![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আনন্দধারা। লিখতে ভালবাসি। ভালবাসি অনলাইনে ঘুরে বেড়াতে।
৪৫ এর উপরের পুরুষ মানুষগুলোর মধ্যেই বিকৃত রুচিবোধের জন্ম নেয়, সবাই না, কিন্তু যারা চরিত্রহীন তারাই এই কাজ করে। তাদের স্বীকার হয় অল্প বয়সী মেয়েরা। অনলাইনে এক জরীপে দেখেছি ( আমার পরিচিত এক সাইবার ক্যাফেতে ) ৪৫ এর উপরের বয়সী পুরুষগুলো পর্ন সাইট এর নিয়মিত কাস্টমার। তারা ওপেনলি সেক্সচুয়াল সাইট ব্রাউজ করে যাচ্ছে ! তাদের ঘরে যে বয়সী মেয়ে আছে, পর্ণ সাইটগুলোতে সেই বয়সী মেয়েদের খোলা শরীর দেখে রোমাঞ্চিত হচ্ছে !
ডেটিং সাইটগুলোর ইউজার কে জানেন? এইসব বেশি বয়সী মানুষগুলো । শুনলে অনেকে অবাক হবেন যে, অনেক নামী-দামী মানুষ এই সব সাইটের মাধ্যমে নিজেদের বেড পার্টনার খুঁজে করে নেয়, কেউ তাদের সাথে ঘন্টা হিসাবে সময় কাটায়, কেউ সাপ্তাহিক, কেউবা স্কাইপিতে সেক্স ভিডিও কল, কেউবা হলিডে যাপন। আর এইসব ওয়েব সাইটগুলো মিলিয়ন ডলার সেই সব দেশের সরকারকে টেক্স দিয়ে থাকে। এইসব সাইট চলেই বয়স্ক মানুষের ক্রেডিট কার্ড দ্বারা।
পক্ষান্তরে যারা অল্প বয়সী ছেলে তাদেরকে দোষারূপ করা হয় তারা নাকি নেট এ বসে এইসব দেখে। কিন্তু বাস্তবে বেশি বয়সী মানুষগুলোই এইসব কাজ করে সবচেয়ে বেশি। তারা নিজেরা যেমন, অন্যকে মনেও করে সেইরকম। একেই বলে উদুর পিন্ডি বুদুর ঘাড়ে।
মার্কেট বা রাস্তার ভীড়ে তারা সুযোগ খুঁজতে থাকে কিভাবে মেয়েদের গায়ে হাত দেয়া যায়। অল্পবয়সী ছেলেরা সেই তুলনায় অনেক শালীন হয়। আসলে জীবনের অনেক কিছুর স্বাদ ওই বদ লোকগুলো পেয়েছে তো, তাই তারা মাঝে সবকিছু থেকে আগ্রহ হারিয়ে, অশ্লীলতার মাঝে সাময়িক সুখ খুঁজে নেয়। আমার মতে এসব হল মানুষিক বিকারগ্রস্থ মানুষ।
কিন্তু দোষ তো মেয়েদের তাই না? কেন তারা রাস্তায় যায়, কেন তারা ভীড়ের মাঝে যায়? আপনি কি করবেন? মেয়েটাকে বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দিবেন, আর লোকটিকে একটু বকা দিবেন, বা ২/৪ টা চড় থাপ্পড় দিয়ে ছেড়ে দিবেন। কারণ হিসাবে দেখাবেন বেশি বাড়াবাড়ি করলে মেয়েটার বদনাম হবে। এর পরিনামে কি হয়? একটু পর বা দু’দিন পর সেই লোক অন্য এলাকায় যেয়ে আবার সেই কাজ করে। কারণ এসব এদের বদ নেশা।
আমার মতে এসব লোককে ধরে জনসম্মুখে বেঁধে রেখে তার চোখের সামনে তার মা, বোন, বউ, মেয়েকে ঠিক ওই কাজ করা যা ওই লোকটা করেছে। জানি এটা সম্ভব না, কারন সাধারন মানুষের মাঝে অন্তত মানুষত্ব্য বোধটুকু আছে। সেই ক্ষেত্রেও বদ লোকগুলো ফায়দা লুটে।
মেয়েদেরকে বলছিঃ তোমরা চুপ করে থেকেই তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছো। যে জিনিস তুমি রক্ষা করতে পারো না তা নিয়ে তুমি সবার সামনে যাও কেন? হুম, হতে পারে সে তোমার উপর উড়ে এসে জুড়ে বসেছে, তাই বলে কি তুমি তাকে পাশ কাটাবে? সে তোমার বুকে হাত দিয়েছে, তোমার হাত কোথায় ছিল? তুমি তার পুরুষাঙ্গে আঘাত করলে না কেন? এটাই হবে তোমার একমাত্র প্রতিবাদ। মানুষ তোমাকে বাজে/খারাপ মেয়ে বলবে এই ভয় পাচ্ছ? মানুষ যখন শোনবে সে তোমার বুকে হাত দিয়েছল তখন মুখ টিপে হাসবে না? মনে রাখবে সত্যিকার মানুষ তোমাকেই সাপোর্ট করবে, হাসবে বা বাজে কথা বলবে বদ লোকগুলোই।
এবার আসল কথায় আসি। নীতিকথা আমরা কত বলি, কিন্তু আমরা যে নীতিহীন সমাজের বাসিন্দা সেই সত্য মেনে নিতে আমরা নারাজ। সুতরাং আমাদের মুখে সমাজ সংস্করণের বুলি খুবই বেমানান। তবে আমি মনে করি আত্ম-সংস্করণ আমরা চাইলেই করতে পারি। নিজের প্রোটেকশন নিজেকেই দিতে হবে।
~~ আনন্দধারা
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮
আনন্দ ধারা বলেছেন: আমি যা দেখেছি তাই লিখেছি। আর আমার লেখার শুরুতেই আমি বলে দিয়েছি সবাই না।
"৪৫ এর উপরের পুরুষ মানুষগুলোর মধ্যেই বিকৃত রুচিবোধের জন্ম নেয়, সবাই না, কিন্তু যারা চরিত্রহীন তারাই এই কাজ করে।"
আপনার বয়স ৫০ এর বেশি তাতে কি? আমি কি বলেছি আপনি সেইটাইপের? সব কিছু ভালভাবে না যেনে নিজের গায়ে মেখে নেয়াটা ও হুট করে একটা মন্তব্য করাটা একধরনের মানুষিক অসুস্থতা। যারা নিজেরা হীনমন্যতায় ভোগে তারা এই কাজ করে।
বাধ্য হলাম আপনাকে কঠিন কিন্তু সত্য কথা বলতে। সেই জন্য আমি দুঃখিত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমার বয়স ৫০ বছর থেকে বেশী।
আপনি যা লিখেছেন, উহা ব্লা ব্লা ব্লা