![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৈয়দপুরের ঘটনা নিয়ে শতাব্দীর নিকৃষ্ট প্রতিবেদন তৈরি করেছিল ফুলতলিঃ
১৯৭৮ ইং সালে ফুলতলি-সায়দা কওমি ও তাবলীগীদের ওহহাবি কাফের গালি দিবে না বলে ক্ষমা চেয়েছিল,আদালতে বন্ড দিয়েছিল। কিন্তু জাহিল তো জাহিল!" ফুলতলি তদের বিভিন্ন মাহফিলে আবার গালাগাল শুরু করিল।এরপর যেদিন ফুলতলি সৈয়দপুর গ্রামের কয়েকজন যুবকের হাতে হামলার ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে এলাকার মুরব্বিরা কিছুই জানতেন না। আর এরা কোন কওমি মাদ্রাসার উস্তাদ বা ছাত্রও ছিলেন না। কিন্তু ফুলতলি মিথ্যা বলেছিল।
ফুলতলি ঐ ব্যক্তি, যে উলামায়ে দেওবন্দিদের সবসময় কাফের বলে গালি দিত। সে হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবি (রহঃ)কে নাম ধরে গালি দিত। যা আমি নিজে শুনেছি। যে ব্যক্তি সবসময় মিথ্যা বলিত। যে কোরআনুল করিমকে মাখলুক বলিত। যারা পবিত্র কালেমা'র দাওয়াত দেয়ার কারণে যে কাফের বলে ফতোয়া দিয়েছিল, সে নাকি নবী (সঃ)কে স্বপ্নে দেখিত! সৈয়দপুরের ঘটনার দিন নাকি রাসূল (সঃ) স্বয়ং হাজির হয়ে তাকে বাঁচিয়েছিলেন? সে সৈয়দপুরের ভদ্রলোকদের উপর মিথ্যারোপ করেছিল। শেষ পর্যন্ত একথাও বলেছিল,তাকে নাকি পেসাব খাওয়ানো হয়েছিল!!? দেখুন ফুলতলি ছিল তার ভাষায় মুশরিক। তার বড় ছেলে কি বলে শুনিঃ "দুশমনেরা আঘাতের উপর আঘাত করতে
থাকে।
আল্লাহর কুদরতে তবুও আমরা হুশহারা
হইনি। হুজুর পাক (সা) কে
কায়মনোবাক্যে ডাকতে থাকি।
ছাহেব বলেন,বাবারা!
সবর কর,যদি আমরা পানির পিপাসায়
মারা যাই তা হলে হাশরের ময়দানে
দরবারে আকদ্দসে আশ্রয় পাব। রক্তে
রঙিন অবস্থায় পড়ে আছি যালিমদের
যুলুম চলতেছে।
ছাহেব কিবলাহ (রহ হঠাৎ দাড়িয়ে
গেলেন আর বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ,
আমার বাচ্চাদেরকে নিয়ে নিরাশ্রয়
ময়দানে আপনার মুহব্বতে জান কুরবান
দিতাছি এবং বললেন,বাবারা !
তোমরা কোন চিন্তা কর না। দয়াল নবী
রাহমাতুল্লীল আলামিন আমাদের
দেখছেন। ছাহেব কিবলাহ (রহ আবার
বললেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ আমার
বাচ্চাদেরকে নিয়ে বেপানায় আছি।
তখন চেয়ে দেখি চাদরের আকৃতিতে
সবুজ রঙের এক আবর এসে আমাদের উপর
আবরন দান করেছে। এ আবরের আলোর
ভেতরে গোলাকার অন্য এক
আলোকপিন্ড রয়েছে। উজ্জ্বল আলোর
মধ্যখানে দৃষ্টিগোচর হল নূরে মুজাসসাম
মুহাম্মদ মুস্তফা (সা) এর চেহারা মুবারক।
অন্তরে পরম প্রশান্তি পেলাম। তখন
ছাহেব কিবলাহ (রহ বললেন,চিন্তা
করো না,তারা আর আমাদের মারতে
পারবে না। আল্লাহর হাবিব আমাদের
দেখছেন। পরে ওহাবি যালিমরা
ছাহেব কিবলাহর উপর হাত সরিয়ে
আমাকে মাটিতে ফেলে দেয় ও
আমার দুপা টেনে নিয়ে দূরে নিয়ে
যায় এবং যতচ্ছভাবে মারতে থাকে ও
বলে "মিলাদ ও দোয়াল্লিন"পড়ার কাজ
আজ্ শেষ। যত সময় হুশ থাকে বলতে থাকি
পড়বো এবং ইয়া রাসুলউল্লাহ বলতে
থাকি।
তখন আমার পিটেএ উপর দুই ব্যক্তি উঠে
আঘাত করতে থাকে ও বলে-আজ ইয়া
নবি সালামু বলার সাধ মিটিয়ে
দিতাম,আমি প্রায় বেহুশ হালতে পড়তে
থাকি।
পানির পিপাসায় কলজে ফেটে
যাচ্ছে,তখন বলি তোমরা তো মানুষ
আমাকে এক কাতরা পানি দাও।
তাতে এরা আমাকে অশ্লীল ভাষায়
গালি দেয়। এ অবস্থায় যালিমদের
একজন বলে"চল এর কাম শেষ,এখন
ফুলতলিরে বস্তাবন্দি করে মাটির
নিচে চাপা দিতে হবে। তখন হাত
দিয়ে একজনের পা ধরে বলি-মিলাদ
পড়ার কারনে তোমার মনে কোন দু:খ
তাখলে তোমরা তাকে প্রানে
মারবে না,আমাকে মেরে ফেল তার
বদলে।
তখন আমাকে পায়ে ধরে টেনে নিয়ে
খালের কাদার মধ্যে ফেলে দেয় ও
মুখে মাটি দিয়ে মুখ বন্ধ করে কাদার
মধ্যে কোমর পযন্ত গেড়ে ফেলে আমার
আর হুশ থাকে না।
পরে জানতে পারি,ইতিমধ্যে
শাহারপাড়ার লোকজন এসে ছাহেব
কিবলাহ ও আহতদের নিয়ে
শাহারপাড়ায় ফিরে যান এবং ওহাবী
দুশমনেরা আমাদেরকে মেরে
ফেলেছে ভেবে চলে যায়।"
এরপর বিদআতিরা মামলাও করেছিল। কওমি মাদ্রাসা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। সৈয়দপুর বাসীকে জাতির চোখে চির ঘৃণিত বানানোর অপচেষ্টা করেছিল, কিন্তু আল্লাহ তা'লা সৈয়দপুরের মর্যাদা অনেকগুণ বাড়িয়ে দিলেন। আর ফুলতলিকে চির ঘৃণিত ও লাঞ্চিত করিলেন।
©somewhere in net ltd.