নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সঃ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল

মোঃ আল মামুন শাহ্

মোঃ আল মামুন শাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাচনের পদ্ধতি এবং আমার ভাবনা ১

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৭

আলহামদু লিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালাম আলা রাসুলিল্লাহ

সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে আমাদের সবারই কমবেশি ভাবনা রয়েছে। আমিও নির্বাচন নিয়ে অনেক ভাবি। নির্বাচনকেন্দ্রিক অনেক পদ্ধতি আমার ত্রুটিপূর্ণ মনে হয়। আমার চিন্তা ভাবনার মাধ্যমে সেগুলোর কাঙ্ক্ষিত সমাধান বের করার চেষ্টা করেছি। আজ থাকছে প্রথম ত্রুটি ও তার সমাধানঃ

প্রথম ত্রুটি ও তার সমাধানঃ

বর্তমানে নির্বাচন ব্যবস্থার পদ্ধতি হল মার্কা ও সিল সিস্টেম। কোন দলের দলীয় প্রতীক বা মার্কায় সিল দেওয়ার মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সিস্টেম। এ ব্যবস্থায় আংশিক মতামত প্রকাশ করা যায়। অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে ভোটের মাধ্যমে কারো আংশিক বা অসম্পূর্ণ মতামতের প্রকাশ ঘটে। ব্যাপারটা একটু বুঝিয়ে বলছি।

ধরুন একটি নির্বাচনের দুজন প্রার্থী ক এবং খ দাঁড়িয়েছে। এখন ক এবং খ উভয়ের কিছু গুন আমার ভালো লাগে এবং কিছু গুন আমার খারাপ লাগে। মার্কা ও সিল সিস্টেমের ক্ষেত্রে, যাকে আমার বেশি ভাল লাগে'তার মার্কায় ভোট দিব। কিন্তু এতে করে কি হলো? একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, যাকে আমি ভোট দিলাম তার খারাপ গুনকে তো আমি সাপোর্ট করলাম। ঠিক না? তাকে ভোট দিলাম তার মানে তার ভালো গুণগুলোর সাথে সাথে খারাপ গুন গুলো আমি গ্রহন করলাম বা সাপোর্ট করলাম। অপরদিকে প্রার্থী খুব এর কিছু ভাল গুণ ছিল। কিন্তু আমি মার্কা সিস্টেমের মাধ্যমে সেগুলো কে সাপোর্ট করতে পারলাম না। ব্যাপারটা এরকম যে কেউ পেল ৭০ তাকে আমি দিলাম ১০০। আর কেউ ৪০ পেল কিন্তু তাকে দিলাম ০০। এটা কি কখনো নিরপেক্ষতা হতে পারে?

তাহলে বলা যায় মার্কা সিস্টেমের মাধ্যমে মতামত এর আংশিক প্রতিফলন ঘটে। ফলে এই সিস্টেম ত্রুটিপূর্ণ। ভোট পদ্ধতিতে নিরপেক্ষতা বজায় এবং মতামতের প্রতিফলন ঘটানোর জন্য আমার কিছু ভাবনা রয়েছে।

আমি এর নাম দিয়েছি শতকরা পদ্ধতি অথবা মাল্টিপল ভোটিং সিস্টেম। এই পদ্ধতিতে একজন ভোটার প্রত্যেক প্রার্থীকে ভোট দিবেন। কি ব্যাপারটা গোলমেলে হয়ে গেল মনে হয়। না বুঝিয়ে বলছি।

ধরুন একটি নির্বাচনে ক খ এবং গ তিনজন প্রার্থী রয়েছে। এখানে তিনজনেরই মার্কা রয়েছে তবে মার্কার পাশে, খালি বক্স রয়েছে যেখানে ভোটারগণ তাদের বিবেচনা অনুযায়ী প্রার্থী ক খ এবং গ একশ তে নম্বর দেবেন। যাকে তার বেশি ভালো লাগবে তাকে বেশি নম্বর দেবেন, আর যাকে কম ভালো লাগবে তাকে কম নম্বর দেবেন। ধরুন সে নম্বর দিয়েছে

ক =৮০
খ= ৬০
গ=৪০

এভাবে প্রত্যেক প্রার্থীদের নম্বরের গড়ে যে সবচেয়ে বেশি নম্বর পাবে সেই বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হবেন। এ পদ্ধতিতে আমার মনে হয় মতামতের সম্পূর্ণ প্রকাশ ঘটে। এবং এ পদ্ধতির মাধ্যমে আমার সাপোর্ট করা ব্যক্তির খারাপ গুন গুলো কেও বিবেচনায় আনার সুযোগ থাকে।

আগামী পর্বে ইনশাল্লাহ অন্য আর একটি ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করব। তবে এগুলো আমার চিন্তাভাবনা মাত্র। আমি এগুলোকে আরও উন্নত করতে চাই। দয়া করে ব্লগার ভাইরা এ বিষয়ে আপনাদের মতামত জানাবেন।
চলবে....

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

সনেট কবি বলেছেন: এতে ফল প্রকাশে বিলম্ব হবে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন কবি ভাই। ফল প্রকাশে কয়েকদিন সময় নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কারো ভালোর সাথে খারাপ এর সাপোর্ট করা থেকে বাঁচা যাবে ইনশাআল্লাহ।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো লাভ নাই।
এবারও আগের মতো নির্বাচন হবে।
মাঝখান দিয়ে আমাদের হাউকাউ করে লাভ কি??
ফলাফল শূন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.