নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নকে পাথেয় ভাবি।

অলওয়েজ ড্রিম

"Only He Who Can See The Invisible Can Do The Impossible" Frank Gain আমার ইমেইল ঠিকানাঃ [email protected]

অলওয়েজ ড্রিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছন্দের ক্লাস: যারা কবিতার ছন্দ শিখতে চান তাদের জন্য অবশ্য পাঠ্য - ২

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

কলাবৃত্ত

যারা আগের ক্লাসে গরহাজির ছিলেন।প্রথমে সেখান হাজিরা দিয়ে আসেন। বুঝতে সুবিধা হবে।

এই রীতির ছন্দে প্রতি মুক্তদলই হ্রস্বদল। অর্থাৎ এক কলা মাত্রা। অন্যদিকে প্রতি রুদ্ধদলই এই রীতিতে প্রসারিত হয়। সুতরাং প্রতি রুদ্ধদলই দীর্ঘদল, অর্থাৎ দুই কলা মাত্রা। সংক্ষেপে –

মুক্তদল = ১ মাত্রা

রুদ্ধদল = ২ মাত্রা।

উদাহরণঃ অন্যদিকে = অন্+ন+দি+কে = ২+১+১+১ = ৫ মাত্রা

যুক্তাক্ষর = যুক্+তাক্+ক্ষর্ = ২+২+২ = ৬ মাত্রা



কলাবৃত্ত ছন্দে আরেকভাবে আমরা মাত্রা হিসাব করতে পারি।

প্রতি অক্ষর = ১ মাত্রা

প্রতি যুক্তাক্ষর = ২ মাত্রা

উদাহরণঃ অন্যদিকে = ১+২+১+১ = ৫ মাত্রা

যুক্তাক্ষর = ১+২+২+১ = ৬ মাত্রা

তবে শর্ত এই যুক্তাক্ষরটি শব্দের মধ্যে কিংবা শেষে থাকা চাই। এবং তার পূর্বের বর্ণটি হস্ বিহীন হওয়া চাই।

শব্দের যুক্তাক্ষরটি শব্দের মধ্যে কিংবা শেষে থাকা সত্ত্বেও যুক্তাক্ষর দু’মাত্রার মূল্য পায় না যদি সেই যুক্তাক্ষরটির পূর্ববর্তী বর্ণটি হয় হস্ বর্ণ। যেমন – ট্রান্ স্লেশন। এক্ষেত্রে স্ল যুক্তাক্ষরটি শব্দের মধ্যে – যেহেতু তার পূর্ববর্তী বর্ণটি হস্ বর্ণ তাই দু মাত্রার মূল্য পাচ্ছে না। সংশ্লেষ ও তাই; সংশ্লেষ= সঙ্ +শ্লে+ষ= ২+১+১= ৪ মাত্রা

কিন্তু আশ্লেষ = আ+শ্লে+ষ =১+২+১= ৪ মাত্রা (অক্ষরের হিসাবে)

আশ্ + লেষ্ = ২+২= ৪ মাত্রা (দলের হিসাবে)



** যুক্তস্বরঃ ঐ ঔ শব্দের যেখানেই থাকুক দু মাত্রা।

** ব্যাতিক্রমঃ শব্দের আদিতে যুক্তস্বর থাকলে এবং তার ঠিক পরেই যুক্তব্যঞ্জন থাকলে তারা দুয়ে মিলে ২+২ = ৪ মাত্রার মূল্য পায় না।

দৈন্যকে কেন আর সৈন্যে সাজাও

চৈত্রে মৈত্রী চায় পাষণ্ডেরাও। (নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী)

কলাবৃত্তের নিয়মানুযায়ী দৈন্য সৈন্যে চৈত্রে মৈত্রী শব্দগুলি চার মাত্রার হওয়া উচিত, কিন্তু কেউই তারা এখানে ৩ মাত্রার বেশি মূল্য পাচ্ছে না।

রৌদ্র, বৌদ্ধ, ঔদ্ধত্য ইত্যাদিতেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। এই নিয়মে চৈত্র আর চৈতী একই মাত্রামূল্য পায়। চৈত্র=চৈৎ+র=২+১= ৩ মাত্রা আর চৈতী=চৈ/চোই+তী= ২+১ = ৩ মাত্রা

** আসেন এবার একটু চিন্তার সুযোগ করে দেইঃ চৈত্র=চ+ইৎ+র=১+২+১= ৪ মাত্রা

দৈন্য = দ+ইন্+ন= ১+২+১= ৪ মাত্রা। উচ্চারণের নমনীয়তার সুযোগ নিয়ে আমরা কি এভাবে দল বিভাজন দেখিয়ে মাত্রা বিশ্লেষণ করতে পারি?

উত্তরঃ কলাবৃত্তের ঝোঁক যেহেতু বিশ্লেষের দিকে, প্রসারণের দিকে, ভাঙার দিকে সেহেতু কবি তার স্বাধীনতা উপভোগ করতে গিয়ে এভাবে বিশ্লেষণ করে যদি সুবিধা পান তবে তাই সই।

দলবৃত্তে আমরা দেখেছি প্রতি পর্বে ৪-মাত্রার চাল। কিন্তু কলাবৃত্তের চাল মোট চার রকমেরঃ- ৪-মাত্রার চাল, ৫-মাত্রার চাল, ৬-মাত্রার চাল, ৭-মাত্রার চাল।



৪-মাত্রা চালের উদাহরণঃ

১)

কল্লোলে/ কোলাহলে/ জাগে এক/ ধ্বনি,

অন্ধের/ কণ্ঠের/ গান আগ/মনী। (আগমনী # চিত্রবিচিত্র- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

২)

সুন্দরী/ তুমি শুক/তারা

সুদূর শৈল শিখ/রান্তে (শৈল-কে ভেঙে দেখানো গেল না, কারণ শৈ= শই্)

শর্বরী/ যবে হবে/ সারা

দর্শন/ দিয়ো দিগ/ভ্রান্তে। (রবীন্দ্রনাথ)

৩)

পূর্ণিমা/ রাত্রের/ জ্যোৎস্না ধা/রায়

সান্ধ্য ব/সুন্ধরা তন্দ্রা হা/রায়।

*জ্যোত্+স্না = ২+১, স্না এর পূর্ববর্তী বর্ণটি হস্ বর্ণ তাই স্না দু মাত্রার মূল্য পাচ্ছে না। তন্দ্রার বেলাও একই কথা প্রযোজ্য।

৪)

যেখানে সে বুড়ো বট

নামায়ে দিয়াছে জট

ঝিল্লি ডাকিছে দিনে দুপুরে,

যেখানে বনের কাছে

বনদেবতারা নাচে

চাঁদনিতে রুনুঝুনু নূপুরে। (ঘুমচোর # শিশু - রবীন্দ্রনাথ)



৫-মাত্রার চালের উদাহরণঃ

১)

কোথায় কবে/ আছিলে জাগি, ৫+৫

বিরহ তব/ কাহার লাগি, ৫+৫

কোন সে তব/ প্রিয়া ৫+ভাংগা পর্ব ২

ইন্দ্র তুমি/, তোমার শচী, ৫+৫

জানি তাহারে/ তুলেছ রচি ৫+৫

আপন মায়া/ দিয়া। ৫+ভাংগা পর্ব ২ (পাঠিকা # বীথিকা - রবীন্দ্রনাথ)

২)

আসতে-যেতে এখনো তুলি চোখ,

রেলিঙে আর দেখি না নীল শাড়ি।

কোথায় যেন জমেছে কিছু শোক,

ভেঙেছ খেলা সহসা দিয়ে আড়ি।

এখন সব স্তব্ধ নিরালোক;

অন্ধকারে ঘুমিয়ে আছে বাড়ি। (নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী)



৫ মাত্রা মূলত ৩+২ তবে একান্তই যদি দরকার হয় ২+৩ করতে পারেন। কিন্তু শর্ত একটাই - আপনার কান সায় দিচ্ছে কিনা।

একটি দৃষ্টান্তঃ বাতাসে যেন/ চাপা বেদনা/ লাগে। উচ্চারণের সময় ৩+২ এর আবেদনেই চাপা বেদনা চাপাবে দনা হয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের ছন্দের চাল ঠিক থাকার সুযোগ পাচ্ছে।

মনে রাখতে হবে সব হিসাবের বড় হিসাব হচ্ছে আপনার কানের হিসাব। তাই বলে আপনি যদি ভুল উচ্চারণ করেন তার দায় কিন্তু আমি নেব না।



৬-মাত্রার চালের উদাহরণঃ

১)

চক্ষে তোমার কিছু বা করুণা ভাসে,

ওষ্ঠে তোমার কিছু কৌতুক হাসে,

মৌনে তোমার কিছু লাগে মৃদু সুর,

আলো-আঁধারের বন্ধনে আমি বাঁধা,

আশা-নিরাশায় হৃদয়ে নিত্য ধাঁধা,

সঙ্গ যা পাই তারি মাঝে রহে দূর। (ঈষৎ দয়া # বীথিকা - রবীন্দ্রনাথ)



২)

বিদেশকে আজ ডাকো রৌদ্রের ভোজে

মুঠো মুঠো দাও কোষাগার-ভরা সোনা,

প্রান্তর বন ঝলমল করে রোদে

কি মধুর আহা রৌদ্রে প্রহর গোনা। (রৌদ্রের গান # ঘুম নেই – সুকান্ত)



৭-মাত্রার চালের উদাহরণঃ

১)

বন্ধু বুঝি নাই/ তুমি যে নিষ্ঠুর

পাথর ভেঙে যায়/ যাক

যতই কাছে থাক/ নাগাল বহুদূর

সাত-সমুদ্রের/ ফাঁক।

পাষাণ ভেঙে যায়/ পাহাড় টলে যায়

পাথরাধিক তুমি/ স্থির

ছুটছে মহাকাল/ সময় চলে যায়

নিখোঁজ সাগরের/ তীর।

স্বপ্ন বুকে নিয়ে/ আকুল ভেসে চলি

কোথায় সৈকত/-ভূমি

ব্যাকুল ভালবাসা/ একাকী বেসে চলি

এ আমার গোঁয়ার্তুমি।

২)

কে যেন বারেবারে তার

পুরনো নাম ধরে ডাকে,

বেড়ায় পায়ে-পায়ে, আর

কাঁধের পরে হাত রাখে।

অথচ খাঁখাঁ চারিধার,

ঠাণ্ডা চাঁদ চেয়ে থাকে;

ও-হাতখানি তবে কার,

কে তবে ডাক দিল তাকে? (নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী)



৭ মাত্রা = ৩+৪ তবে ৪+৩ ও হবে যদি কান সায় দেয়।



কলাবৃত্তের পাঠ এখানেই শেষ। তবে আবারও শিক্ষার্থীদেরকে মনে করিয়ে দেয়া কর্তব্য মনেকরছি যে ছন্দের বিচারে কানই সুপ্রিম কোর্ট।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

আরজু পনি বলেছেন:

B:-)

উফফফ ! ভয়ে ভয়ে অনুসরণে নিলাম পরবর্তী ক্লাসগুলো যেন মিস না হয় !:#P

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: পৃথিবীর সহজতম বিষয়গুলোর একটি হচ্ছে এই ছন্দ। ভয়ের কিছু নেই। প্রথম ক্লাসটা আগে করে আসেন, সব কিছু পানির মতো সহজ মনে হবে কিংবা শরবতের মতো মিষ্টি।
ধন্যবাদ আপনাকে।

বিঃদ্রঃ আমি কিন্তু আপনার পোস্টগুলো মাঝেমাঝেই পড়ি।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: আমারে দিয়া হইবো না..... /:) /:)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: তাহলে কবিতা লেখাও আপনাকে দিয়ে হবে না। ছন্দ কঠিন কিছু নয়। শুধু একটু মনোযোগী পাঠের প্রয়োজন।হাতে তো আপনার এখন অনেক সময় একটু চেষ্টা করেন।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

বৃতি বলেছেন: হাজিরা এখানেও দিয়ে গেলাম । সময় নিয়ে পড়ব । +++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: !!!

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

নিয়মিত হলাম ++++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: কিন্তু সিরিজটি মনেহয় নিয়মিত পোস্ট করতে পারব না। আজ যাত্রাবাড়ি থেকে উত্তরায় নিজের ডেরায় ফিরে যাচ্ছি। গত দুদিন খালার বাসার কম্পিউটার ব্যবহার করে পোস্ট দুটি দিলাম। নিজেরটা নষ্ট।

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১০

আমিনুর রহমান বলেছেন:



হাজিরা দিয়ে গেলাম +++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনার হাজিরা খাতায় তুলে নিলাম।

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭

আরজু পনি বলেছেন:

আচ্ছা একটু পরেই ব্লগ আউট হয়ে যাব তো...পরের বার লগ ইন করে ইনশাহআল্লাহ প্রথম পর্বটা পড়ে ফেলবো । :D

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আরজু পনি আপু বোধ করি কবি হয়ে যাচ্ছেন। ভাল। আপনার লেখা পড়ে এখন কবিতা লেখায় স্তফা দিতে মন চাইছে। পোস্টে +

৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৬

বালক৪২০ বলেছেন: কবি হওয়া কঠিন কাজ পড়ে বুঝলাম।১/গদ্য কবিতা লিখতে কোন ছন্দের প্রয়োজন?২/কেউ যদি কোন ছন্দ না মেনে/না জেনে কবিতা লিখে সেটা কি কবিতা বলা যাবে?৪/
কবিতা লিখতে গেলে কি গ্রামার মানতেই হবে?৫/গ্রামার না মেনে লিখলে কি বড় কবি হওয়া যায় না?










৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২

সুমন কর বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট, প্রিয়তে নিলাম।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৭

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
চমৎকার পোষ্টটি প্রিয়তে নিলাম।
শুভকামনা আপনার জন্যে..............

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় সোনালী ডানার চিল। এই সিরিজের প্রথম লেখাটি ছিল দলবৃত্ত নিয়ে। আশা করি সেটাও পড়ে দেখেছেন। আর পরের লেখাটি থাকবে মিশ্রবৃত্ত নিয়ে। সময় ও সুযোগের অভাবে পোস্ট দিতে পারছি না।

ভাল থাকবেন। আর বেশি বেশি স্বপ্ন দেখবেন। স্বপ্নই সম্ভাবনা।

১১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

রানার ব্লগ বলেছেন: এত্ত কিছু মেনে যদি ছড়া লিখতে বসি , তবে আর ছড়া লেখা হবে না , যা হবে তার মাথা মুন্ডু কিছুই বুজবোনা , তাই ভাই আমি নাই এই ছড়ার ক্লাসে। সুকুমার রায় মনে হয় না এত্ত ভেবে কিছু লিখেছেন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: এতকিছু ভেবে কেউ লেখে না। আপনি যদি জানেন তবে ভিতর থেকে আপনা আপনি চলে আসবে। না জানলে নির্ভুল ছন্দে লেখা কাকতালীয় মাত্র।

চিকিৎসক হতে চাইলে আপনাকেতো চিকিৎসা বিদ্যা অর্জন করতেই হবে নইলে আপনি হাতুড়ে হবেন নিশ্চিত। প্রথম পর্বটা দুবার পড়ে নেবেন তাহলে কঠিন লাগবে না। আর প্রথম পর্ব না পড়ে দ্বিতীয় পর্ব বোঝা যাবে না।

ধন্যবাদ।

১২| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

বর্ণহীণ বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ছন্দের প্রতি আপনার আগ্রহ দেখে খুশি হলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.