নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সঃ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল

মোঃ আল মামুন শাহ্

মোঃ আল মামুন শাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়াজ মাহফিলের ভাষা ও টিকটক এর ভিডিও

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩২

আলহামদুলিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালাম আলা রাসুলিল্লাহ.



গত কয়েকদিন যাবত ইউটিউব এর কয়েকটি ভিডিও বেশ নজরে আসছে। ভিডিওগুলা টিকটক অ্যাপস থেকে নেওয়া। প্রায় অনেক ভিডিওতেই ওয়াজ মাহফিলের বিভিন্ন বক্তার ভিডিও নিয়ে ট্রল করা হয়েছে। ট্রলকৃত ভিডিওগুলো মারাত্মক রকমের ব্যঙ্গাত্মক। ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও গুলোই বর্তমানে বিকৃত বিনোদনের মাধ্যম।

প্রায়সই বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে অনেক বক্তারা সাধারণের বোঝার অজুহাত দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হাস্য রসাত্মক কোন কোন ক্ষেত্রে অশালীন বক্তব্য প্রদান করেন। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়কে বোঝাতে গিয়ে তারা ভুল ভাষা প্রয়োগ করেন। যা কখনোই ইসলামী পদ্ধতি অনুকূল নয়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ কখনই এরকম ধরনের ওয়াজ করেননি। এ ধরনের ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে মানুষের সংশোধনী তো দূরের কথা বরং কোন কোন ক্ষেত্রে ইসলাম ভুল ভাবে উপস্থাপিত হয়। যার ফলে ব্যঙ্গ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

অপরদিকে আমাদের কিছু তরুণ ভাই-বোনেরা টিকটক এর বিনোদনে মেতেছেন। এঁকে বিকৃত বিনোদনই বলা যায়। অনেক সময় ই বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য, সিনেমার ডায়ালগ এমনকি ওয়াজ মাহফিলের কিছু ভুল ভাষাকে নিয়ে মারাত্মক ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে। ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও কোনদিন সংশোধনের মাধ্যম হতে পারে না। বরং হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ভুল আমাদের সবারই হয়।কিন্তু আমাদের ভুল গুলো নিয়ে যখন কেউ ফানি ভিডিও তৈরি করবে তখন আমাদের কেমন লাগবে?? উত্তর হল সবারই খারাপ লাগবে। কোন বিশিষ্ট ব্যক্তির ভুলকে কখনো বিনোদনের মাধ্যম বানানো অনুচিত। বিশেষ করে ওয়াজ মাহফিল কেন্দ্রিক ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও ইসলাম প্রচারের মহান মাধ্যম ওয়াজ মাহফিল কে হেয় করার শামিল।

প্রিয় ভাই, আমি আগেই বলেছি, বক্তাদের মধ্যে ভন্ডের অভাব নেই। আবার কোন কোন বক্তা মানুষকে বোঝানোর ক্ষেত্রে ভুল ভাষা প্রয়োগ করেন। যা কোন কোন পর্যায় অশালীন ও ইসলামী আচরণ এর বিপরীত। কিন্তু লক্ষণীয় ব্যাপার হলো ওয়াজ মাহফিল কেন্দ্রিক ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও তৈরির মাধ্যমে ভন্ডদের সংশোধনী তো হচ্ছেই না বরঞ্চ যারা ওয়াজ মাহফিলের মত সুন্দর প্রচারমাধ্যমকে সঠিকভাবে কাজে লাগাচ্ছেন সে সব আলেম ওলামাদেরও ব্যাপক ক্ষতি করা হচ্ছে।কারণ যখন ওয়াজ নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও তৈরি করা হবে তখন এই প্রচার মাধ্যম পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মানুষের এক ধরনের নেগেটিভ ধারনা তৈরি হয় এর মাধ্যমে।

অতএব প্রিয় ভাই, উভয় দলকেই ফিরে আসতে হবে। যারা হাস্য রসাত্মক ও অন ইসলামিক পদ্ধতিতে ওয়াজ করছেন তাদেরকে সতর্ক হতে হবে এবং যারা এগুলো নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও তৈরি করছেন তাদেরকেও এটি বন্ধ করতে হবে। নয়তো কিছু স্বার্থান্বেষী ইসলামবিদ্বেষী শক্তির ই লাভের পাল্লা ভারী হবে।

আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করুক। জাযাকাল্লাহু খাইরান।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সহমত...

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। প্রীতি ও শুভেচ্ছা প্রথম মন্তব্যের জন্য।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৮

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: হাস্যরসের নামে ব্যঙ্গ করা ঠিক না। এটা এক ধরনের নোংড়া মস্তিস্কের কাজ।।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১০

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: জি ঠিক বলেছেন ভাই ।আপনার সাথে সহমত। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১০

সনেট কবি বলেছেন: ভাল বলেছেন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১১

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ কবি ভাই।

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মামুন ভাই ,

খুব সুন্দর একটা আলোচনা করেছেন। কিন্তু আজকাল বেশিরভাগ ওয়াজ মাহফিল মানেই যে এমন আলোচনায় ছড়াছড়ি । এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইসলামিক জলসার নামে এমন আলোচনা হয় যে কানে আঙুল দিতে হয়।

শুভকামনা রইল ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৭

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: জি ভাই। বক্তাদের ভাষাগত ভুলের কথা আমি বলেছি। আর ভন্ডরা তো আছেই। আর বর্তমানে প্রত্যেকটি কথায় সতর্কতার সাথে বলতে হয়। কারণ বক্তব্যের প্রত্যেকটা সেকেন্ড রেকর্ড করা হয়। সুতারং বর্তমানে যা খুশি তাই বলার কোন সুযোগ নেই।বক্তারা যত তাড়াতাড়ি এটা বুঝতে পারেন ইসলামের জন্য ততই ভালো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনি আমার প্রায় প্রতিটি পোস্টে কমেন্ট করেন। ইনশাল্লাহ সময় করে আপনার গল্পগুলো পড়বো। সম্পূর্ণ পরেই তারপর কমেন্ট করব।

৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গ্রামগঞ্জে কয়েকটা ওয়াজ মাহফিলে সরাসরি যেয়ে দেখুন। মোলানারা মুখে যা আসে তাই বলে, অকথ্য ভাষায়।
আমার নিজের দেখা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৮

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: হ্যাঁ ভাই। ইউটিউব মারফত যা দেখতে পাই তাতেই অবস্থা দফারফা। আসলে দাওয়া নিয়ে উচ্চতর ট্রেনিং করানো দরকার। ট্রেনিং পাওয়ার পরই মিডিয়ায় আসা উচিত।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৮

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৭

মা.হাসান বলেছেন: ৫ নং মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলতে চাই, ঢাকার বাইরে যাবার দরকার নেই, শুক্রবারে অনেক মসজিদের ঈমাম যেভাবে বানোয়াট উদ্ভট কথা বলেন তা পীড়াদায়ক।
শুক্রবার (১৬/১১/১৮) গুলশান মসজিদের ঈমাম বললেন কোরানে ৬৬৬৬ আয়াত। ২৪০ আয়াত কি ওনার উপর নাজিল হয়েছে?
ড. সাবির আলীর লেকচার বা ইউসুফ এস্টের লেকচার দেখুন, আত্মার খোরাক পাবেন।
বাংলায় ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেব বড় ভাল বক্তা ছিলেন। তার মৃত্যুতে অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে। আল্লাহ তাঁকে উচু দরজা দিন।
যারা ট্রল করে তাদের যোগ্যতা ঐ সব বক্তাদের চেয়ে বেশী না বলে তাদের কাছে এর চেয়ে বেশী আশা করা যায় না।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন ভাই।

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৭

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: একদম সত্য কথা ভাই। এই নির্যাতন থেকে বাঁচা মুশকিলান। কী ইউটিউবার; কী খিস্তি-খেউর মারকা অ-ওয়ায়েজিনে কিরমদের জন্যে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জানি সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে......
http://prokashoni.net/archives/record/humayun-azad-sob-kichu-noshtoder-odhikare-jabe/

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৩

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২১

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রামের মানুষ ওয়াজমাহফিল খুব পছন্দ করে।

১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ মো:আল মামুন শাহ্- জনাব, খালি গুরু-গম্ভীর ওয়াজ শুনলে হবে ? মাঝে মাঝে হাসি আমোদের-ও দরকার আছে।
গ্রামের মানুষদের ওয়াজ-মাহফিলে কেমন করে আনন্দ দিতে হয়, আপনাদের পান চিবানো মোল্লারা কিন্তু ঠিকই জানে।

YouTube খুলে মাওলানা আমীর হামজা, রফিকুল্লাহ আফসারী, ইলিয়াছুর রহমান জিহাদি, আবদুল খালেক শরীয়তপুরীর ওয়াজ শুনবেন। আহ্ ! কত মজার মজার কথা ! কত হাসি ! কত আনন্দ !

দেখবেন, শুনবেন। আখেরে বহুত ফায়দা হবে।

আসুন,মাওলানা গিয়াসউদ্দিন আত্ব-তাহেরীর মতো জিকির করি ,

" বসেন, বসেন, বসে যান ।"

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০০

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ এই ধরনের জিকির ইসলামে নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.