![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঠিক তেমনি পবিত্র শবে বরাতের রাতে কিছু বিভ্রান্ত লোক আতশ বাজি পোড়ায়, তারাবাতি জ্বালায়, পটকা ফুটায় । তাই বলে কি এই বিশেষ রাতে ইবাদত বন্ধ করে দিতে হবে?????????
ইসলামের বিশেষ বিশেষ দিন আসলেই ইবলিশ শয়তানের কিছু চ্যালা প্যালার গায়ে আগুণ ধরে যায়। তারা ইসলামের বিশেষ বিশেষ বরকতময় ইবাদতের দিন/রাত নিয়ে কুৎসা রটনা করে। শুরু করে । তারা চায় কিভাবে মুসলমানদের ইবাদত থেকে বিরত রাখা যায় !!!!!!!!!!
ইবলিশ শয়তানের চ্যালা প্যালা কাফেররা কিন্তু বাবা দিবস , ভালবাসা দিবস , পহেলা বৈশাখ , নেতা-নেত্রীর জন্মদিন নিয়ে কিছু বলে না !!!
তখন বলে না যে কোরআনে এগুলার কোন উল্লেখ নাই ।
তখন কিন্তু তারা বলে না যে সহি হাদিসে এগুলার কোন উল্লেখ নাই।
তাদের যত ঘেঊ ঘেঊ শুরু হয় ইসলাম পালন করা নিয়ে ।
আর একটা কোরআনে সূরার মাঝে ২ টা আয়াতে এরকম উল্লেখ আছে যার ভাবার্থ ,
"যে এক বিন্দু পরিমাণ নেক কাজ করল সে তার বদলা পাবে । আর যে এক বিন্দু পরিমাণ পাপ কাজ করল সে তার বদলা পাবে ।"
তাহলে কেন আজকে সাধারণ মানুষের সারারাত জেগে ইবাদত করা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা হয় ?????????????
২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
আলোর ভান্ডার বলেছেন: মহিমান্বিত বরকতময় রজনী : শবে বরাত
হাদীস শরীফে উম্মুল মুমীনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত,
مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ إِلَّا رَمَضَانَ، وَمَا رَأَيْتُهُ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ
আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি অয়াসাল্লামকে রমজান মাসের পর শাবান ব্যতীত অন্য কোন মাসে এত রোজা রাখতে দেখিনি।
[সহিহ বুখারী, কিতাবুস সাওম, হাদীস নং-১৯৬৯/১৮৬৮, সহীহ মুসলিম, কিতাবুস সিয়াম, হাদীস নং-১১৫৭,সুনানে আবু দাউদ, কিতাবুস সাওম, হাদীস নং-২৪৩৪, সুনানু ইবনে মাজাহ, কিতাবুস সিয়াম, হাদীস নং-১৭১০, মুয়াত্তা এ মালিক-৬৮৮/১০৯৮, সহীহ ইবনে হাববান-৩৬৪৮, মুসনাদে আহমদ-২৪৮০১, নাসাঈ আস সুনানুল কুবরা-২৬৭২, বায়হাক্বী আস সুনানুস সগীর-১৪৫৭, সুনানুল কুবরা-৭৭৮৪,৭৮২৫]
অপর বর্ননায় এসেছে,
لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ شَهْرًا أَكْثَرَ مِنْ شَعْبَانَ، فَإِنَّهُ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّه
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম শাবান মাসের চেয়ে অধিক রোজা অন্য কোন মাসে রাখতেননা, এমনকি তিনি পুরো শাবান মাস রোজা রাখতেন।
[সহিহ বুখারী, হাদীস নং-১৯৭0, সহীহ মুসলিম, কিতাবুস সিয়াম, হাদীস নং-১১৫৭, নাসাঈ আস সুনানুল কুবরা-২১৭৯, নাসাঈ আস সুনানুল কুবরা-২৫০০, সহীহ ইবনে হিববান-৩৬৩৭]
হাদীস শরীফে আরও ইরশাদ হয়েছে-
رَجَبُ شَهْرُ اللَّهِ وَشَعْبَانُ شَهْرِي وَرَمَضَانُ شَهْرُ أُمَّتِي
রজব আল্লাহর মাস,শাবান আমার মাস আর রমজান আমার উম্মতের মাস।
[ফিরদাউসুল আখবার, যাহাভী তারিখুল ইসলাম-২৬১, শওকানী ফাওআয়িদুল মাজমুয়া'ত-২২১, কানযুল উম্মাল-৩৫১৬৪, সাখাভী আল মাকাসিদুল হাসানাহ-৫১০]
আরও ইরশাদ হয়-
شعبان شهري ورمضان شهر أمتي
শা'বান আমার মাস আর রমযান আমার উম্মতের মাস।
[নুজহাতুল মাজালিস ওয়া মুনতাখাবুন নাফাইস, বাব,ফাদলু শ'বান ওয়া ফাদলু সালাতুত তাসবীহ, ১:১৪৬/১:১৬১]
শবে বরাত এমনি এক বরকতময় রজনী। শরীয়ত সম্মত এই রজনী সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকা সত্বেও তা নিয়ে কিছু লোক বর্তমানে একে ভিত্তিহীন বলে প্রচারিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। নিম্নে এই মহিমান্বিত রজনী সম্পর্কে শরীয়ত সম্মত আলোচনা করা হল-
শবে বরাতঃ
শব শব্দটি ফার্সি,অর্থ রাত।আর বরাত শব্দের অর্থ-পবিত্রতা, মুক্তি, উদ্ধার, আশ্রয়, অব্যাহতি, দায়মুক্তি, বন্টন, বরাদ্দ ইত্যাদি।সুতরাং শবে বরাত বা লায়লাতুল বরাত অর্থ বন্টন, বরাদ্দ, পবিত্রতা, নাজাত ও মুক্তির রাত। পবিত্র কোরআনে একে 'লায়লাতুল মুবারাকাহ' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছারাও এর আরও নাম পাওয়া যায় যেমন, লায়লাতুল মুবারাকাহ, লায়লাতুল বরাত, লায়লাতুল রহমত, লায়লাতুল মাগফিরাত, লায়লাতু্ত তাওবাহ ইত্যাদি।
শা'বান মাসের ১৫ তারিখ দিবাগত রাতই শবে বরাত হিসেবে পরিচিত।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাকের ইরশাদ-
حٰمٓ ﴿۱﴾ وَ الْکِتٰبِ الْمُبِیۡنِ ۙ﴿ۛ۲﴾ اِنَّا اَنۡزَلْنٰہُ فِیۡ لَیۡلَۃٍ مُّبٰرَکَۃٍ اِنَّا کُنَّا مُنۡذِرِیۡنَ ﴿۳﴾ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ
হা-মীম!শপথ এই সুস্পষ্ট কিতাবের।নিশ্চই আমি সেটাকে বরকতময় রাতে অবতীর্ণ করেছি।নিশ্চই আমি সতর্ককারী।এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ কাজের ফয়সালা দেওয়া হয়।
[সূরা দুখানঃ ১, ২, ৩, ৪ পারা-২৫]
এখনে বরকতময় রাত বলতে কোন রাতকে বুঝানো হয়েছে তা নিয়ে দুটি মত রয়েছে,শবে ক্বদর আর শাবানের মধ্য রাত্রি অর্থাৎ শবে বরাত।
[তাফসীরে ইবনে কাসীর, তাফসীরে ত্ববারী জামেউল বয়ান, তাফসীরে কাশশাফ, তাফসীরে সা'লাবী, তাফসীরে সামআ'নী, তাফসীরে বগবী, তাফসীরে জালালাঈন, তাফসীরে বায়জাভী, তাফসীরে কবীর, (মাফাতিহুল গাইব (তাফসীরে রুহুল মা’আনী, যাদুল মাইসির ফি ইলমিত তাফসীর, তাফসীরে ক্বুরতুবী, তাফসীরে দুররে মানসুর, তাফসীরে নাসাফী, তাফসীরে মাজহারী, তাফসীরে ফাতহুল কাদীর, তাফসীরে সা'বী, তাফসীরে জুমাল,তাফসীরে রুহুল বয়ান, তাফসীরে নিসাপুরী, তাফসীরে ইবনে রজব, তাফসীরে কিরমানী গারায়িবুত তাফসীর, সফওাতুত তাফাসীর, আল লুবাব, তাফসীরে মাদারিক, তাফসীরে মাওয়ার্দি, আবী সাউদ]
আল্লামা শিহাবুদ্দীন আলুসী রহঃ তার তাফসীর গ্রন্থ রূহুল মা'য়ানী তে উল্লেখ করেন-
قال عكرمة. وجماعة: هي ليلة النصف من شعبان. وتسمى ليلة الرحمة والليلة المباركة وليلة الصك وليلة البراءة، ووجه تسميتها بالأخيرين أن البندار إذا استوفى الخراج من أهله كتب لهم البراءة والصك كذلك أن الله عزّ وجلّ يكتب لعباده المؤمنين البراءة والصك في هذه الليلة.
ইকরামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও একদল মুফাসসিরগনের মতে, লায়লাতুম মুবারাকাহ হল শা'বান মাসের মধ্য রাত। একে রহমত ও মুক্তির রাত বলা হয়। যেমন খাজনা ও যাকাত আদায়কারী খাজনা ও যাকাত প্রাপ্তির পর দাতাকে মুক্তি সনদ বা রশীদ দেয়, অনুরূপ এ রাতে যারা ইবাদত বান্দেগীতে রাত যাপন করে তাদেরকে মুক্তি সনদ দেয়া হয়। তাই এ রাতকে লায়লাতুল বারাআ'ত বা লায়লাতুস সাক (চেক) বলা হয়।
[তাফসীরে রূহুল মা'আনী, সুরা দুখান, ১৮:৪২৩/১৩:১১০]
আল্লামা জারুল্লাহ যামাখশারী রহঃ বলেন-
وقيل: ليلة النصف من شعبان، ولها أربعة أسماء: الليلة المباركة، وليلة البراءة، وليلة الصكّ، وليلة الرحمة
অন্য মতে লায়লাতুম মুবারাকাহ হল শ'বান মাসের মধ্য রাত। এর চারটি নাম পাওয়া যায়, লায়লাতুল মুবারাকাহ (বরকতের রজনী), লায়লাতুল বারাআহ (ভাগ্য/কল্যাণের রজনী), লায়লাতুস সাক্ক (বন্টন/বাজেটের রজনী), লায়লাতুর রাহমাহ (অনুগ্রহের রজনী)।
[তাফসীরে কাশশাফ, সুরা দুখান,৪:২৬৯]
অনুরূপ বর্ণনা তাফসীরে ক্বুরতুবী তে পাওয়া যায়।
ষষ্ঠ শতাব্দীর মুজাদ্দীদ আল্লামা ফখরুদ্দীন রাযী রহঃ বলেন-
وَقَالَ عِكْرِمَةُ وَطَائِفَةٌ آخَرُونَ: إِنَّهَا لَيْلَةُ الْبَرَاءَةِ، وَهِيَ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ
ইকরামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও একদল মুফাসসিরগনের মতে, লায়লাতুম মুবারাকাহ হল লায়লাতু বরাত অর্থাৎ শা'বান মাসের মধ্য রাত।
[তাফসীরে কবীর মাফাতিহুল গায়ব, সুরা দুখান ২৭:৬৫২]
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর শিস্য ও স্বাধীনকৃত গোলাম হযরত ইকরামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
(আয়াতে বর্ণিত) লাইলাতুম মুবারাকা” হল শা’বান মাসের মধ্য রাত্রি। এ রাতে আল্লাহ পাক হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালামকে প্রথম আকাশে (দুনিয়া সংলগ্ন আকাশ) প্রেরণ করেন। তিনি প্রথম আকাশের ফেরেশতাদের কাছে পূর্ণ কোরআন একেবারে লিপিব্ধ করে দিয়েছেন। এই রাতকে মুবারক রাত নামকরণনের কারণ হল-এ রাতে অনেক কল্যাণ ও বরকত রয়েছে। এ রাতে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং দোয়া কবুল হয়।
[তাফসীরে কাশফুল আসরার ৯:৭৪]
ইকরামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, শাবান মাসের মাঝামাঝি রাতে (১৫ই শাবান রাতে) সারা বছরের কার্যক্রমের ফয়সালা করে দিয়া হয়। জীবিতদেরকে পৃথকভাবে লিখে দিয়া হয় মৃতদের থেকে। এ ফায়সালার কোন পরিবর্তন করা হয় না। বাগবী লিখেছেন, মোহাম্মাদ ইবন মাইসারা আখফাশ বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেছেন- শাবান মাসে পরবর্তি শাবান পর্যন্ত মৃত্যুর ফায়সালা করে দিয়া হয়। এমনকি ঐ সকল শিশুর নামও পৃথক করা হয়, যাদের পিতা বিয়ে করে ১৫ শাবানের পরে। আর যে সব শিশু জন্মগ্রহণ করে সে সময়ে। আবার মৃত্যু বরণও করে ঐ বৎসরে।
আবুজ জোহার বর্ণনায় এসেছে, হযরত ইবন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, অর্ধ শাবানের রাতে (শবে বরাতে) আল্লাহ তা’আলা সব কিছুই মিমাংসা করে দেন এবং রামযানের কদর রাত্রিতে সেই মিমাংসা দিয়া হয় মিমাংসা বাস্তবায়নকারীদের হাতে।
[তাফসীর মাযহারী ১০:৫১৯]
২| ২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
মিলটন বলেছেন: আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দিক, যেন আমরা সঠিক ভাবে ধর্ম পালন করতে পারি। আমরা ভালোটা ছেড়ে খারাপটা ধরছি। আর যারা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ইসলামকে বিশ্লেষন করছে আমরা তাদেরকেও গালিগালাজ করছি। ধর্ম পালন করি বলি কখনও মনের মধ্যে অহংবোধ আনার যাবে না।
আপনার পোষ্টে কিঞ্চিত অহংবোধের ছায়া দেখছি। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
তোমোদাচি বলেছেন: ইবাদত নিয়ে বাড়াবাড়ি এবং একদম ইবাদত ছেড়ে দেওয়া কোনটায় সমর্থন যোগ্য নয়।
আমি ইসলাম বোদ্ধা নই তবে এখানে প্রায় ৪/৫ মুসলিম দেশের মানুষ আছে, আমাদের উপমহাদেশ বাদে অন্য কাওকে শবেবরাত উপলক্ষে আলাদা ইবাদত করতে দেখি না!