নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোকসন্ধানী

মন থেকে বা্ঁচার চেষ্টা করে চলেছি......

আলোকসন্ধানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মজা

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৭



ক্রিং ক্রিং ক্রিং ক্রিং............

বেজেই চলেছে টেলিফোনটা। কেউ ধরছে না। মিসেস রাশেদ ব্যস্ত হয়ে উঠলেন। কত জরুরি ফোন হতে পারে। তিনি কত দিন ধরে শুধু একটি ফোনের অপেক্ষায় আছেন। কবে আসবে সেই কাঙ্খিত দিনটি। কত রাত কেটেছে তাঁর নির্ঘুম অবস্থায় তা তিনিই জানেন। শুধু একটা ফোন।

অবশেষে সেই দিনটি বুঝি আজকে এসেছে। আজ বুঝি তাঁর দুঃখগুলো একটু শান্ত হবে। অনেকগুলো বছর পেড়িয়ে এসেছেন তিনি জীবনের। আর কয়েকটা বছর যদি একটু সুখে কেটে যেত।

আজ তাঁর সেই প্রিয় গানটির কথা মনে পড়লো। "সবাই তো সুখী হতে চায় তবু কেউ সুখী হয় কেউ হয় না। জানি না বলে যা লোকে সত্যি কিনা কপালে সবার নাকি সুখ সয় না।"

মিসেস রাশেদ দৌড়ে ফোনের কাছে গেলেন। কিন্তু না এবারো তাঁর প্রতীক্ষার অবসান হল না। রং নম্বর। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তিনি তাঁর ঘরে ফিরে এলেন। এই ঘরের ভিতরে কত স্মৃতি। কত আনন্দ বেদনার সাক্ষী এই ঘরটি। তিনি কান পেতে যেন শুনতে পান সেই শব্দ। তাঁর চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পরলো। ইদানিং তাঁর যেন কি হয়েছে। খুব সামান্য কারণে চোখে পানি চলে আসে।

তিনি মাঝে মাঝে হিসাব মিলানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর হিসাব কিছুতেই মিলতে চায় না। একাকি জীবনে ইজিচেয়ারটাই তাঁর এখন সবচেয়ে বড় সঙ্গী। বই পড়ে, গান শুনে তাঁর সময় কেটে যায়।

কিন্তু মাঝে মাঝে তাঁর প্রিয় মানুষগুলোর সাথে কথা বলতে ইচ্ছা হয়, তাদের সাথে কিছু সময় কাটাতে ইচ্ছা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন আর দুঃসাধ্য কাজ বুঝি এটিই। আজ তাঁকে সময় দেওয়ার মত কেউই নেই।

অথচ এক সময় তাঁর রূপ, গুনের প্রশংসা করে কত যে চিঠি আর কবিতা লেখা হয়েছে তা তিনি নিজেই জানেন না। তাঁকে শুধু একটি বার দেখার জন্য কত দীর্ঘ লাইন পড়ে যেত। আজ জীবনসায়াহ্নে তিনি বড়ই একা। কেউ যে তাঁর সাথে কিছু সময় বসে দুটা কথা বলবে এমন লোকের বড়ই অভাব।

পরিবর্তন? তাঁর কোন পরিবর্তন তিনি খুঁজে পান না। তবে সময় বয়ে গেছে বেশ কিছু বছর। আয়নার সামনে দাঁড়ালে তিনি খুঁজে পান না সেদিনের সেই উচ্ছল যুবতীকে যার একটা হাসি দেখার জন্য পাগল ছিল গোটা বিশ্ব। মনে পড়ে তাঁর একটি জন্মদিনে কেক এসেছিল দশটি। তাও দেশের নামকরা হোটেল থেকে। কোনটা রেখে কোনটা কাটবেন এই দ্বিধায় ভুগে অবশেষে গোলাপি তিন তলা কেকটিরই জয় হল।

আজ সেদিন কোথায়? কখন তাঁর জন্মদিন আসে আর যায় তিনি শুধু একাই মনে রাখেন। মিসেস রাশেদ বাইরে তাকালেন। চারিদিকে ঠাণ্ডা আর ঘন কুয়াশা। এই কুয়াশা ভেদ করে আলোর দেখা মিলবে। আলো এসে অন্ধকারকে দূর করবে। নিস্তেজ পৃথিবীকে সবুজে সবুজে ভরিয়ে তুলবে। থাকবে না আর কোন হতাশা। শুধু থাকবে ভালোবাসা। অনন্ত অসীম নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গল্পটা রিপিট হয়েছে। একটা মুছে দিন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৭

আলোকসন্ধানী বলেছেন: গল্পটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২২

নির্বাসিত কবি বলেছেন: গল্পের অংশ বিশেষ :)
ভাল লেগেছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

আলোকসন্ধানী বলেছেন: গল্পের অংশ বিশেষ বার বার :) :) পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে এরকম অংশ :) :) আরো লেখার চেষ্টা থাকবে।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

নির্বাসিত কবি বলেছেন: শুভ কামনা রইল

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

আলোকসন্ধানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার প্রতিও অনেক শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.