নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সঃ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল

মোঃ আল মামুন শাহ্

মোঃ আল মামুন শাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবা ছেলের সম্পর্ক, মধুর নাকি তিক্ত

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০২

আল হামদুলিল্লাহ ওয়াস্ সালাতু ওয়াস সালাম আলা রাসূলিল্লাহ

মা-ছেলের মধুর সম্পর্ক নিয়ে উপলব্ধির ভিন্নতা না থাকলেও বাবা-ছেলের সম্পর্ক নিয়ে একেকজনের উপলব্ধি একেক রকম। কেউ বা বলবেন, ''আমার বাবা কঠিন হৃদয়ের, রাগী, সব সময় শাসনের উপর রাখার চেষ্টা করেন।" আবার কেউবা বলবেন ''মোটেও না, আমার বাবা আমার জীবনের সবচেয়ে কাছের মানুষ। আমি আমার বাবাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি।" যারা দ্বিতীয় মতের পক্ষে তারা সত্যিই অনেক ভাগ্যবান। তবে আমি আজকে বলছি প্রথম মতের বিষয়ে।

আসলে স্বাভাবিকভাবে বাবারা একটু বেশি শাসন করেন। রাগী রাগী কথা বলেন। কিশোর বয়সে সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করি বাবার কঠোরতা। দুরন্তপনা, দস্যিপনা বাড়ার সাথে সাথে বাবার শাসনের মাত্রাটাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। এছাড়া শিশু কিশোর বয়সে আমাদের নানারকম চাহিদা থাকে। উদ্ভট মর্জি ও থাকে। বাবারা সব সময় সেটা হয়তো পূরণ করতে পারেন না বা করে না। যার ফলে আমাদের রাগ বা জেদ কাজ করে। তারা হয়তো আমাদের ভালোর জন্যই এটা করে থাকেন। কিন্তু এরকম আচরণের মাধ্যমে বাবা ছেলের সম্পর্কের ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়।

সেই দূরত্ব কে কেউ আজীবনেও আর কাছের করে নিতে পারেন না। আবার কেউবা বাবার জীবনের একবারে শেষ পর্যায়ে যেয়ে এই দূরত্বকে কিছুটা ঘোচাতে চান। কিন্তু বাবার প্রতি আমাদের দায়িত্বটা অপূর্ণই থেকে যায়।

বাবা তো আমাদের ভালোর জন্যই করেন, তিনি যদি আমাদের যখন তখন এর সব ইচ্ছা পূরণ করেন, তবে তো আমাদের বখে যেতে আর সময় লাগবে না। দিন দিন চাহিদা বাড়তেই থাকবে। আর সেটা পূরণ করতে না পারার কারণে আমরাই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে বসবো। আবার অপরদিকে আমাদেরও কিশোর বয়সের দুরন্তপনাকে দায়ী করতে পারব? এটাতো একটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি। জীবনে হয়তো এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে আমি অন্যায় করেছি কম কিন্তু বাবা বেশি মেরেছে, বেশি রাগ করেছে, বকাঝকা করেছে। ফলে রাগ হওয়াটাই তো স্বাভাবিক ঠিক না? ছোট ছিলাম বলে কি আর আত্মসম্মানবোধ বলতে কিছু নেই নাকি??

তবে এখন অনেকটাই বুঝতে পারি। বাবাদের বকাঝকা, রাগ ইত্যাদি আমার জীবনের ভালোই করেছে। কিন্তু তবুও না কেন যেন বাবার থেকে দূরত্বটা কমিয়ে আনতে পারছি না। আসলে এটা কি লজ্জা নাকি অপমান বোধ নাকি অন্য কিছু???

যদি এ ব্যাপারে কারো সাজেশন থাকে তবে বলবেন প্লিজ।


যাযাকাল্লাহু খাইরান

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৩

মনস্বিনী বলেছেন: বাবার কাছে লজ্জা আর মান অপমান কি?

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২২

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে। জান না ব্যাপারটা কি? চাচ্ছি দূরত্বটা কমাতে। কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠছি না।

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৬

অভীক অর্ণব বলেছেন: কখনো মধুর কখনো তিক্ত। আমাদের সমাজে বাবাদের বড় ভুল নিজেদের দর্শন সন্তানের উপর চাপিয়ে দেওয়া। নিজের স্বার্থের জন্য সন্তানের স্বপ্নকে গলা টিপে হত্যা করা

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩০

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: বড্ড কঠিন মন্তব্য করেছেন। অনেক বাবারাই এরকম করে থাকেন। কিন্তু তাদের মনের ইচ্ছা নিতান্তই আমাদের ভালোর জন্য। হয়তো বা তাদের কিছু ভুল ত্রুটি থাকে।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

অভীক অর্ণব বলেছেন: ক্ষেত্র বিশেষে তারা পরিবারের স্বার্থ বেশি প্রাধান্য দেন। এক সন্তানের জন্য অন্য সন্তানকে অবহেলা করেন

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: অনেক ক্ষেত্রে এ রকম হয়। মায়ের ভালোবাসা যেমন নিখাদ থাকে বাবার ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। আপনার কি বাবার প্রতি অভিযোগ অনেক?

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

অভীক অর্ণব বলেছেন: আমার পিতা-মাতা উভয়ের প্রতি অনেক অভিযোগ । তারা বিয়ের পরও সন্তানদের চেয়ে উভয়ের পিতার পরিবারকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে চলেছেন। তারা আত্মীয়স্বজনকে অনেক কিছু দিয়ে ঠকেছেন কিন্তু তারপরও পরিত্যাগ করেন নি। এইসব নিয়ে কথা বলায় আমাকে আনঅফিয়াসালি আমাকে পরিত্যাগ করেছেন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৭

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: আপনার কথা শুনে সত্যিই অনেক কষ্ট লাগলো। তবে ভাই আপনার জন্যে ছোট্ট একটা পরামর্শ, জানি কঠিন হবে কিন্তু যদি একটু কষ্ট করে আপনি আপনার মা-বাবার খুশির জন্য তাদের মতামত মেনে নেন তাহলে ইন শা আল্লাহ এর বিনিময়ে আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দান করবেন।

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

সনেট কবি বলেছেন: কখনো মধুর কখনো তিক্ত।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন কবি ভাই।

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: অনেকের বাবা রাগী হয়। লঘু অপরাধে বাড়াবাড়ি শাস্তি দিয়ে থাকে। আমার মনেহয়, "শাস্তিতে নয়, সুন্দর করে বুঝিয়ে বললেই বাচ্চারা সাবধান হবে।" সেটাই বরং কার্যকর।


@তবুও কেন যেন বাবার থেকে দূরত্বটা কমিয়ে আনতে পারছি না। আসলে এটা কি লজ্জা নাকি অপমান বোধ নাকি অন্য কিছু???
আপনার অবচেতন মনে একটা বাবা ভীতি কাজ করছে। ছোট থেকে এটা তৈরী হয়েছে, একদিনে সেটা যাবেও না। তবে বাবার কাছে লজ্জা বা অপমানের কিছু নেই। তার সাথে কোন একটা বিষয় নিয়ে গল্প করুন। সহজ হবার চেষ্টা করুন। ছোট খাট ব্যাপারে বাবার কাছে পরামর্শ চান। দেখবেন দু-এক মাসে সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। (মা-বাবার চেয়ে আপন কেউ নেই। তারাই আমাদের প্রকৃত বন্ধু।)




আমি আব্বার সাথে রাজনীতি নিয়ে তর্ক করি। তিনি আমাকে কখনো মারেন নি। বকেনও নি! তাই ভয়টা আমার নেই..:)
আর আম্মু বকাঝকা করলে, এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দেই।

তবে আমার যমদূত হল, বড় আপা।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৪

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: আন্তরিক অভিনন্দন মন্তব্যের জন্য। ভালো সাজেশন।

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাবারা কিশোর তরুণের ভয়ংকর সময়টা অতিক্রম করেছে বলেই নিজের সন্তানকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় থাকে। আমি যদি জানি আমার কিশোর তরুণ বয়সের বন্ধুরা কী করেছিল(নেগেটিভ) সেটা আমার সন্তানের জন্য আমি নিশ্চয়ই চাইবে না। তাই কড়া শাসনের উপর রাখতেই হয়। আর এখনকার ফেসবুক, ইউটিউব প্রজন্ম তো বখে যাওয়ার হাজারটা উপায় রেডি রেখেছে।

আপনার বাবার সাথে ব্যবধানটা মনে হয় আর কমাতে পারবেন না। এগুলো একবার হয়ে গেলে আর কমানো যায় না। সময় যত যাবে বাড়তেই থাকবে। তবে স্বাভাবিক আচরণ করবেন। আল্লাহর কাছে বলবেন। হয়তো উনার পক্ষ থেকেই শুরু হয়ে যেতে পারে...

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: জি ভাই যথাযথ মন্তব্য করেছেন। আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন।

৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বাবাই হলো উপার্জনক্ষম ব্যক্তি এবং তাকেই পুরো সংসারের ভরণ পোষণের ভার বহন করতে হয়। অপেক্ষাকৃত কম সচ্ছল ব্যক্তিদের সংসারের চিন্তায় এমনিতেই মেজাজ থাকে তিরিক্ষি, ধার দেনা, ইত্যাদিতে হিমশিম খেতে থাকে। সীমিত আয় দ্বারা সংসার পরিচালনার পরিকল্পনা করতে হয়। এর মধ্যে কোনো সন্তান অতিরিক্ত কিছু দাবি করলে ওটার ফলে যে টান পড়বে, তার ফল হয়ত সংসারের সবার উপরই পড়বে। এজন্য বিশেষ কাউকে কোনো বাড়তি সুবিধা দিতে চায় না। এই দোষটা পড়ে যায় বাবার উপর। কেননা, টাকাটা যাবে বাবার পকেট থেকে, কিংবা বাবার অনুমোদন পাওয়ার পর। বাবা স্বভাবতই অনুমতি দেয় না, ফলে বাবা হতে থাকে শত্রু। কিন্তু পরিবারের বৃহত্তর স্বার্থে বাবা এ কাজটা করছে, ছেলেরা সেটার মূল্যায়ণ করতে পারে না।

সন্তানদের বখে যাওয়া রোধ করার জন্যও বাবারা একটু বেশি সতর্ক থাকে। মায়েরা নরম মনের এবং অনেক মায়েরাই অনেক কিছু বোঝেন না। কাজেই সন্তানদের শাসনের ভারটাও বাবাই পালন করে থাকে। শাসকের উপর জনগণ সব সময়ই অসন্তুষ্ট থাকে :)

বড় হওয়ার পর সন্তানদের ঐ কথাগুলো ভুলে যাওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে, বাবার আরেকটা সংসার নাই, যেখানে তার পকেটের টাকা ভাগ করে দিতে হচ্ছে। যদি কোনো সঞ্চয় করা হয়, সেটা সন্তানদের জন্যই। বাড়ি, প্লট, জমি, ব্যাংক ব্যালেন্স ইত্যাদি সে কবরে নিয়ে যাবে না, সন্তানদের জন্যই রেখে যাবে।

কিন্তু সন্তানরা, বিশেষ করে ছেলেরা বাবাদের কষ্ট খুব একটা উপলব্ধি করে না। যখন সে উপলব্ধি করে, ততদিনে সে নিজেই বাবা হয়ে যায়। একটা ইংরেজি কোটেশন আছে, সব ছেলেই মনে করে তার বাবা ভুল। যখন সে বুঝতে পারে তার বাবা সঠিক ছিল, তখন দেখে সে নিজেই বাবা হয়ে গেছে এবং তার সন্তান তাকে ভুল বলা শুরু করছে।

আমি একজন বাবা। সন্তানরা স্কুল ভার্সিটিতে পড়ে। সন্তানদের সাথে ফ্রেন্ডলি হতে পারলে এ সমস্যাটা খুব কম হয়। কিন্তু সব বাবার আবার ফ্রেন্ডলি হওয়ার মতো পার্সোনালিটি যেমন থাকে না, সুযোগও তেমন থাকে না। অন্যদিকে, কিছু বাবা যেমন প্রকৃতিগতভাবেই নিষ্ঠুর মনের হয়ে থাকে, কিছু সন্তানও ঐরকম জন্মগতভাবেই উগ্র স্বভাবের হয়ে থাকে।

ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাসায় আড্ডার আয়োজন করতে হবে। এক সাথে বাইরে ঘুরতে যেতে হবে। ফান করতে হবে। খাওয়া দাওয়া একসাথে করতে হবে। বেড়াতে যেতে হবে। একসাথে পড়াশোনা করা। ফেইসবুকিং/ব্লগিং করা। গান করা। ইত্যাদি পরস্পরের দূরত্ব ঘোচাতে সাহাজ্য করে।

সামর্থ্য অনুযায়ী সবকিছু করতে হবে। বেশি কিপ্টেমি আবার সন্তানদের বাবার উপর খুব বিতৃষ্ণার সৃষ্টি করতে পারে।

অনেক্কিছু লিখলাম, যদিও আরো কিছু লেখার ছিল।

ভালো থাকুন। বাবার প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। বাবাকে বলুন যে একমাত্র তার কারণেই আপনি এতদূর আসতে পেরেছেন।

শুভেচ্ছা।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন। জি বড় হয়ে গেলে ছোট বেলার সেই সব অবস্থা গুলো ভুলে যাওয়া উচিত। আপনার সাথে একমত। আপনার জন্য অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। দোয়া করবেন যাতে দূরত্বটা কমাতে পারি।।

৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৪

অক্পটে বলেছেন: বাবাকে অকারনেও বাবা বলে ডাকার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনি যা বুঝেন যা বাবাকে জিজ্ঞেস না করেও করে ফেলা যায় সেই সব বিষয়গুলিও বাবাকে জিজ্ঞেস করে করুন দেখবেন দূরত্ব ঘুচে গেছে।

এটা আমার জীবনে প্রয়োগ করে আমি দূরত্ব ঘচিয়েছি তাই আপনাকেও বললাম।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: আন্তরিক অভিনন্দন জানাই আপনাকে মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য রইল প্রীতি ও শুভেচ্ছা।

১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু বাবা মা না, সবার সাথেই সম্পর্ক হওয়া উচিত সহজ সরল সুন্দর।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.