![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএনপি নেত্রীর ডাকা জাতীয় ঐক্যের ডাক নিয়ে আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী নতুন করে অনৈক্য সৃষ্টি করার জন্য যেন আদা জল খেয়ে লেগেছন। আর সেই কাজে তারা ইস্যু করেছে জামায়াতকে। জাতীয় ঐক্য নিয়ে খালেদা জিয়া কিছু বুদ্ধিজীবীদের ডেকে তাদের মতামত নেন। উল্লেখ্য এরা হলো সেই সব বুদ্ধিজীবী যাদের পরামর্শে খালেদা জিয়া অবরোধ তুলে নেন আর স্থায়ী হয়ে যায় আওয়ামী লীগ সরকার। কি আলোচনা হয়েছে বেগম জিয়ার সাথে বা বেগম জিয়া কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বা নেবেন তা এখনো সাংবাদিকদের জানাননি তিনি বা তার দলের কেউ। কিন্তু আলোচনায় অংশ নেয়া একাধিক বুদ্ধিজীবী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তারা ঐক্যের স্বার্থে জামায়াতকে ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ বলেছেন ৭১ এর অবস্থানের কারনে জামায়াতের উচিত ক্ষমা চেয়ে ঐক্যে অংশ নেয়া। তাদের মতে জামায়াত বা জামায়াতের ৭১ এর অবস্থানই যেন ঐক্যের পথে একমাত্র বাঁধা।একজন আবার কবর জিয়ারতের পরামর্শ দিয়ে বসে আছেন।আলোচনায় অংশ নেয়া বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে আছেন জনাব রফিক উল হক। যখন মাহমুদুর রহমানের নামে মামলা হয় , তখন এই বিজ্ঞ আইনজীবী বাঁকা মুখ লম্বা করে বলেছিলেন, উনি কেন কোর্টে যান না , উনি আত্মসমর্পণ করুক , আমি উনাকে জামিন করে আনবো। মাহমুদুর রহমান আত্মসমর্পণ করে জেলে কিন্তু জনাব রফিক সাহেব তার সেই কথা রাখেন নি , যতদূর জানি রাখার চেষ্টাও করেননি।
একটু পিছনে ফিরে যাই।
এর আগে যখন স্বৈরাচার এর বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য হয়েছিলো সেসময় জামায়াত ছিলো নিয়ামক শক্তি। দেশ যখন একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনপদ্ধতির অভাবে সংঘর্ষে লিপ্ত তখন তৎকালীন জামায়াত আমির মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবের দেয়া তত্ত্বাবধায়ক ফর্মুলা জাতিকে সেই সংকট থেকে উদ্ধার করেছিলো।
আর ৭১ ! ৭১ এ জামায়াত এর দাবি ছিলো আমরা পিন্ডির জাল থেকে উদ্ধার হয়ে দিল্লির জালে আটকাতে চাইনা। তারা স্বাধীনতা চায়নি এমন না , আবার কেউ স্বাধীনতা চেয়েছে নাকি ক্ষমতা চেয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। ৭১ এর চল্লিশ বছর পর কাদের সিদ্দিকী আক্ষেপ করে বলেন , জামায়াত যা ৭১ এ বুঝেছে তা আমরা বুঝলাম চল্লিশ বছর পর। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পাকিস্তানের গোলামী ছিন্ন করেছি, নতুন করে আমেরিকা, ভারত বা অন্য কারো গোলামী করার জন্য নয়।
৭১ এর যুদ্ধ এখন যত দিন যাচ্ছে ততই বিতর্কিত হয়ে যাচ্ছে সেই সময়ে ভারতের সাহায্য আসলে কি উদ্দেশ্যে ছিলো তা নিয়ে।
জামায়াত ৭১ এ যে আশংক্ষা করেছিলো তা আজ অক্ষরে অক্ষরে সত্য হয়ে দেখা দিচ্ছে । দেশের স্বাধীনতা আজ সিকিমের মত বিপন্ন। যে কোন সময় পরাধীনতার শিকলে বন্দী হয়ে যেতে পারে দেশ। বহুবিদ আন্তর্জাতিক চক্রান্তে আক্রান্ত এখন এই বাংলাদেশ। এই সময় বেগম জিয়ার ডাকা ঐক্যের আহবানে জামায়াত ছাড়ার এই হীন পরামর্শ কি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবে নাকি বিভক্ত করবে। দেশের বড় একটা জনগনের প্রতিনিধিত্বকারী দলকে দূরে রেখে কি আদেও ঐক্য সম্ভব।
বেগম জিয়াকে মনে রাখতে হবে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে তার দলের নেতাকর্মীরা যত সক্রিয় ছিলো তার থেকে অনেক অনেক বেশি ছিলো জামায়াত। কাজেই জামায়াত ছাড়লে কার লাভ কার ক্ষতি তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেই বুঝে নিতে হবে।
যে ভাষায় কথা বলে ইনু, হানিফ, হাসান মাহমুদ, কামরুল সেই ভাষায় যখন এই সব তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দেয় তখন চিন্তা হয় এরা কি আসলেই সুপরামর্শ দিবে নাকি ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর দেয়া পরামর্শের মত করে বেগম জিয়াকে আবার ভুল রাস্তায় নিয়ে যাবে।
অরাজনীতিবিদের রাজনৈতিক পরামর্শ থেকে রাজনীতিবিদদের সাবধান থাকা জরুরি ।
২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১১
প্রবালরক বলেছেন: মুসলমানী আক্রমণ থেকে বাঁচতে হিন্দুয়ানী আধিপত্যের জালে বাংলাদেশ! আরেকটি স্বাধীনতা যুদ্ধের অনিবার্যতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রিয় দেশটি।
১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫
আলমগীর হাসান সিদ্দিকী বলেছেন: ঠিকই তাই ।
৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: স্বাধীনতা যুদ্ধে জামাতীরা বিরোধিতা করেছিল সত্য; এখনো কী বিরোধিতা করে?
যদি কোন সংলাপে জামাত কে বাদ দিতেই হয় তাহলে বুঝতে হবে সংবিধান নতুন করে শোধরিয়ে নতুন আইন করা হয়েছে। কিন্তু, যদি তা না হয় তাহলে, জাতির এ ক্রান্তি লগ্নে উমুক কে নেন তমুককে নেয়া যাবেনা এই ধরণের হঠকারিতা দ্বারা আজ দেশকে চরম সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কেন?
কেউ যদি সমাধান না চায় আর, ইস্যুগুলি জ্যান্ত রেখে স্বার্থ উদ্ধার করতে চায় কেবল তখনই এই ধরণের অসৎ মানসিকতা তৈরি হতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে বেগম জিয়ার আশপাশের লোকগুলো হচ্ছে বড় ধরণের দালাল। তারা, শাঁখের কড়াত।
ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ।
১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪২
আলমগীর হাসান সিদ্দিকী বলেছেন: আসলেই তাই। বেগম জিয়া এক গ্যারাকলে বন্দী । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭
এম এ কাশেম বলেছেন: তিক্ত হলেও বাস্তব সত্য।