![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংসারে প্রতি স্বামী মাত্রই জানে এটা কি ভয়াবহ জিনিস। এই সম্পর্কটা যেন দা আর কুমড়োর সম্পর্ক। একদিকে নতুন বৌয়ের কান্নাকাটি আরেকদিকে শাশুড়ি মায়ের অভিযোগ আর হল্লাহাটি। আজ আমরা দেখবো শাশুড়িদের এইরকম মানসিকতার পিছনে কিছু কারণ।
১। শাশুড়ি মায়ের নিয়ন্ত্রিত সংসারে অল্প বয়সী বৌয়ের প্রবেশে শাশুড়ি মায়ের ভিতরের জটিলতা আরও প্রবল ভাবে অনুভূত হয়।(অনেকটা ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার মত)
২। শাশুড়ি মায়ের ধারণা হয় নতুন বউ তাঁর ছেলেকে জোর করে কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে। তাই অবচেতনভাবে (অথবা সচেতনভাবে) শাশুড়ি মা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন যা সঙ্ঘাতের জন্ম দেয়।
৩। শাশুড়ি মা অবচেতনভাবে মনে করেন ছেলের ভালবাসা তাঁর প্রতি কমে নতুন বৌয়ের প্রতি বেশি হচ্ছে। যদিও তিনি এই ভালবাসার বিরোধিতা করেন না কিন্তু এতে মানসিকভাবে একটি দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় যেটা নতুন বৌয়ের প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাবের কারণ হতে পারে।
৪। মায়ের তাঁর সন্তানের প্রতি অতিরক্ষণাত্মক মনোভাব, শিশু প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ হলেও থেকে যায় যেটা শাশুড়ি মাকে বেশি আক্রমণাত্মক করে তোলে। তাই সন্তানের কোন কথা অথবা অপরিচিত আচরণকে আক্রমণাত্মক হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। এটা শাশুড়ি মাকে বারুদের গোলার মত করে দেয় যা যে কোন সময় বিস্ফোরণ হতে পারে।
৫। ছেলের বিয়ের আগে পরিবারে মায়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ স্তান ছিল। মা ছিল পরিবারের সর্বেসর্বা, কিন্তু সেটা এখন শেষ হতে চলেছে।(কে আর সাধ করে ক্ষমতা ছাড়তে চায় বলুন?) অবচেতন মনে তাঁর ভয় যদি তাঁর সন্তান হাতছাড়া হয়ে যায় তাহলে বউমাই হয়ে যাবে নতুন সংসারের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
উভয় পক্ষের মানসিক টানাপড়েন বাড়তেই থাকে আর কোন ছোট সমস্যা বারুদের গোলার সলতেতে আগুন লাগার মত সঙ্ঘাতের সূচনা করে।
শুধু একটুখানি ধৈর্য আর বোঝাপড়ায় এসব সমস্যা ঠিক হয়ে যেত। কিন্তু এসবের কল্পনা যেন উভয় পক্ষের মাঝেই প্রায়ই 'পাগলকে সাঁকো না নাড়ানোর' উপদেশের মতই অলীক কল্পনার বস্তু হয়ে দাঁড়ায় যার দিবাস্বপ্ন বেচারা স্বামী প্রতিদিন দেখেন।
©somewhere in net ltd.