![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ হয়ে জন্মে যখন ফেলেছি, তাই নিরুপায় হয়ে মৃত্যুকে বরন করতেই হবে। পৃথিবীতে এসেছিলাম একা, জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে চলতে হয় একা, মরতেও হবে একা। তাই তো নিজের খুশি মতো বাচবার চেষ্টা করে চলেছি, আনন্দের সাথে। জন্ম নেবার সময় মাকে কষ্ট দিয়ে ছিলাম আর কিছু অক্ষমতার জন্য চলার পথে ইচ্ছে না থাকা সত্বেও কষ্ট দিয়েছি ভালোলাগা মানুষগুলোকে। তাই হয়তো পৃথিবীটা ছাড়বার সময় এদেরকেই আবার কষ্ট দিতে হবে ! তাই তো কেবল ভালোলাগার- ভালোবাসার এই মানুষগুলোকে গুরুত্ব দেই। সমাজ নামক জঞ্জালটাকে এড়িয়ে চলি আর প্রতিটা নিঃশ্বাসের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই সৃষ্টিকর্তাকে।
পৃথিবীতে আমি বোধ করি এমন একজন মানুষ -যার দেনা-পাওনার হিসাবটা কেবলই গোলমেলে হয়ে যাচ্ছে। যতই ভাবি, এবার বুঝি একটা সমীকরন দাড় করাতে পারবো- এবার বুঝি সহজ হয়ে যাবে আমার জীবন নদীর এই যাত্রা।
আমার ভালোবাসার মানুষটা বোধ হয়, জানো না- আমি তাকে কত ভালোবাসি? আর তার মনে হয় নিজের ব্যাপারেও কমই ধারনা আছে- তাই তো সে জানোনা- সে আমাকে কতটা ভালোবাসে। কিন্তু আমি জানি, তাই হয়তো আমার মৃত্যুকে এতটুকু আফসোশ নেই। বরং ভয় আছে- পৃথিবীর সব ভালোবাসা, সব আনন্দ আমার পাওয়া হয়ে গেছে, তবে কি কেবল কষ্টগুলো কেবল পাওনা হয়ে আছে আমার জন্য?
মাঝে মাঝে মনে হয়- সে বুঝি তার জীবনের সব কষ্টগুলো ভোগ করে ফেলেছো আমার কাছে থাকবার সময়টাতে। তাই কেবল আনন্দগুলো পরে আছে, যখন আমি থাকবোনা তখনকার জন্য। তাই যেন হয়। আমার পৃথিবীর সব আনন্দ তাকে ঘিরে আর আমার দুঃখগুলো একার। আর তার কষ্টগুলোর সাথী আমি, আনন্দগুলো অন্যকারোর সাথে। যেখানে আমার উপস্থিতি নেই।
মানুষ কেবল তার আনন্দগুলোকে বারবার স্মরণ করতে চায়, স্মরনে রাখে। কষ্টগুলোকে কেবলই মুছে ফেলতে চায়। আমি যেন তার কষ্টের সাথী হয়েই থাকি- যাকে মুছে ফেলার জন্য থাকবে তার চেষ্টা। আর সে থাকবে আমার আনন্দের মাঝে, যাকে আমি চাইলেও মুছতে পারবোনা, চাইবোনা মুছতে। চাইবোনা আমার চোখের আড়াল করতে একবারের জন্যেও।
তাইতো, বিধাতাকে খুব বলতে ইচ্ছে করে- আমার খুব দীর্ঘজীবনের দরকার নাই। আমি কেবল একটা সকাল দেখতে চাই- যার শুরু হবে তোমাকে দেখে।আমার চাওয়াটা কি খুব বেশি? হ্যা আমি জানি এটা কতো দামী। আমি জানি, তার মূল্য কতো। তবে এটা হবে কেবল আমার জন্য।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:১৯
আনন্দক্ষন বলেছেন: কাব্যময় হয়েছে কিনা তা তো জানি না, এসব কেবলই একান্ত আমার নিজের কথা, যা বলতে পারিনা - বলা হয়ে ওঠেনা।
একটা সময় ছিল, যখন চাইতাম একটা জীবন যার প্রতিটা সকাল শুরু হবে তার সাথে, তার ঘুমন্ত মুখটা দেখে আর রাতটা শুরু হবে তার হাতে হাত রেখে। বিগত কয়েকটা মাস কেমন করে যেন আমার মাঝে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে- মনে হয় আমার সেই প্রতীক্ষার সকাল কি কেবল স্বপ্নেই যাবে?
হ্যা, আপনার সাথে আমার একটা বিশ্বাস মিলে গেল- আমিও বিশ্বাস করি- মানুষ যখন মন থেকে কোন কিছুর জন্য প্রার্থনা করে, বিধাতা তার প্রত্যাশা পূরন করে দেন।
ধন্যবাদ, আমার অনুভূতিগুলোকে ছুয়ে দেখবার জন্য। শুভ কামনা রইলো ।
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫২
রবিউল ৮১ বলেছেন: নিচের কবিতাটি ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুকে কে লিখা তার প্রেমিকার কবিতা।কবিতাটি ওই মেয়ের ডায়রী থেকে নেয়া।বন্ধুকে ওই মেয়ের আবেগ অনুভূতি নিয়ে লেখা ওই ডায়রী পড়ার সুযোগ বন্ধুটি আমাকে দিয়ে ছিল।মেয়ের তখন সে মাত্র ১০ শ্রেনীতে পড়ত।১৯৯৯ সালের কথা।ওর সাথে বন্ধু বিয়ে হয়নি।বন্ধু আমার মেয়েটির শোকে বেলজিয়ামে দিন পার করছে।অথচ একটা সময় মেয়েটি প্রতিদিন বন্ধুকে একবার না দেখে থাকতে পারতো না।আপনার লিখাটা পড়ে কেন জানি আমার সে বন্ধুটির প্রেমিকার ডায়রির কথা গুলোই মনে পড়ছে।
অতৃপ্ত বাসনা
---৩২২৯১
বেনারশীর লাল পাড়ের আড়ালে
নিজেকে ক্ষণে ক্ষণে শুধু সাজিয়েই যাই
কখনো নববধু রুপে
কখনও কপট রাগে
কখনো চিরাচরিত সেই অভিমানীনীর ছায়ায়
অথবা লজ্জার শ্রোতধারায়।
আমার এই সাজের সপ্নে আমিই নায়িকা
ভাগ বাসানোর কেউ নেই।
কিন্তু তবুও আমি অতৃপ্ত
আমার নতুন বসনে,নতুন ভূষনে
কেমন যেন অষ্পষ্টতার ছায়া
বোধহয় কোথাও ফাক রয়ে গেছে
শুধু মনে হয়-
দুরে যেন আরো ভাল সাজ আমার প্রতীক্ষা করছে
তাই ভয় হয়।
পথ ভুলে যদি তোমাকে এড়িয়ে যাই
আর এই ভয়ই হয়তো আমার অতৃপ্ততা
তবু আমি সপ্ন দেখে যাই-
তোমার বধু হবার
তোমার সংগীনী হবার
তবে সে দিন বোধ হয় খুব বেশী দূরে নয়
যেদিন আর কল্পনার আয়নায় নয়
বাস্তবের আয়নায় দেখতে পাব নিজেকে
কোন এক নতুন সাজে
তখনই বুঝতে পারব-
বাস্তবের সাথে কল্পনার মিল কতটুকু-
আর তা এখন শুধু-
“সময়ের আপেক্ষা”।
(রাত ১টা ৪০ মিঃ)
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৮
আনন্দক্ষন বলেছেন: আমাদের সবার অনুভুতিই কম-বেশী এক রকম।হয়তও তাই আমার এই লেখাটা আপনার সেই বন্ধুর কথান মনে করিয়া দিয়েছে।
শুভকামনা রইল আপনার, এই কবিতার কবি এবং আপনার বন্ধুর জন্য।
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২৪
রুরালমারকেিটং বলেছেন: সব মানুষের কল্পনাগুলো কি এক?
ভালবাসা হ্য়তো রয়ে গেছে নাগাল এর বাইরে..কাছে এসে ও দুরে..হয়তো হবে এই কল্পনার শেষ...........।
১১ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫২
আনন্দক্ষন বলেছেন: কল্পনাগুলো এক রকম হয়না, কেননা আমাদের কল্পনাগুলো আমাদের চরিত্রের উপর নির্ভরশীল। তবে কল্পনাগুলো যেকারনে করি তা এক, সেই অনুভূতিগুলো এক।
আমর কেন জানি মনে হয়, ভালোবাসা-দুঃখ-কষ্ট, এসবই একটা শক্তির মতো। তার বহিঃপ্রকাশ কেবল ভিন্ন। তাই তো এরা আমাদের জীবনে নাগালের বাহিরেই থেকে যায়। আবার ভেবে দেখুন তো, আমাদের জীবনে একই সময়ে কেবল একজন বাস করে, দুটো শক্তি না।
আর কল্পনার যেদিন শেষ, সেদিন তো সব শেষ। .....
৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৭
হিমু্_017 বলেছেন: যা পাখি উরে যা রে
দেখলে বলে দিস তারে
আমি থাকবো বসে
তার পথ চেয়ে
এই নদীর কিনারে
১১ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৭
আনন্দক্ষন বলেছেন: বাহ্, কবিতাটা তো সুন্দর।
তবে হ্যা, আমি থাকবো বসে, কিন্তু কারোর পথ চেয়ে না, নদীর ঢেউ গুনতে। তআকে উপভোগ করতে। জীবন একটাই অরেক জনের জন্য তাকে অবহেলা করা কেন জানি মনে হয় বোকার কাজ। আর হয়তো আপনি যার জন্য এতো কৃচ্ছতা সাধন করছেন, তার আগমন আসলে তেমন বিশেষ কিছুনাই।
তাই তো কেবল Enjoy আমার লক্ষ্য।
৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৮
রুরালমারকেিটং বলেছেন: কোন একটা বই এ পড়ছিলাম "সব সুখী মানুষের সুখগুলো এক,কিন্তু দু;খী মানুষের দু:খ গুলো ভিন্ন ভিন্ন"।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫২
আনন্দক্ষন বলেছেন: হয়তোবা...।
আপনার নিকটা কেমন যেন গোলমেলে..
৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২৯
রুরালমারকেিটং বলেছেন: এটি একটি ঘটনাহুল নিক....।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১১
আনন্দক্ষন বলেছেন: তো রুরাল-মার্কেটিং কেমন চলছে? ভালো থাকবেন।
৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ২:১৭
রবিউল ৮১ বলেছেন: পূণরায় কিছু একটা লিখার আশায় ধুকেছিলাম,লিখলাম না।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:১১
আনন্দক্ষন বলেছেন: কই লিখলেন তো।
ভালো থাকুন। আর প্রার্থনা করুন সবার ভালো থাকবার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:০৬
মেহবুবা বলেছেন: কাব্যময় সবটাই ।
একটা সকাল কেন চাইছেন অমন ?
মন দিয়ে চেয়ে দেখেন পেয়ে যাবেন বাস্তবে অথবা কল্পনায় ।