটা কোন প্রেক্ষাপটে নাজিল হয়েছে, বিভিন্ন তাফসীরকারকরা সম্ভাব্য কি ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ইতিহাস এবং হাদিসের বক্তব্যের কতখানি মিল আছে বেশ কিছু।

আমি এই কাজটা খুব আনন্দ নিয়ে করেছি। এবং প্রায় দেড় দুই মাস পর আমার আল্লাহর রহমতে সালাম সম্পর্কে আমার ধারনা পরিষ্কার হলো। সেজদায় পড়ে মাথা নত হলো যে, আল্লাহ কত মহান এবং ইসলাম কেন আধুনিক এবং শান্তির একটি ধর্ম।
আমাদের দেশে অনেকেই যারা ধর্মের সমালোচনা করেন, তারা শ্রেফ এক লাইনের অনুবাদ দেখে ঝাপিয়ে পড়েন।
মুসলিম প্রধান দেশ হিসাবে বাংলাদেশে দৈনন্দিন সম্ভাষনে 'সালাম' সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। স্থানীয় সমাজ ব্যবস্থা অনুসারে সালাম নিম্ন থেকে উর্ধগামী অর্থাৎ সবাই ছোটদের কাছ থেকে সালাম প্রত্যাশা করে। এখানে বয়সের চাইতে গুরুত্বপূর্ন সামাজিক অবস্থান, আর্থিক অবস্থা, পদবী ইত্যাদি এবং সব শেষে বয়স। যেমন অফিসের দারোয়ান সবাইকে আগেই সালাম দেন কিন্তু অনেক সময় তিনি বয়সে বড় হলেও আগে সালাম পান না। কেউ ভাবেও না যে একে সালাম দেয়ার প্রয়োজন আছে। অথচ ইসলাম কিন্তু আমাদেরকে সাম্যবাদেরই শিক্ষা দেয়।

সাধারনত পরিচিত অপরিচিত সবাইকে সালাম দেয়ার বিধান রয়েছে। অর্থাৎ ইসলামিক সংস্কৃতি অনুসারে একে অন্যকে দেখলেই সালাম দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আমরা এখন সাধারনত রাস্তায় পরিচিত ছাড়া অন্য কাউকে সালাম দিই না বললেই চলে।

সালাম নিয়ে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় হচ্ছে - ভিন্ন ধর্মের লোকদের সালাম দেয়া যাবে না। এটি চুড়ান্ত মিথ্যে কথা এবং ধর্মের নামে জালিয়াতি। এই ধরনের হীণমন্যতা ইসলাম ধর্মে নেই।

সালাম প্রথমত একটি সম্ভাষন। সাধারন দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনা করলে সালামের অর্থ শুভ সকাল বা শুভ দুপুর বা গুড লাকের চাইতে সেরা। সালাম অর্থ শান্তি। ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে আসসালামু আলাইকুম মানে আপনি ঐ ব্যক্তির উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষনের ইচ্ছা পোষন করেন এবং পাশাপাশি আপনার তরফ থেকেও শান্তি এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছেন। এটাই সালামের মূল ব্যাখ্যা।

ইসলাম প্রচার এবং প্রসার হয়েছে উদারতা এবং মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। রাসুল সাঃ শেষ ভাষন হিসাবে যা স্বীকৃতি পেয়েছে সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে সাম্যবাদের কথা, সকলের সমান অধিকারের কথা। ফলে একজন নন মুসলিমকে সালাম দেয়া যাবে না – সঠিক নয়।
সালামের মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্য এবং মহত্ব প্রকাশ পায়। যেখানে একজন মুসলিম অমুসলিম সবাইর উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষনের আহবান জানানো হয়। আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কেউই সঠিক পথে আসতে পারেন না। একজন মানুষ তখনই প্রকৃত শান্তি লাভ করবেন যখন সৃষ্টিকর্তার রহমত পাবেন, ইসলামের পথে আসবেন।

আল্লাহ হচ্ছেন সর্বশেষ্ঠ দয়ালু। তিনি দয়া করতে ভালোবাসেন এবং যারা দয়া করে তাদেরকেও তিনি ভালোবাসেন। ফলে কেউ যদি আমার খারাপও চায়, তাঁকে ক্ষমা করে দিয়ে তার শান্তির জন্য দোয়া করার মধ্যেই লুকিয়ে আছে মানবিকতা এবং মহানুভবতা। যা মূলত ইসলামের অন্যতম ভিত্তি। বিভিন্ন যুদ্ধকালীণ অবস্থার উপর ভিত্তি করে যে সকল আয়াত নাজিল হয়েছে, সেইগুলো নিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অনেক মিথ্যাচার করা হয়।

এই যে কোরান নিজের প্রচেষ্টা পড়ছি, একটি আয়াত বুঝার জন্য আমি নিজে হয়ত দেড় দুই মাস সময় নিচ্ছি - আমি বিশ্বাস করি, আমার এই প্রচেষ্টাটি যদি ভুলও হয়, আল্লাহ আমাকে অন্তত ক্ষমা করবেন। আমি অন্ধভাবে বিশ্বাস করি নি, বরং আমি আল্লাহর মহত্ব এর উপর বিশ্বাস রেখে পড়ার চেষ্টা করেছি।

তবে আপনার কথা অনুসারে, আমাদের ঈমান কত খানি শক্ত সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। ঈমান বা ১০০ ভাগ বিশ্বাস করলে, আমরা কেউই হয়ত নামাজ কাজা করতাম না, মিথ্যে বলতাম না।

তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, তিনি বিচারদিনের মালিক। তিনি নিশ্চয়ই আমাদের অন্তরযামীও। আশা করি তিনি হয়ত আমাদের ক্ষমা করবেন।

দুঃখিত অনেক বড় মন্তব্য করলাম।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩২

বিষাদ সময় বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে দেখে ঘাবড়ে গেছিলাম। মনে করলাম হয়তো ব্লগীয় কোন ধারা ভঙ্গের দায়ে ওয়ারেন্ট নিয়ে হাজির
হয়েছেন। :)
পরে সম্পূর্ণ মন্তব্য পড়ে বুঝলাম যে আপনি আমার ব্লগ বাড়িতে অতিথি হয়ে এসেছেন । সাথে করে উপহার হিসাবে এনেছেন আপনার মূল্যবান মতামত। স্বাগত।

শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও আপনি দ্বিনকে জানার জন্য যে ইফোর্ট দিয়েছেন তা প্রশংসার দাবীদার। নিশ্চয় আল্লাহ আপনার এ উত্তম কাজের প্রতিদান দিবেন।
গত এক বছর ধরে আমি কোরআন এর একাধিক অনুবাদ পড়ছি। প্রথমে অনুবাদ পড়ছি এ কারণে যে যাতে কোরআন এর পুরো কন্টেন্ট আমার চোখের সামনে থাকে এবং এ থেকে আমার নিজের কি ধরণা হচ্ছে তা বুঝার চেষ্টা করছি। পরবর্তীতে তফসির পড়ে নিজের ভাবনার বিচ্যুতিগুলো খতিয়ে দেখবো। ইতোপূর্বে অবশ্য অনেক সূরার তফসির পড়া আছে।

আমাদের দেশে অনেকেই যারা ধর্মের সমালোচনা করেন, তারা শ্রেফ এক লাইনের অনুবাদ দেখে ঝাপিয়ে পড়েন।

আপনার এ বক্তব্যের সাথে একটু দ্বিমত আছে। শুধু এক লাইনের অনুবাদ পড়ে নয় সেই সাথে আমাদের মেঠো হুজুরদের বক্তব্য, আল কায়েদা, আইসিস বা তালেবানদের কর্মকাণ্ডও তাদেরকে সমালোচনার সুযোগ করে দেয়।

আমাদের নবী (সাঃ) নবুওতি লাভের আগে থেকেছেন ধ্যান নিমগ্ন, ক্ষমা করেছেন তার উপর অত্যাচারিদের, কঠোর পরিশ্রম করেছেন ,সর্বোচ্চত্যাগ স্বীকার করেছেন আর আল্লাহ বার বার কোরআনে বলেছেন " তোমরা ঈমান আনো ও সৎকর্ম করো"। সেই ধ্যান, ক্ষমা, পরিশ্রম, সৎকর্ম বা আত্মত্যাগ কোন কিছুই এখন আমাদের কাছে আর নাই মূখ্য হয়ে গেছে ভোগ, হিংসা, ঘৃনা, আনুষ্ঠানিকতা এবং অসহিস্ঞুতা।

আপনার মূল্যবান মতামত তুলে ধরায় অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

বিষাদ সময় বলেছেন: ধন্যবাদ ও অফুরন্ত শুভেচ্ছা।

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আল্লাহর ভয়ে অথবা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে যে লোকটা সারাদিন না খেয়ে থাকে (রোজা), সে লোকটাই আবার কেমনে সুদ খায়, মিথ্যে কথা বলে, লোক ঠকায়- সেটাই আমার মাথায় ধরে না।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

বিষাদ সময় বলেছেন: দুইটাই মনে হয় লাভ আছে একটাই পরজাগতিক লাভ, আরেকটাই ইহ জাগতিক লাভ। :)
আমি যতটুকু বুঝি ধর্ম বেশির ভাগ লোকের কাছে যতটা না বিশ্বাসের তার চেয়ে বেশি অভ্যাস এবং প্রথাগত। ধন্যবাদ।

৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: শুরুটা চমৎকার হয়েছে। যে পোস্ট এভাবে শুরু হয়, সে পোস্টে আগে না বেড়ে পাঠকের উপায় নেই। সেই সাথে ছবিটাও আকর্ষণীয় হয়েছে। + +

তবে পোস্টের নীচে দেয়া ছবির সূত্রটা মন্তব্যের ঘরে একবার কোথাও উল্লেখ করলে ভালো হতো, কেননা পোস্ট থেকে সরাসরি কোন লাইন কপি-পেস্ট করা যায় না।

আপনি ঈমানের যে পরীক্ষাগুলো কষ্টি পাথরে যাচাই করে নেয়ার কথা বললেন, তা করতে গেলে নির্ঘাত আমরা অধিকাংশই ফেল করবো। সৌভাগ্যবান যারা, তাদের মধ্যে বোধোদয় ঘটে কিছুটা আগে, বাকি অধিকাংশের ক্ষেত্রে একেবারে শেষ বয়সে এসে , যখন আর পাপ করার শক্তি বা সামর্থ্য থাকে না। বাকিদের ক্ষেত্রে সেটাও হয় না।

'কাল্পনিক_ভালোবাসা'র মন্তব্যটা ভালো লেগেছে, সেই সাথে আপনার চমৎকার উত্তরটাও। +

"তোমরা ঈমান আনো ও সৎকর্ম করো" - এ আদেশটি ক্বোরানে বহুবার করা হয়েছে। সৎকর্ম কী, তারও দৃষ্টান্ত বারে বারে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আল্লাহতালা 'বিবেক' বলতে একটি অদৃশ্য শক্তি মানুষকে দিয়েছেন, যে শক্তির বলে মানুষ আত্ম-জিজ্ঞাসার দ্বারা 'সৎকর্ম কী' তা বুঝতে পারে।






০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১৫

বিষাদ সময় বলেছেন: পোস্টে এসে উৎসাব্যঞ্জক এবং বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুধু ধর্ম নয় বহু বিষয়েই আমরা দ্বিচারিতা করি। আমাদের বেশির ভাগ মানুষের কাছে ধর্ম যতটা না বিশ্বাসের তার চেয়ে বেশি প্রথা গত। এ কারণেই আমার মনে হয় আমাদের ধর্মীয় আচরন গুলো খুব ভারসাম্য পূর্ণ নয়। ভাল থাকবেন।

ছবির লিন্কঃ Click This Link

৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: লিঙ্কে ক্লিক করে দেখলাম, ছবিটা পোস্টে যেভাবে এসেছে তার চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল, আরও অনেক চমৎকার! লিঙ্ক দিয়ে ছবিটা দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আর প্রতিমন্তব্যে যা কিছু বলেছেন, তার সাথে কোন দ্বিমত নেই।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

বিষাদ সময় বলেছেন: আবার এসে মন্তব্য করায় এবং সহমত পোষণ করায় অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.