![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ষণ সাম্প্রতিক কালে অনেক বেড়ে গেছে ।দেশে মনে হয় রেপের মহোৎসব চলছে । এসব নিয়ে অনেক লেখালেখি, আলোচনা সমালোচনা, প্রতিবাদ হচ্ছে ।
আমার লেখার বিষয় এটা না । আমার লেখার বিষয় হল ধর্ষণ পরবর্তী কিছু বিষয়।
গতকালের প্রথম আলোর খবরটি দেখুন ।
লিংক
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার নন্দলালপুর এলাকায় ধর্ষণের শিকার তরুণী গত রোববার রাতে কন্যাসন্তান প্রসব করেছেন। গত বছরের ৪ মে নিজ বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হন সোমা (ছদ্মনাম) নামের ওই তরুণী। ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস চৌধুরীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সোমার মা বাদী হয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।
সোমার পরিবারের অভিযোগ, ইলিয়াস রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না। এদিকে অভিযুক্ত ইলিয়াস চৌধুরী তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সোমাকে আইনি সহায়তা প্রদানকারী মৌচাক মহিলা সমাজকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জাহানারা বেগম টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, রোববার রাতে পাগলার নন্দলালপুরে তাঁদের বাড়িতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কন্যাসন্তান প্রসব করেছেন সোমা। বর্তমানে মা ও সন্তান দুজনই শারীরিকভাবে দুর্বল অবস্থায় আছে। প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে তাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা হচ্ছে না।
সোমার মায়ের অভিযোগ, পুলিশ ধর্ষক ইলিয়াছ চৌধুরীকে এখনো গ্রেপ্তার না করায় তিনি ও তাঁর ভাই ইসহাক সোমা ও তাঁর নবজাতককে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি ইলিয়াস ও তাঁর বড় ভাই ইসহাক দুজনই ফতুল্লায় রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের অনুগত হিসেবে পরিচিত। অনুসন্ধানে জানা গেছে, আসামি ইলিয়াস চৌধুরীর বিরুদ্ধে পাগলা এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, জমি দখল, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় ভয়ে কেউ তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকার তরুণী, গৃহবধূদের উত্ত্যক্ত করাসহ নির্যাতনের আরও অনেক অভিযোগ আছে।
ইলিয়াস চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বলা হয়, প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে ইলিয়াস চৌধুরী সোমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। ২০১২ সালের ৪ মে রাত নয়টায় ইলিয়াস ওই বাড়িতে ঢোকেন। সোমা তখন রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। ইলিয়াস ঘরে ঢুকে লাইটের সুইচ বন্ধ করে দেন। সোমা রান্নাঘর থেকে ঘরে ঢুকে লাইট বন্ধ দেখে ভয় পেয়ে যান। ইলিয়াস তখন সোমার মুখ চেপে ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেন। হুমকি ও ভয় দেখানোর কারণে তিনি তাঁর মাকে ঘটনাটি জানাননি। একদিন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ইলিয়াস তাঁকে দেখতে আসেন এবং তাঁর মায়ের সামনেই দেড় শ টাকা দেন ডাক্তার দেখানোর জন্য। মেয়ের প্রতি সন্দেহ জাগলে এবার মুখ খোলেন মা। একপর্যায়ে তিনি মাকে সব ঘটনা খুলে বলেন এবং জানান ধর্ষণের পর ইলিয়াস তাঁকে বিয়ে করবেন বলে পবিত্র কোরআন ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। সব ঘটনা জানার পর ইলিয়াসকে সোমাদের বাড়িতে ডেকে পাঠালে তিনি আসেননি। এরপর ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর ইলিয়াস সোমাদের বাসায় এসে গর্ভপাত করানোর জন্য পাঁচ হাজার টাকা জোর করে দিয়ে চলে যান। ইতিমধ্যে গাইনি চিকিৎসক জানান, সোমা ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এবং গর্ভপাত করালে তাঁর মৃত্যু হতে পারে। এরপর তাঁর মা ইলিয়াসের পরিবারকে বিষয়টি জানান। তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন, বিয়ে করে সোমাকে ঘরে তুলবেন ইলিয়াস। এরপর বিভিন্ন অজুহাতে তাঁরা সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। একসময় ইলিয়াসের পরিবার সালাহউদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে আপসের প্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় ইলিয়াস ও তাঁর পরিবার সোমা ও তাঁর মা সম্পর্কে এলাকায় নানা কুৎসা রটতে শুরু করে। ইলিয়াসের সহযোগী সালাহউদ্দিন ও রাজু সোমার বাড়িতে গিয়ে তাঁদের খুন করার হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন এবং থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার দাবি করেন, আসামি ইলিয়াসকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। ইলিয়াস চৌধুরীর মুঠোফোনে (০১৭১০৯১১৩৬৯) যোগাযোগ করা হলে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগকারী পরিবারটিকে তিনি চিনলেও কখনো তাদের বাড়িতে যাননি। তিনি এখন আদালত থেকে জামিনের চেষ্টা করছেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ সারাহ বেগম কবরী বলেন, ‘পুলিশ এখনো কেন আসামিকে গ্রেপ্তার করছে না, তা বোধগম্য নয়।’
ধরা যাক , একটি মেয়ে ধর্ষণের ফলে প্রেগন্যান্ট হল ।
কিছু প্রশ্ন...............
১।প্রেগন্যান্ট হলেই কি তা একজন নারীর মাঝে মাতৃত্ববোধ তৈরী করে ?
যিনি রেপের ফলে পিতৃপরিচয়হীন শিশু জন্ম দিলেন , তিনি কি ঐ শিশুটিকে তার নিজের সন্তানের মতই আদর দিয়ে মানুষ করবেন না ?
২। যিনি স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম দিলেন , তিনি কি রেপকে মেনে নিলেন না?
৩ । যিনি স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম দিলেন , তিনি তো পিতৃপরিচয় চান , ধর্ষণের শাস্তি নয় ।। তার মানে কি যা হয়েছে হয়েছেই, এখন মেনে নেওয়াই ভাল , এমন একটা মনোভাব নিলেন না ?
আমার মূল কথা হল, কোন নারী কোন অবস্থাতেই ধর্ষণ মেনে নিতে পারে না । কেন তিনি এটার একটি পরিণত রূপ দিতে চাইবেন ?
যিনি দশ মাস ধরে গর্ভ ধারণ করে শিশুর জন্ম দিলেন , মাতৃত্বের আনন্দে আটখানা হলেন , তিনি কি প্রকারান্তরে রেপকে মেনে নিলেন না ?
শিশুটি নিস্পাপ , এটা সঠিক । ।এমন যদি হয়, তাহলে তো যে কোন ভাবেই প্রেগন্যান্ট হলেই নারী তা এক সময় তা মেনে নেবে ।কিন্তু তা তো হবার কথা নয় , উচিতও নয় ।
সন্তান হলে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে, ধর্ষক বিয়ে করে তাকে স্বীকৃতি দেবে এটা কি সবসময় সম্ভব ?
এই আশায় অনিশ্চিত ভবিষৎতের দিকে কেন নারী পা বাড়াবে?
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৭
প্রমিথিয়া নাজ বলেছেন: এবার বাবা কর্তৃক মেয়ে ধর্ষণ Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৯
টাইটান ১ বলেছেন: ভালো বলেছেন। আমি একমত।