নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিজিকের রহস্যময় ফায়সালা

আলমগীর হাসান সিদ্দিকী

সত্য ও সুন্দরের পূজারী

আলমগীর হাসান সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিঠাপুকুর থেকে চৌদ্দগ্রাম অতঃপর কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টঃ ছকে বাধা ষড়যন্ত্রের অংশ তনু ধর্ষণ ও হত্যা

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

এখনো চোখ বন্ধ করলেই ভেসে ওঠে সেই ভয়াল দৃশ্য। যা ঘটানো হয়েছিলো রংপুরের মিঠাপুকুর আর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে । যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা মেরে একাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছিলো উভয় জায়গা । বাসের জ্বলার ধরন দেখে বোঝা যাচ্ছিলো বাসে আগে থেকে কে বা কাহারা দাহ্য পদার্থ দিয়ে রেখেছিলো। আর বাস দুটিতে আক্রমন করা হয় ঠিক মিঠাপুকুর আর চৌদ্দগ্রামের সেই জায়গাতে যা জামায়া শিবিরের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত । একেবারে জামায়াত নেতার বাড়ির পাশে । এর ফলে পরবর্তীতে ওই দুই জায়গা জামায়াত-শিবির বিরোধি অভিযান চালাতে সরকারের যে রাজনৈতিক উপাদান দরকার ছিলো তা এই দুই বাস পোড়ানোর ঘটনা থেকে পেয়ে যায় ।
এটা পাগলেও বোঝে যে নিজের বাড়ির আশেপাশে এমন কোন কাজ করা যাবে না যা তার জন্য ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায়। কিন্তু সরকার বাহাদুর সেই কাজ করে জামায়াত শিবির সব নেতাকর্মীকে এলাকাছাড়া করতে পেরেছিলো। একই কাজ করেছিলো কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে । সেখানকার নেতাকর্মীরাও এখনো এলাকা ছাড়া।
http://goo.gl/F0yTwc

উভয় জায়গা হামলা হয়েছে , সাধারন মানুষ মারা গেছে , যেখানে ঘটনা সেখানকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর সুবিধা নিয়েছে তৃতীয়পক্ষ বা সরকার । দুইটা জায়গাতেই অন্যের লাশের উপর দাঁড়িয়ে নিজের স্বার্থ হাচিল করেছে সরকার।
এবার আসি তনুর ঘটনায়। তনুকে হত্যা করা হয়েছে ক্যান্টনমেন্ট এর ভীতরে । যদিও কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এর ভৌগলিক অবস্থা অন্য ক্যান্টনমেন্ট থেকে আলাদা। এর মাঝদিয়ে চলে গেছে মহাসড়ক। এর ভিতর সাধারন মানুসের প্রবেশাধিকার একেবারে নিষিদ্ধ না । চলতে পারে সাধারন মানুষও ।
শুরু হয়েছিলো তনু হত্যার বিচার চাই দিয়ে । কিন্তু ধীরে ধীরে তা অন্য এক মাত্রায় চলে যাচ্ছে। এখন এর জন্য সরাসরি সেনাবাহিনীকে দায়ী করা হচ্ছে । আর তা স্বপক্ষের যুক্তি হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে পাহাড়ে নাকি সেনাসদস্যরা উপজাতিদের ধর্ষণ করে অহরহ। কিন্তু সত্য হলো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় শেষ পর্যন্ত তদন্তে বেড়িয়ে আসে সেনাসদস্য জড়িত না। অনেক ধর্ষণ ঘটে পাহাড়ি উপজাতি যুবকদের দ্বারা কিন্তু তা বাইরে খুব একটা প্রকাশ পায় না। সেনাবাহিনী কিছু না করলেও তাদেরকে বিতর্কিত করে পার্বত্য অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সরানোর জন্য অনেক দিন থেকেই চেষ্টা চালিয়ে আসছে প্রথম আলো সহ বিভিন্ন এনজিও। উল্লখ্য যে শান্তিরক্ষী মিশনে আমাদের সেনাবাহিনী যুগযুগ ধরে কাজ করলেও এমন অভিযোগ আসেনি এসেছে শুধুমাত্র আমাদের পার্বত্য অঞ্চল থেকে ।তাও আবার শুধু উপজাতিদের কাছ থেকে , কোন বাঙালি এমন কোন অভিযোগ করেনি। সেনাবাহিনী শুধু পাহাড়েই তাদের ধর্ষণকর্ম চালায় , বিদেশে গেলে আবার ভালো হয়ে যায় !!!
ঠিক যেসময় আদালত থেকে রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের চেষ্টা চলছে তারই সমান্তরালে চলছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ।




এই প্রতিবাদ যেন সংবাদ মাধ্যমে না আসে তার জন্য একই সময় নাস্তিকদের মাঠে নামানো হয়েছে । তাদের হাতে কোন উপলক্ষ্য ছিলোনা । তনু মারা যাবার পর দুইদিন এইসব বামেরা কোন প্রতিবাদ করেনি , হটাত কি হলো যে তাদের একবারে কোমর বেঁধে তনু হত্যার বিচারের জন্য মাঠে নেমে যেতে হলো।সরকার খুব চুপিসারে রাষ্ট্রধর্ম বাদের কাজ সাড়তে চাচ্ছে। সেটার জন্যই মাঠে সরব রাখা হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চকে ।
তনু মরার মাত্র ২ দিন পর রাজশাহীতে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2016/03/24/328733#.VvN2kvl97IV

তার একদিন পর গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম শ্লোগানদাতা শিল্পী কৃষ্ণকলির বাসায় কাজের মেয়ে খুন হয়েছে , তাকেও সম্ভবত ধর্ষণ করা হয়েছে ।
http://www.dhakatimes24.com/2016/03/24/106864
কিন্তু সবাই এগুলো নিয়ে একেবারে চুপ , যেন এসব নিয়ে কথা বললে অনেক বড় পাপ হয়ে যাবে।
তনুর কিছু হিজাব পরা ছবি আছে ফেসবুকে ।



এটা দেখে হিজাববিরোধীরা নতুন বলি শুরু করলো । তারা বলা শুরু করলো , যেহেতু হিজাব পরার পরও তনু ধর্ষিত সেহেতু আর দরকার নেই এই পোশাক পরার !!!
একটু খেয়াল করে দেখুন বাম/রাম/ইসলামবিরোধিরা এক তনু হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে কতগুলো বিষয় সামনে নিয়ে এসেছে ?
১।সেনাবাহিনীকে ধর্ষক হিসেবে প্রমান করা সেই সাথে পাহাড়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ সত্য বলে প্রমান করা
২।হিজাবকে বিতর্কিত করা
৩।এই ইস্যু দিয়ে চলমান বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাষ্ট্রধর্ম ইস্যুকে ধামাচাপা দেয়া
৪।সেনাবাহিনীকে সরকার সিভিল কোর্টের আওতায় আনতে চাচ্ছে সেই কাজ সহজতর করা
এরই মাঝে কিছু ফেক ফেসবুক আইডি খুলে , আর্মির পোশাকপরা প্রোফাইল পিকচার দিয়ে সেসব আইডি থেকে তনুকে নিয়ে উস্কানিমুলক পোস্ট দেয়া হচ্ছে ।




এই আইডি বলা হচ্ছে তনু খারাপ ছিলো। এরমধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীকে নিয়ে তাদের প্রচারিত অপপ্রচারের সত্যতা ফুটিয়ে তুলতে চাইছে।
একটা মহল অনেকগুলো বিষয় মাথায় রেখে তনু হত্যা ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছে । তারা সফল হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই দেশ , বিতর্কিত হবে আমাদের সেনাবাহিনী, হুমকির মুখে পরবে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে।
তনু হত্যার সাথে যদি কোন সেনাসদস্য জড়িত থাকে তবে তার বিচার চাই তবে তনু হত্যাকে ইস্যু বানিয়ে ত্যানা প্যাচানো বন্ধ হওয়া দরকার।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৪

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: এই পা চাটা সেনাবাহিনী দিয়ে দেশের কোন উপকার সাধিত হবে না। সেনাবাহিনীর রুপ আমাদের সবার সামনে উন্মুক্ত হয়েছে। এই সেনাবাহিনীই তো আমাদের দেশের জনগনের টাকায় খায় পড়ে আর দেশ বিরোধীদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্ত বাস্তবায়ন করছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে সুবিধাভোগী এরা আবার কবে থেকে দেশের গর্ভ হল?
আজ সেনাবাহিনী যদিই সত্যি দেশপ্রেমিক আর সৎ হত তবে কখনোই পিলখানার মতন ন্যাকারজনক ঘটনা ঘটত না।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩০

আলমগীর হাসান সিদ্দিকী বলেছেন: হুম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.