নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুব সাধারণ একজন মানুষ। বিনয়ে বলা সাধারণ নয়, সত্যিকারের সাধারণ। রূঢ় ভাষায় বললে \"গুড ফর নাথিং\"।

বিষাদ সময়

বিষাদ সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভাজনের তিক্ত কথন

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৩





আমার এই পোস্টের প্রায় সকল বক্তব্যের প্রেক্ষাপট ২০২২ সালের জুন, জুলাই পর্যন্ত। তার পরবর্তী প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন....কাজেই পরবর্তী সময়ের সাথে সকল বক্তব্য না মেলানোর অনুরোধ থাকবে।


কোন দল ব্যাক্তির বিরোধীতা নয় যুক্তির পাল্টা যুক্তি প্রদানই মূলত আমার উদ্দেশ্য থাকে। সকল মুদ্রারই একটি বিপরীত পিঠ থাকে। যখন কেউ মুদ্রার এপিঠ দেখান তখন আমি তাকে ওপিঠ দেখাতে চেষ্টা করি আর যখন মুদ্রার ওপিঠ দেখানোর চেষ্টা করা হয় তখন আমি মুদ্রার ওপিঠ নিয়ে কথা বলি।

তাহলে কি আমি বিজ্ঞ, নিরপেক্ষ। মোটেই না, আমি নিজেকে অজ্ঞ বলেই মনে করি। নিরপেক্ষ ভাবে চিন্তা করতে চেষ্টা করি। তবে নিজের ভিতরের কিছু আবদ্ধ চিন্তা চেতনা থাকে যা থেকে কেউই সহজে মুক্তি পায় না, আমিও না। তাই কোন কোন ক্ষেত্রে মতামত পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু অনেকের চেয়ে আমি নিজেকে স্বতন্ত্র মনে করি এ কারণে যে নিজের প্রতিটি চিন্তা ভাবনাকে আমি প্রতি নিয়ত বিভিন্ন দৃষ্টি কোন দিয়ে পরীক্ষা করার চেষ্ট করি।

এ ব্লগে কারও সাথে মতে মত মিলে, কারও সাথে নয়। কিন্তু যারা ভাল লেখেন, ভাল জানেন বা আমার চেয়ে বয়োজ্যেষ্ট তাদের শ্রদ্ধা করার চেষ্টা করি।

আমি ভাল লিখতে পারি না। তাই আমার ভিন্ন মত, যুক্তি আমি যার যার পোষ্টেই দেয়ার চেষ্টা করি। আমার জন্য সেটাই সহজ। কিন্তু বিজ্ঞদের কাছ থেকে অবজ্ঞা পেলে সেখানে আর যেতে ইচ্ছে করে না। হতে পারে সেটা আমারই ভুলে বা আমারই ধৃষ্টতার কারণে।

কিছু ব্যাক্তি আছেন যারা দেশের উন্নয়নকে সর্বদা তাচ্ছিল্যের সাথে অস্বীকার করেন তারা মানসিক প্রতিবন্ধী। আর যারা শত সহস্র সমস্যা দেখেও শুধু উন্নয়নের জপমালা পড়েন তারা দলকানা।

দেশের যে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে এটা চোখ থাকলে দেখা যায়, জ্ঞান থাকলে বোঝা যায়। তর্ক হতে পারে এ উন্নয়নের সমতা, সঠিক পরিকল্পনা বা অর্থ ব্যায় নিয়ে।


যাহোক এ গুলো সবই ধান ভানতে শীবের গীত। মূল কথা হচ্ছে ব্লগে কদিন ধরে মাছ, মাংস নিয়ে বেশ জমজমাট আলোচনা চলছে সে
প্রেক্ষিতেই কিছু পরিসংখ্যান, কিছু বক্তব্য।



Source


People's dependence on rice as a staple has declined while the consumption of nutritious foods such as fish, meat, milk and vegetables has increased, according to the Household Income and Expenditure Survey 2022 of the Bangladesh Bureau of Statistics; which experts say indicates a rise in per capita income.

Agriculture expert Dr Jahangir Alam said there is a positive correlation between the increase in people's income and the consumption of nutritious food.
"For every 1% increase in the income of poor people, the demand for rice or wheat increases by less than 0.3%, whereas the demand for fruits, milk and vegetables increases by 1.5%. The rise in the consumption of nutritious food indicates an increase in people's income," he said.
He also notes that the production of fish, meat, fruits, and vegetables in Bangladesh has been increasing by more than 5% over the past decade. The dependence on rice has declined as the production of nutritious food has increased.


এ থেকে সাধারণ ভাবে বোঝা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ভাতের চেয়ে মাছ, মাংস, ফল আগের চেয়ে বেশি খাচ্ছে। এর প্রথম কারণ অর্থনৈতিক উন্নতি, দ্বিতীয়টি স্বাস্থ্য সচেতনতা।





Source



উপরোক্ত গ্রাফ দেখা যায় যে ২০০৬ সালের তুলনায় ২০২০ সালে জনপ্রতি গরুর মাংস গ্রহণের পরিমাণ কমে গেছে। আমার ধারণা বাসা বাড়িতে গরুর মাংসের চাহিদা গ্রাফে প্রদর্শিত চিত্রের চেয়েও কম। কারণ বর্তমানে হোটেলের তেহারী এবং বিরানীর চাহিদা ব্যাপক। এখানে প্রচুর পরিমাণে গরু এবং খাসির মাংস ব্যাবহৃত হয়। মুখরোচক, তুলনামূলক ভাবে সস্তা এবং খাওয়ার ঝামেলা কম হওয়ায় এক শ্রেণীর মানুষের কাছে এ দুটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পারিবরিক ভাবে গরুর মাংস খাওয়া কমে যাওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং ভারত থেকে গরু আমাদানী বন্ধের ফলে এর দামের উলম্ফন।

প্রবাদ ছিল মাছে ভাতে বাঙালী। আমার মনে আছে ১৯৮০-৮১ সালের দিকে আমাদের গ্রামের বাড়ির পাশ দিয়ে শীতকালে শাক, সবজি, মাছ কৃষক বা জেলেরা হাটে নিয়ে যেত। তখন প্রায় প্রতিদিন জেলেদের দাড় করিয়ে আমরা এক টাকার চিংড়ি বা দু টাকার পাচ মিশালী মাছ কিনতাম। প্রত্যেক জেলের মাছের খাড়ির ভিতর একটা প্লেট থাকতো । এক টাকার চিংড়ি বা দু টাকার পাচ মিশালী মাছ দেয়া হতো উঁচু করে এক প্লেট । আমার ধারণা সেই কুচো চিংড়ির দাম এখন এক হাজার টাকা হবে।

মৌসুম ব্যাতিত ইলিশের কেউ দেখা পেত না। মৌসুমে এই মাছ, কুচো চিংড়ি আর পুঁটি ছিল গরীবের আমিষ। আর অসময়ে গরীবের প্রোটিন ছিল শুটকি। এখন এগুলোর প্রায় সবই শুধু দরিদ্র না মধ্যবিত্তের আয়ত্তের বাইরে চলে গেছে।

এখন গরীব, মধ্যবিত্তরা বেঁচে আছে চাষের মাছ, ফার্মের মুরগী আর ডিম খেয়ে। নদী, নালা, খাল, বিলের উৎকৃষ্ট মাছ তাদের কাছে অধরা।

কিন্তু এ রকম চিত্র হওয়ার কারণ গুলো কী?
কারণ-
১. জনসংখ্যা বৃদ্ধি।
২. জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়া।
৩. পানি দূষণ।
৪. রুচির পরিবর্তন।
৫. প্রচুর পরিমাণে নব্য কোটিপতি সৃষ্টি।
৪, বিপণন ও সংক্ষণ ব্যবস্হার উন্নতি।
৫. রপ্তানী।
৬. সিন্ডিকেট

ইত্যাদি।

ছবি ও গ্রাফ নেট থেকে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৪

ইসলামী জ্ঞান বলেছেন: ধন্যবাদ

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

ইসলামী জ্ঞান বলেছেন: অসাধারণ কথা বলছেন ভাইয়া,

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৮

বিষাদ সময় বলেছেন: সাধারণের কথা আপনার কাছে অসাধারণ লাগায় কৃতজ্ঞ।

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:



তথ্য ও বক্তব্য সঠিক।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৯

বিষাদ সময় বলেছেন: সাথে থাকায় ধন্যবাদ । ভাল থাকুন।

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৯

নিমো বলেছেন: গত কয়েক বছরেতো কাচ্চি বিরিয়ানিতো দেশের জাতীয় খাবারে পরিণত হয়েছে ! এমন কোন চিপা-চাপা পাওয়া মুশকিল, যেখানে কাচ্ছি অমুক-তমুক নাই।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০০

বিষাদ সময় বলেছেন: একেবারে সঠীক কথা বলেছেন।
সে কারণেই হাসপাতালে রুগীর যোগানের কমতি নাই। ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: সামাজিক উন্নতি কতটা হয়েছে,তার কোন গ্রাফিক্স আছে কি?দেশে কি গনতন্ত্রমনা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে নাকি মৌলবাদীর সংখ্যা বেড়েছে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৫

বিষাদ সময় বলেছেন: সামাজিক উন্নতির মানদণ্ড নিয়েই মনে হয় যথেষ্ট বিতর্ক আছে তাই এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া খুব কঠিন।
মৌলবাদ যে বেড়েছে এটা সন্দেহাতীত। কিছু ব্যাক্তির কাছে অবশ্য সেটা উন্নয়নের লক্ষণ।

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মধ্যবিত্তরা বেঁচে আছে চাষের মাছ, ফার্মের মুরগী আর ডিম খেয়ে। আসলেই।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৭

বিষাদ সময় বলেছেন: চাষের মাছ, মাংস যদি না থাকতো তাহলে মধ্যবিত্তের থালায় মনে হয় আমিষ থাকতো না। ধন্যবাদ সহমত পোষণ করায়।

৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪৭

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ।আমি তার সাথে এমন আচরণ করবো যেমন আচরণ আমি তার কাছ থেকে আশা করি।আমার দৃষ্টিতে এটাই সামাজিক উন্নতি।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪২

বিষাদ সময় বলেছেন: সেদিক দিয়ে বিবেচনা করলে উন্নতি না অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। ধনতন্ত্রের ইতিবাচক দিকগুলো রপ্ত করার আগেই খারাপ দিকগুলোর শাখা প্রশাখা বিস্তার লাভ করেছে।

৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। সঠিক তথ্য তুলে ধরেছেন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪২

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার কমেন্ট পেয়ে ভাল লাগলো । কারণ কিছু্ ব্লগার ভাল লিখেন এবং লজিক্যাল কমেন্ট করেন তাদের মধ্যে আপনি একজন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.