নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যান্ত্রিক সব খোলা চিঠি

অপ্রয়োজনে অনেক কথা বলে যাই, কিন্তু বলা হয়না আরো অনেক বেশী কথা- অনেক আপন মানুষদেরকে। তাইতো, এই খোলা চিঠি। হয়তো কারোর চোখে পরবে কোনদিন, যখন আমি থাকবোনা.....

আনন্দক্ষন

মানুষ হয়ে জন্মে যখন ফেলেছি, তাই নিরুপায় হয়ে মৃত্যুকে বরন করতেই হবে। পৃথিবীতে এসেছিলাম একা, জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে চলতে হয় একা, মরতেও হবে একা। তাই তো নিজের খুশি মতো বাচবার চেষ্টা করে চলেছি, আনন্দের সাথে। জন্ম নেবার সময় মাকে কষ্ট দিয়ে ছিলাম আর কিছু অক্ষমতার জন্য চলার পথে ইচ্ছে না থাকা সত্বেও কষ্ট দিয়েছি ভালোলাগা মানুষগুলোকে। তাই হয়তো পৃথিবীটা ছাড়বার সময় এদেরকেই আবার কষ্ট দিতে হবে ! তাই তো কেবল ভালোলাগার- ভালোবাসার এই মানুষগুলোকে গুরুত্ব দেই। সমাজ নামক জঞ্জালটাকে এড়িয়ে চলি আর প্রতিটা নিঃশ্বাসের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই সৃষ্টিকর্তাকে।

আনন্দক্ষন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুষারের দেশে আনন্দের এক একটা দিন.................২২তম পর্ব।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৪





কোন এক একাকী বিকেলে.....ফেলে আসা সময় গুলোর সাথে, ফেলে আসা স্মৃতি জড়ানো গাছ, বেঞ্চ, সেই ল্যম্পপোষ্ট.....সব কিছুকেই যেন কোন এক বোতলে বন্দি করে রাখবার চেষ্টায়, ধরে রাখলাম ক্যমেরার আলো আধারীর খেলায়। আলাদিনের ভূতের মতো। যেন চাইলেই সামনে এসে দাড়াবে, আবার সবার অলক্ষ্যে থেকে যাবে আমার সাথে সব সময়। কিন্তু চাইলেই কি হয়? ফিরে কি পাবো এই দিন গুলোকে, ভালোবাসাগুলোকে?











বেশ কবছর আগে, এই শহরটাতে এসে ছিলাম। চলতে শুরু করেছিলাম একটা একটা করে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে। বুনে ছিলাম একটা জাল, সুতোর সাথে জড়িয়ে নতুন নতুন সম্পর্ক।



কখোনবা বাঁধণ গুলো শুরুতেই আলগা ছিল, কোন কোনটা আবার শুরুতে আলগা থাকলেও পরে জুড়ে গেছে নিজের অজান্তেই। কোনটা আবার পাতলা সূতোর হালকা জট হয়ে জড়ি্যে ছিল, বুঝতে পারিনি, নতুবা লক্ষ্য করিনি। তাই তো আমার অগোচরে কবে ফোঁসকে গেছে জানতেও পারিনি। আজ হিসাবের খাতা খুলতে বসে, মনে হলো দেনা-পাওনার হাজারো কঠিন হিসাবের পরও থেকে গেছে অনেক না মেলানো দেনা। জীবনের দাড়িপাল্লায় কৃতজ্ঞতার বোঝাটা অনেক ভারী ঠেকছে তাই।



এতোদিন কেবল মনে হতো, এই সামনে দাড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর সাথে বুঝি কোন বাঁধন নেই, আমি যেন মুক্ত। কারোর কোন দেনা আমার কাঁধে নেই। তাই তো চলতাম নিজের মতো করে, গুরুত্ব দিইনি কারোর কোন ভাবনার, পারতপক্ষে নেইনি কারোর সাহায্য। ভেবে ছিলাম, আমার বুঝি কোন পিছুটান নেই এদের প্রতি। মায়াও ছিলনা কোন। কোনদিন ভাবিনি, দিনের শেষে তুষার গলা পানি ছাড়া আমার সাথে যে কেও জড়িয়ে গিয়েছে, এসেছে আমার নীরে আমারই সাথে।



আমাকে ভুল প্রমান করলো, আমারই মনটা। আজ কেন জানি মনে হচ্ছে, ছোট্ট এই শহরটা ছাড়াও বুঝি অনেক কিছুই আমার মনে স্থান করে নিয়েছে, জড়িয়ে গেছে আমার সাথে। আমার এই দিনগুলো বুঝি এতো সুন্দর হতো না, যদিনা এই জালের একটা একটা বাঁধন একটা একটা রং নিয়ে রংধনু না বানাতো, আমার ছোট ছোট ঘটনাগুলোতে।



সব ঘটনার পেছনে পেয়ে যাই নতুন নতুন মুখ, নতুন কোন বাঁধন। কেওবা প্রদীপ হাতে আলোকিত করেছে আমার অন্ধকার পথটা, কেওবা দিনের আলোয় হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ছোট নালা পাড় হতে। কারোর অভিনয়েই হয়তো ভালো হয়ে গিয়ে ছিল, কোন মন খারাপের সন্ধ্যা। কখোনবা কষ্ট দিয়ে জাগিয়ে দিয়েছে, আমার নিজের মাঝে লুকিয়ে থাকা অজানা আমাকে, তার কাছেই আমি বেশি কৃতজ্ঞ, তার জন্যই আজ আমি জানি আমি কতটুকু পারি। তাদের জন্যই আমি জানি, আমার ক্ষমতার শেষ সীমানায়, কে দাড়িয়ে ছিল ছোট ডিঙ্গি নিয়ে আমার অপারগতার সমুদ্র পাড়ি দেবার সময়।



আজ কাটতে যেয়ে মনে হলো, অনেক বাঁধন ছিল দৃষ্টি অগোচরে। অনেক সুতো শক্ত মনে হলেও, টান দেবার আগেই ছিড়ে গেল। কোনটা আবার এমন ভাবে জড়িয়ে গেছে, খুলতে গেলে বুঝি বা আমার খুটিটাই নড়ে যায়? নানা রংয়ের এই বাঁধনগুলোই আমার জীবনটাকে করেছে, সুন্দর।



হয়তো কাগজের গায়ে কোন কালির আচড় দিয়ে কিংবা জন্মসূত্রে অধিকার প্রাপ্ত হয়ে গড়ে ওঠেনি বলেই আজ বড্ড বেশি কৃতজ্ঞ, এই তুষারের দেশে বোণা ভালোবাসার জালটা কাছে। তাই তো এতোদিন কাটতে চাইলে, মন সয় দিচ্ছিল ছিল না। কিন্তু তারপরও কাটতে শুরু করলাম একটা একটা সুতো, মুক্ত করতে শুরু করলাম নিজেকে কয়েক বছরে গড়ে তোলা জালটা থেকে।



কাটা সুতো সৃষ্টি করবে অনেক শুন্যতার, তবু থেকে যাবে অদৃশ্য বাধঁন। হয়তো এদের মনে পরবেনা , হয়তো পরবে কোন দিন আমার না থাকাতে।



নিজের হাতে গড়া, একটা একটা ইটের যে বিশাল ইমারত দাড়িয়ে ছিল এতোদিন আমার নামটা নিয়ে, আজ তার একটা একটা ইট খুলে বিলীন করে দেবার আশায় নামলাম পথে। একদিন যে পথ ছিল অচেনা, আজ তার কাছ থেকে চেনা সবকিছুকে স্মৃটির পাতায় বন্দী করে দেবার চেষ্টার শুরু।



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

রবিউল ৮১ বলেছেন: নতুন রুপে নতুন খোলসে নতুন জীবন !!!বেশ ভালোই হতো যদি পারা যেতো!!

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৬

আনন্দক্ষন বলেছেন: সব নতুনের সুন্দর হবার সম্ভাবনা যে সমান সমান অসুন্দরের সাথে। তাই তো অতীতই ভালো, তা যে রকমই হোক।

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

নাছির84 বলেছেন: অতিতের সাথে বর্তমান ভবিষ্যৎ-এর মিশ্রণ ঘটালেই মনে হয় সেরাটা পাওয়া যাবে ... কি বলেন ?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

আনন্দক্ষন বলেছেন: আপনি তো দেখি মনের কথাটাই বললেন, স্রষ্টার কাছে এটাই কেবল প্রার্থনা।

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

কেএসরথি বলেছেন: ভালো লাগল।

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

আনন্দক্ষন বলেছেন: ধন্যবাদ......ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশায়.........।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.