![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নীলা শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললো। ওর পক্ষে আর এই সম্পর্ক বয়ে বেড়ানো সম্ভব নয়। জাহিদ কোন দিনও এই সম্পর্কের ব্যাপারে সিরিয়াস ছিল না।
ও শেষ বারের মত জাহিদকে ফোন করলো। ফোন সুইচড অফ বলছে। এটা নতুন কোন ব্যাপার না। ৬ মাস ধরেই একই অবস্থা। জাহিদকে প্রয়োজনের সময় পাওয়া যায় না।
নীলা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। আজকে ওর প্রথম দিনের কথা খুব বেশি মনে পড়ছে। প্রথম দর্শনেই নীলা জাহিদের প্রেমে পড়ে যায়। পরে ওর ব্যক্তিত্ব নীলাকে আর মুগ্ধ করে। কিন্তু আজকে কোথায় সেই মানুষটা যার প্রেমে নীলা পরেছিল?
প্রতিদিন জাহিদের একের পর এক মিথ্যায় নীলা ওর নিজের প্রতিই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। জিজ্ঞাসা করলে স্পষ্ট কোন উত্তর পাওয়া যায় না। উলটো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা জাহিদের স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি মাঝে মাঝে নীলার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা বোধ করে না জাহিদ।
নীলা ওর প্রিয় নীল রঙের রুমালটা দিয়ে চোখ মুছল। কষ্টের রঙ বুঝি নীল হয়? আজকের আকাশটাও মেঘলা। যে কোন সময় আকাশ অন্ধকার করে বৃষ্টি নামবে। নীলা জানে না পৃথিবীর সকল পাপ কি এই বৃষ্টি মুছে ফেলতে পারবে কিনা?
কিছু দিন আগে নীলার বান্ধবী তিথি ওকে জাহিদের ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। জাহিদকে নাকি প্রায়ই অন্য মেয়েদের সাথে ঘুরতে দেখা যায়।
নীলা ব্যাপারটাকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ভেবেছে জাহিদের কোন আত্মীয় বা পরিচিত কেউ হবে হয়তো। কিন্তু একদিন ও নিজেই জাহিদকে খুব আপত্তিকর অবস্তায় একজনের সাথে দেখে ফেলে। সেদিনের পর থেকে ও মানসিক ভাবে প্রচণ্ড ভেঙে পড়ে। বাসায় এসে খুব কেঁদেছিল নীলা সেইদিন।
জাহিদকে কিছু জিজ্ঞাসা করলেই সে এড়িয়ে যায়। কিন্তু নীলা বুঝতে পারে ও মিথ্যা বলছে। ওর চোখে নীলা এখন আর তার জন্য কোন ভালবাসা খুঁজে পায়না।
মাঝে মাঝে নীলার বড্ড অভিমান হয় ওর নিজের উপরেই। কেন সে একজন মানুষকে এত তাড়াতাড়ি বিশ্বাস করে ফেললো? নতুন দিনের আশায় নীলা বুক বাঁধে। ওর চোখে অনেক স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন একদিন সত্যি হবে। ভালবাসায় ভরে উঠুক নীলার জীবন আমারাও সেই অপেক্ষায় থাকলাম।
(বিঃদ্রঃ পাঠকের মন্তব্য একজন লেখককে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই সবার সুচিন্তিত মন্তব্য আশা করছি। ধন্যবাদ সবাইকে।)
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১১
আলোকসন্ধানী বলেছেন: লেখাটি পড়ার আর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ধন্যবাদ এতগুলো + দেওয়ার জন্য। অনেক শুভ কামনা রইলো।
নীলা সিদ্ধান্তটা নেওয়ার পরও জাহিদকে ভুলতে পারেনা। অনেক নির্ঘুম রাত কেটেছে নীলার।
বারে বারে ওর বন্ধু বান্ধবীদের কাছে ও পাগলের মত ছুটে গিয়েছে যদি জাহিদকে ফেরানো যায়। জাহিদ ওর সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
একবার অনেক কষ্ট করে ও দেখা করতে পেরেছিল জাহিদের সাথে। কিন্তু এই জাহিদ অন্য কেউ। নীলার বিভিন্ন ভুল ধরাতেই ও এখন ব্যস্ত। আরেকবার কঠিন কিছু কথা আর গালাগালি শুনে বাড়ি ফিরলো নীলা।
শোনা যায় জাহিদ নাকি বিয়ে করেছে। আর নীলা জাহিদকে ভালবেসে তার ঠিকানা এখন মানসিক হাসপাতালে।
(বিঃদ্রঃ এই লেখার সকল চরিত্র সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কারো সাথে মিল খুঁজে পেলে তা সম্পূর্ণ কাকতলীয় আর অনিচ্ছাকৃত।)
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:২৭
জনম দাসী বলেছেন: কি মন্তব্য করবো ভাবছি,
নীলার উচিত জাহিদকে কষে দুই থাপ্পর মেরে ভালো পথে ফিরিয়ে আনা, কারন যে সত্যি করে ভালবাসে, তার প্রেমিক যতই খারাপ হোক, তবু চায় সে ফিরে আসুক, একটা জীবন বাঁচাতেই ফিরে আসুক।
ভাল থাকুন , লেখায়++++++++++ দোয়া রইলো অনেক।