লুকোনই থাক

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:১২

রিত্মিকা,
আমার কল্পনার নায়িকা।

সে অসম্ভব সুদর্শনা, আনত নয়না, দীর্ঘ কালো কেশ সম্বলিত। তার উন্নত ললাট, মনোহরিনি আঁখিযুগল, বাঁশি ন্যায় নাসিকা, হালকা টোল পরা গাল, কমলার কোয়ার ন্যায় অধরযুগল, শুভ্র কায়া আমাকে মুগ্ধতার পরবশে প্রতি সেকেন্ড সেকেন্ডে ছুয়ে যায়।

তাকে আমি প্রথম দেখেছিলাম আমাদের ডিপার্টমেন্ট এ ভর্তির দিন। প্রথম দেখায় হালকা করে ক্রাশ খেয়েছিলাম কিন্তু অনেকদিন তার দেখা না পাওয়ায় ক্রাশ এর রেশ অলরেডি কেটে যাওয়ার অবস্থা।

প্রতিটাদিন ভাবি যে, কোনও স্বপ্নপূরীর স্বপ্নকুমারী চোখে চোখ রেখে হাতে হাত রেখে ভালবাসার দু লাইন কবিতা শোনাবে। আর অল্প কথাতেই কিশোরি চাঞ্চলতায় হেসে উঠবে, আর আমি তার আক্কেল দাঁত খোজায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠবো। কিন্তু রিত্মিকার মনে হয়না আক্কেল দাঁত আছে।

অতঃপর সে আমায় পুনঃমুগ্ধ এর ষড়যন্ত্র করতে ক্লাস করতে আসলো। আড়চোখে কতবার যে তাকে দেখেছি সেটা তো আমার পাশের বন্ধুও টের পায়নি, সে টের পাবে কিভাবে? মনের ভেতরে তাকে নিয়ে তিলে তিলে গড়া স্বপ্নগুলো যে শুধুই স্বপ্ন, বাস্তব হয়ে প্রকাশ না পাক সেগুলো; আমার মুখ থেকেও যে নিঃসৃত হয়নি কোনওদিন তা।

হ্যা তাকে আমি ভালবাসি। আমি তার বন্ধু বৈ আর কিছুই নই। কিন্তু সে আমার চোখে, স্বপ্নের রাজকন্যা। সব কথা, সব স্বপ্ন পুষে রেখেছি হৃদয়ের গভীরে। অপ্রকাশিত রেখেছি সব; হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে, প্রিয় মানুষটির কাছে কেউই হেয় হতে চায়না। আমি কোনওদিন বলবনা তাকে যে, রিত্মিকা আমি যে তোমায় ভালবাসি। কেননা সেই মূহুর্তের অবহেলা আর তাচ্ছিল্যের অট্টহাসি আমার বুকে সইবেনা, শেলসম হয়ে বিঁধবে বারবার।

কিছু ভালবাসা অপ্রকাশিতই থাকুক কেবল আমার ডায়েরির পৃষ্ঠায় লুকিয়ে থাক। তবুও ভয় করে ডায়েরি টা এই বুঝি কেউ পড়ে ফেললো, তাহলে তো গাজিনি মুভির কাহিনি হয়ে যাবে। আর প্রকাশিত হয়ে যাবে আমার লুকানো ভালবাসা আর পোষা কিছু প্রেম।

২ টি +০/-০