![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যা খুশী তাই লিখি । আমার ব্লগ পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গার্মেন্ট শিল্পে একের পর এক দুর্ঘটনার কারণে অনেক বিদেশি ক্রেতাই বাংলাদেশের বিকল্প চিন্তা করছিলেন। সর্বশেষ রানা প্লাজা ধসে সহ¯্রাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর পর বাংলাদেশের বিকল্প খুঁজতে সফর শুরু করেছেন বিভিন্ন কোম্পানির নির্বাহীরা। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক একটি সংবাদ মাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।
সংবাদে বলা হয়, গত ২৪ এপ্রিল বহুতল ভবন রানা প্লাজা ধসে পড়ার ঘটনায় ১১২৭ জনের প্রাণহানি হয়। এরপরই বিদেশি বহু ক্রেতা নিরবচ্ছিন্নভাবে নতুন স্থানের সন্ধানে রয়েছে, যেখানে তাদের পোশাক তৈরি হবে।
নিউইয়র্কের ফ্যাশন কোম্পানি জোসেফ মডেল অ্যাসোসিয়েটস-এর প্রধান নির্বাহী বেনেট মডেলের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদে বলা হয়েছে, তার কোম্পানি ভিয়েতনাম থেকে ইন্দোনেশিয়া সর্বত্র চষে বেড়াচ্ছে। এসব দেশে শীর্ষ খুচরা বিক্রেতা বার্গডর্ফ গুডম্যান ও নিম্যান মারকাসের পোশাক তৈরি হয়।
বেনেট মডেল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক কেনা রাজনৈতিক বিবেচনায় ভুল। দেশটিতে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে বড় বড় অনেক ক্রেতা বিকল্প স্থান খুঁজছে।
আমেরিকার বৃহৎ একটি খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের একজন জ্যেষ্ঠ নির্বাহী গত সপ্তাহে বেনেটের কাছে বাংলাদেশের সরবরাহকারীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বিকল্প অনুসন্ধানের জন্য ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া সফরের জন্য বলেন। বেনেট এই পরামর্শ নিয়ে যোগ করেন, ইন্দোনেশিয়াতেও একটু থেমে দেখতে পারেন। মডেল বলেন, ঠিক এই মুহূর্তে বাংলাদেশের নাম একটি কোম্পানির জন্য দুর্নাম বয়ে আনছে।
সম্প্রতি জাকার্তায় জেডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেল পশ্চিমা ক্রেতাদের জন্য প্রিয় স্থান হয়ে উঠেছে। সংক্ষিপ্ত নোটিশে কেউ চাইলেই এই হোটেলে রুম বুকিং দিতে পারছেন না। পশ্চিমা নির্বাহীদের ভিড় লেগেই রয়েছে হোটেলটিতে। ইন্দোনেশিয়ার তৈরি পোশাক কারখানার নির্বাহীরা জানান, গত কয়েক সপ্তাহে পশ্চিমা ক্রেতাদের বেশ ভিড় লক্ষ্য করেছেন তারা। ক্রেতারা বারবার তাদের একই প্রশ্ন করেছেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন, শ্রম আইন মেনে চলা হয় কিনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও শ্রমিকের বেতন ইত্যাদি প্রসঙ্গে।
ইন্দোনেশিয়ান টেক্সটাইল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আদে সুদ্রাদজাত বলেন, প্রথমত, চীনে অনেক ব্যয়বহুল, তারপর বাংলাদেশে ট্র্যাজেডি ও দেশটির নানাবিধ সমস্যার কারণে ক্রেতারা এখানে আসছে। তারা বাংলাদেশে অর্ডার দিতে অস্বস্তি বোধ করছে।
বেনেট মডেল জানান, খরিদ্দারদের জন্য তিনি সবসময় বাংলাদেশকে অর্ডার দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বাংলাদেশের উঁচু দালান নিয়ে তিনি ও তার পরিচিত কয়েকজন সাপ্লায়ার সবসময় উদ্বিগ্ন থাকতেন। অগ্নিকা-ের সময় বহুতল ভবনে শ্রমিকরা আটকে যেতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দোতলা ভবনের কারখানায় এটা হবে না।
উদাহরণ স্বরূপ ইন্দোনেশিয়ার কথা বলা যেতে পারে, দেশটির শিল্প কারখানার ক্ষেত্রে একটি বিধান (কোড) রয়েছে। তা হচ্ছে দোতলার বেশি উঁচু ভবন নির্মাণ করতে পারবে না, যাতে অগ্নিকা-, অগ্ন্যুৎপাত ও ভূমিকম্পে সহজেই শ্রমিকদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। শ্রমিক সংগঠনগুলো জানাচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ার উঁচু ভবন নেই বললেই চলে। এই নিয়ম তারা আগে থেকেই মেনে চলে। এমনকি দোতলা কারখানাগুলোকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, দোতলার সঙ্গে নিচতলার যোগাযোগের জন্য উন্মুক্ত ব্যালকনি বা চওড়া আঙ্গিনা থাকে, যাতে শ্রমিকরা সহজেই বেরোতে পারে। তবে ইন্দোনেশিয়ায় অন্য ধরনের শ্রম শোষণ রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তাভিত্তিক পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বুসানা অ্যাপারেল গ্রুপের প্রধান আর্থিক করকর্তা সঞ্জয় কুমার গয়াল বলেন, আমাদের যা সামর্থ্য আছে তার চেয়ে বেশি প্রত্যাশা করছেন ক্রেতারা। কারণ তারা বাংলাদেশ থেকে, চীন থেকে অর্ডার সরিয়ে নিতে চান।
সূত্রঃ আজকের দৈনিক ইনকিলাব ।
এক রানা ও ভারতের দালালদের কারণে দেশ আজ ধ্বংসের পথে ।
২| ১৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২
সিউল রায়হান বলেছেন: দল-মত নির্বিশেষে কোন রাজনীতিবিদ অথবা টাকাওয়ালা পাবলিকের গার্মেন্টস নাই?
৩| ১৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১
মাহিরাহি বলেছেন: খুবই দু:খজনক।
৪| ১৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বাংলাদেশের পাট শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। প্রচুর বৈদেশিক অর্থ উপার্জিত হত বোলে পাটকে একসময় সোনালী আঁশ বলা হত কিন্তু যেসব কারনে পাট শিল্প ধ্বংস হয়ে গেল ঠিক একই কারনে মনে হচ্ছে এখন দেশের এই শিল্পটিও ধ্বংস হয়ে যাবে যা থেকে প্রচুর বৈদেশিক অর্থ আমরা এখন উপার্জন করছি। হায় কপাল আমাদের !!!
৫| ১৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
আিম এক যাযাবর বলেছেন: এসব বৈদেশিক অর্থ উপার্জনের পথ বন্ধ হলে রাজনীতিবিদদের তো কিছু যায় আসেনা, দেশ ধ্বংস হলেও বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তারা ঠিকই টাকা কামাবে, এই সব দেখার তাদের সময় নাই।
৬| ১৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
নাহিদ সৈকত বলেছেন: রাজনীতিবিদের মাথা ব্যাথা আছে আছে শুধু তেনারা কেমতে নিজের পকেটে টেকা ঢুকাইবেন। আর কোন কালেই তাদের অন্য কিছু নিয়া মাথা ব্যাথা ছিল বলে মনে পড়ে না।
গার্মেন্টস ব্যাবসার সাথে আমি নিজেই জড়িত। এই ব্যাবসা করতে গেলেও সরকার থেকে কোন সুবিধা পাওয়া যায় না। তারা শুধু মুখেই এবং গণমাধ্যমেই বলে আমরা এই করতেসি, সেই করতেসি। প্রেক্টিকাল দুনিয়া পুরাই উল্টা। উল্টো তাদের সুযোগ সুবিধাই আমাদের দেখতে হয়...সরকারের প্রতিটা লেভেলেই ঘুষ আর ঘুষ, এর পর আছে এলাকার নেতার চাদা। তাও এতো ঝামেলার মধ্যে ব্যাবসা চালিয়ে নেয়া গেসে বায়ারদের অর্ডারের কারণে। এখন যদি বায়াররাই ভাগে...কি হবে দেশের আশা করি বলা লাগবে না।
অনেক বাংলাদেশি ব্যাবাসায়ি সব ছেড়ে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার চিন্তা করছে। শুধুমাত্র দেশের এই পরিস্থিতির কারণে। এটা ঠিক না হলে বাংলাদেশের সম্পূর্ণ অবকাঠামোই ভেঙ্গে যাবে।
১৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬
আল্লামা ইকবাল বলেছেন: খুবই দুঃখ জনক । জনগণ কবে সোচ্চার হবে ? কবে শক্ত প্রতিবাদ করবে ?
কোন রাজনৈতিক দলই বলতে গেলে দেশের জন্য রাজনীতি করে না । মুখে জনগণের কথা বললেও সবাই নিজের আখের গোছানোর জন্যই রাজনীতি করে ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮
মেহেদী হাসান '' বলেছেন: আমাদের অর্থনীতি আর রানা প্লাজার ভবনের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই।
কেননা, স্তম্ভ ধইরা লারালারি করার কারনে রানা প্লাজা স্যান্ডউইচ হইয়া গেছে।
আর অর্থনীতির স্তম্ভ ধইরা রাজনীতিবিদেরা যেমনে লারালারি করতেছে তাতে অর্থনীতি স্যান্ডউইচ হইতে বেশী দেরি নাই।