নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাগো নারী জাগো

অঙ্গনা

জাগো নারী জাগো বহ্নি শিখা

অঙ্গনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরিপ্রভা তাকেদা

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮

হরিপ্রভা তাকেদা কে জানতে পারি তার লেখা একটি বইপড়ে " বঙ্গ মহিলার জাপান যাত্রা" নামে। একটা ছোটবই যে কত সাধারণ অথচ আকর্ষণীয় হয় কতরকম ভাবনার জন্ম দিতে পারে, এবং আরো কত উত্তর না জানা প্রশ্ন মনে ভিড় করে সেটা এই বইটি না পড়লে বুঝতাম না ।সব সময় কি আমারা একটা উন্নত মানের সাহিত্য মান সম্পন্ন বই খুঁজি পড়ার জন্যে ? খুব ভালো লেখা কি সব সময় মনে আনন্দ দেয় ?
একটা বই সুখ পাঠ্য হয় সব সময় লিখনির গুনে নয়। ​​​​সামাজিক-সাংস্কৃতিক-ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে। হরিপ্রভা তাকেদা'র 'বঙ্গমহিলার জাপান যাত্রা' সেরকম একটি বই। মাত্র ৩৩ পৃষ্ঠার একটি বইতে হরিপ্রভা তুলে এনেছেন তার ভ্রমণ বৃত্তান্ত।

তখন এদেশ থেকে জাপানে যেতে হতো জাহাজে চেপে। এই সমুদ্রযাত্রায় সময় লেগেছিলো প্রায় মাস দেড়েক। পথে পড়েছিলো রেঙ্গুন, পেনাং, সিঙ্গাপুর, হংকং, সাংহাই। দিনলিপির আকারে হরিপ্রভা তার ভ্রমণের বর্ণনা দিয়েছেন। জাপানে পৌছে হরিপ্রভা কোবে, টোকিও, ওসাকা এমন বড় শহরগুলোতে যেমন গিয়েছিলেন তেমনি তার শ্বশুরবাড়ির গ্রামেও কাটিয়েছেন দীর্ঘসময়। সংক্ষিপ্ত বিবরণীতেই তিনি জাপানের তখনকার সমাজ, রাস্তাঘাট, ধর্ম, কৃষি, বাড়িঘর, পোশাক, খাদ্য ও মানুষ সম্পর্কে চিত্তাকর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। জাপান তখনও উন্নয়নশীল একটি দেশ। তবে সে সময়কার টোকিও শহরের একটি মেয়ে স্কুলের যে বর্ণনা তিনি দিয়েছেন তাতে বোঝা যায় জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা তখনই অনেক এগিয়ে ছিল। হরিপ্রভা লিখেছেন জাপানের মানুষ মূলত শিন্টো ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হলেও জাপানে তখন খৃষ্ট ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিলো। তার শ্বশুরের পরিবার ছিল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। বর্হিবিশ্বের সাথে তখনও পর্যন্ত জাপানীদের যোগাযোগ কমই ছিল। একজন বিদেশি ও ইন্দোজিন বা ভারতীয় এবং গৌতম বুদ্ধের দেশের মানুষ হওয়ায় হরিপ্রভা যেখানেই যেতেন সেখানেই মানুষের কৌতুহলের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যেতেন।


উইকিপিডিয়ায় যা লিখে হরিপ্রভা কে নিয়েঃ
হরিপ্রভা বসু মল্লিক প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি ১৯১২ স্বামী ওয়েমন তাকেদার সাথে জাপান যাত্রা করেন। ১৯১৫ সালে তার ভ্রমণ কাহিনী বঙ্গমহিলার জাপান যাত্রা ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি জাপানে বসবাস কালে টোকিও রেডিওতে আজাদ হিন্দ ফৌজের সংবাদ পাঠিকার দায়িত্ব পালন করেন। যুদ্ধের পর তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে বসবাস করতে থাকেন। ২০১২ সালে হরিপ্রভার প্রথম জাপান যাত্রার শতবর্ষে বাংলাদেশী চিত্রপরিচালক তানভীর মোকাম্মেল হরিপ্রভার জীবনের উপর একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন।


প্রথম জীবন
হরিপ্রভার জন্ম হয় ১৮৯০ সালে, তদানীন্তন ঢাকা জেলার খিলগাওঁ গ্রামে। হরিপ্রভার বাবা শশীভূষণ মল্লিক ছিলেন ঢাকার নববিধান ব্রাহ্মসমাজের সক্রিয় কর্মী।১৮৯২ সালে তিনি ঢাকায় নিরাশ্রয় মহিলা ও শিশুদের পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে মাতৃনিকেতন নামে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। হরিপ্রভার মা নগেন্দ্রবালা মাতৃনিকেতনের দেখাশুনো করতেন। তার শৈশবের কথা জানা যায় না। তবে শোনা যায় তিনি ইডেন স্কুলে মেট্রিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন।


ছোট থেকেই তিনি মাতৃনিকেতনের সাথে যুক্ত ছিলেন। আশ্রমে কাজ করার সুবাদে তার পরিচয় হয় জাপানি যুবক ওয়েমন তাকেদার সঙ্গে। ওয়েমন তখন ঢাকার বুলবুল সোপ ফ্যাক্টরিতে প্রধান কারিগর ছিলেন। তাদের পরিচয় ক্রমে প্রণয়ে পরিণত হয়। ১৯০৭ সালে উভয় পরিবারের সম্মতিতে নববিধান ব্রাহ্মসমাজের নবসংহিতা অনুসারে তাদের বিবাহ হয়। বিবাহের পর ওয়েমন তার শ্বশুর শশীভূষণ মল্লিকের সহযোগিতায় ঢাকা সোপ ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠা করেন। উক্ত পরিষ্ঠানের আয়ের কিয়দংশ মাতৃনিকেতনে দান করা হত। বছর খানেক পরে ঢাকা সোপ ফ্যাক্টরি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। ওয়েমন তখন ব্যবসার পাট চুকিয়ে সস্ত্রীক জাপানে প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন।

প্রথম জাপান যাত্রা
হরিপ্রভার জাপান যাত্রার সংবাদ প্রচারিত হতেই দেশে হইচই পড়ে যায়। দিনাজপুরের মহারাজা তাকেদা দম্পতির জাপান যাত্রার কথা শুনে তাদের ২৫ টাকা উপহার দেন। ঢাকাস্থিত জনৈক জাপানি ব্যবসায়ী কোহারা তাদের ৫০ টাকা উপহার দেন। ঢাকার নববিধান ব্রাহ্মসমাজের পক্ষ থেকে তাদের যাত্রার শুভকামনা করে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। ৩ নভেম্বর ১৯১২ হরিপ্রভা ও ওয়েমান ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করেন। প্রথমে নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টীমারে গোয়ালন্দ। গোয়ালন্দ থেকে ট্রেনে কলকাতা। ৫ নভেম্বর তারা কলকাতা থেকে জাহাজে করে জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারা জাপানের পোর্ট মোজিতে পৌঁছন ১৩ ডিসেম্বর। হরিপ্রভার জাপানে আগমন সংবাদ জাপানের দু'টি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়।


হরিপ্রভা তার প্রথম জাপান সফরে চার মাস কাটান। এই সময়ে তিনি শুধু তার শ্বশুরবাড়িই নয় জাপানের সমাজ ব্যবস্থাকেও খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান। তিনি জাপানের সামাজিক রীতিনীতির খুঁটিনাটি বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন ও ভারতীয় সমাজের রীতিনীতির সঙ্গে তা তুলনা করতে থাকেন। ১২ এপ্রিল ১৯১৩ তারা ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দেশে ফেরার পর তিনি 'বঙ্গমহিলার জাপান যাত্রা' নামে একটি ভ্রমণ বৃত্তান্ত লেখেন।

দ্বিতীয় জাপান যাত্রা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান সরকার ভারতে অবস্থানকারী সমস্ত জাপানি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নেয়। ১৯৪১ সালে হরিপ্রভা তার স্বামীর সাথে পাকাপাকিভাবে জাপান চলে যান। যুদ্ধকালীন সময়ে জাপানের আর্থনৈতিক সঙ্কট চলছিল। জাপানে তাদের বাসস্থান বা উপার্জন কিছুই ছিল না। এর মধ্যে ওয়েমন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই সময় হরিপ্রভার পাশে দাঁড়ান রাসবিহারী বসু। তার মাধ্যমে হরিপ্রভা নেতাজীর সাথে পরিচির হন। নেতাজী হরিপ্রভাকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেন। রাসবিহারী বসুর মধ্যস্থতায় হরিপ্রভা ১৯৪২ সালে টোকিও রেডিওতে আজাদ হিন্দ ফৌজের হয়ে বাংলায় সংবাদ পাঠিকার চাকরি পান। সেই সময় টোকিও শহরে মিত্রবাহিনীর বোমাবর্ষণ অব্যাহত ছিল। সেই পরিস্থিতে প্রতি রাতে হরিপ্রভা হেলমেট মাথায় দিয়ে টোকিও রেডিও স্টেশনে যেতেন। ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজের হয়ে বাংলায় সংবাদ পাঠ করেছিলেন।


বঙ্গমহিলার জাপানযাত্রা বইয়ের নামপত্র ১৯১৫
হরিপ্রভা তার প্রথম জাপান সফরে চার মাস জাপানে কাটিয়ে প্রত্যাবর্তনের পর এই ভ্রমণকাহিনীটি রচনা করেন। জাহাজে করে জাপানে গমন, জাপানীদের আতিথেয়তা, ভারতীয়দের নিয়ে জাপানিদের ঔৎসুক্য, জাপানের সমাজ ব্যবস্থার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বিষযয়ে আলোকপাত করে এ গ্রন্থ রচনা করেন। এ সময় জাপানের শহর কোবে, টোকিও, ওসাকা ভ্রমণের কথা ও শ্বশুরবাড়ির গ্রামে যাওয়ার বর্ণনা আছে এ গ্রন্থে। ছোট পরিসরে হলেও তিনি জাপানী সমাজ, রাস্তাঘাট, ধর্ম, কৃষি, বাড়িঘর, পোশাক, খাদ্য ও জাপানীদের চালচলনের কথা লিখেছেন হরিপ্রভা। এটিই বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম জাপান ভ্রমণকাহিনী। ১৯১৫ সালে মাতৃনিকেতনের সহায়তাকল্পে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ছিল ঢাকার মাতৃনিকেতনের কুমারী শান্তিপ্রভা মল্লিক। উয়ারীতে অবস্থিত ভারত-মহিলা প্রেসে গ্রন্থটি দেবেন্দ্রনাথ বসু কর্তৃক মুদ্রিত হয়েছিল। মূল্য রাখা হয়েছিল চার আনা। বইটির একটি মাত্র কপি লন্ডনের ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত আছে।

রচিত গ্রন্থাবলী
বঙ্গমহিলার জাপান যাত্রা
সাধ্বী জ্ঞানদেবী
আশানন্দ ব্রহ্মনন্দ কেশবচন্দ্র সেন
শেষ জীবন
যুদ্ধ শেষে ১৯৪৭ সালে হরিপ্রভা তার অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে দেশে ফেরেন। তার জন্মস্থান পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তিনি পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে বোনের বাড়িতে ওঠেন। পরের বছর তার স্বামী মারা যান। ১৯৭২ সালে কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ভাবা যায় কত আধুনিক মন মানসিকতার ছিলেন, সে হিসেবে প্রথম আধুনিক বাঙ্গালি নারী বলা চলে উনাকে। সরলতার সাথে লিখেছেন ১১০ বছর আগে। " আমার যখন বিবাহ হয়, তখন কেহ মনে করে নাই যে আমি জাপান যাইব। কাহারও ইচ্ছাও ছিল না। কিন্তু আমার বড়ই ইচ্ছা হইত আমি একবার যাই। সে ইচ্ছা স্বপ্নেই পর্য্যবসিত হইত। বিবাহের পর শ্বশুর-শ্বাশুড়ির আশীর্ব্বাদ লাভ করিতে ইচ্ছা হইত। তাঁহাদের নিকট পত্র লিখিয়া যখন তাহাদের ফটোসহ আশীর্ব্বাদ পূর্ণ একখানি পত্র পাইলাম ও তাঁহারা আমাদের দেখিবার জন্য আগ্রহান্বিত হইয়া পত্র লিখিলেন, আমার প্রাণ তখন আনন্দে ভরিয়া গেল। তাঁহাদিগকে ও তাঁদের দেশ দেখিবার আকাঙ্ক্ষা প্রাণে জাগিয়া উঠিল। ঈশ্বরেচ্ছায় আমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হইতে চলিল " ।





তথ্যসূত্রঃ Click This Link

https://bn.wikipedia.org/wiki/হরিপ্রভা_তাকেদা



মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল লাগল হরিপ্রভা তাকেদার কাহিনী পড়ে

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৬

অঙ্গনা বলেছেন: আমার অনেক ভাললাগছিল তখন । রবীন্দ্র নাথের জাপান যাবার আগে হরি প্রভা ঘুরে আসছেন ।
তাছাড়া মন মানসিকতা সেই সময় কত উন্নত ছিল ঐ পরিবারের ,
তখন উনারা কত মুক্তমনা উদার পরিবার ছিলেন।
উদ্ধার আশ্রম চালাতেন।
পরিবারের সবাই মিলে, হিন্দু সমাজ এ জন্যে উনাদের সমাজ চ্যুত করে।

ভালো থাকবেন

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: অঙ্গনা,




একটি অজানা বিষয় জানানোর জন্যে ধন্যবাদ।
বইটি আপনি কোথা থেকে পড়েছেন ? পা্ওয়া যাবে কোথায়্ও ?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১০

অঙ্গনা বলেছেন: আস সালামুআলাইকুম,
আপনাকে এই পোস্টে পেয়ে খুব ভালো লাগছে স্যার। ধন্যবাদ প্রাপ্তি তে নিজেকে আশীর্বাদ পুষ্ট মনে হচ্ছে। http://www.amarboi.com/ এ পিডি এফ আছে।
http://www.amarboi.com/2020/12/banga-mahilar-japan-yatra.html#

রকমারি তে কিনতে পাওয়া যায়।
https://www.rokomari.com/book/35168/bongomohilar-japan-zatara

আমি একজন জাপানি ভদ্র মহিলায় গলায় অডিও শুনেছিলাম, এন এইচ কে থেকে করা।

https://www3.nhk.or.jp/nhkworld/bn/ondemand/audio/bn_reading2-20190215-2/


আমাকে আপনাদের সাথে রাখবেন শুভ কামনায়।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লেখাটা ভালো লেগেছে।

হরিপ্রভার আদি নিবাস ঢাকার খিলগাঁও এলাকাতে এবং ইডেন স্কুলে পড়েছেন এটা জেনে আরও ভাল লাগলো।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৭

অঙ্গনা বলেছেন: পরিচিত এল্কার নামে রিলেট করতে সুবিধা হয়
একটা সুতায় টান লাগে , সেইটা মাটির সুতা।
আশা করছি উৎসাহ দিবেন এইভাবে।

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পোস্ট ভালো লাগলো।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৮

অঙ্গনা বলেছেন: বই টা পইড়েন।

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ব্লগে স্বাগতম। আপনার লেখার হাত বেশ চমৎকার। আশা করি ব্লগ সম্পর্কে আপনি কিছুটা হলেও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে বা ইতিমধ্যে আছে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৪

অঙ্গনা বলেছেন: এইধরনের লিখা প্রথম তো সেইজন্য আপনার ইঞ্চি দুয়েক প্রশংসায় আরও লিখতে পারবো ভরসা পেলাম। পোষ্ট দেয়ার পর কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে অনেকখানি শুধুমাত্র কোম্পানির পচারের জন্যে ১০০ টাকায় এল ই ডি লাইট পাবার মত, ক্লিন একদম ফকফকা। আর ইতমধ্যে যেটুকু আছে সেটুকু আমি সাদাসিধা ব্লগার সাদাসিধা ভাবে লিখে রাখছি। যাক আপনার এই ওয়েলকাম লেটার আর কয়েক ড্রপ প্রশংসা বাক্যে প্রমাণিত হলো আপনি আমাকে চিনেন না, তাই অস্বচ্ছ সুযোগ পাবার ধারনাটা বাতিল করতে সুবিধা হবে।

আর মডারেটর প্যানেল আমার পরিচিত কিনা ?
জি ব্লগ মাতা মডারেটর শুধু না আমি তো বাইডেন আর ট্রাম্প কে ও খুবভালোভাবে চিনি, আমার পরিচিত।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: হরিপ্রভা কত তাকেদা অনেক আধুনিক ছিলেন কতকাল আগে। ভালোলাগল লেখাটা

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৯

অঙ্গনা বলেছেন: শিক্ষা সুযোগ পরিবার থেকে আসে। আমরা সেটাকে নিজেদের চেষ্টায় শাণিত করি, চ্যারেটি বিগান্স এট হোম। তাই না আপা ?

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: স্বাগতম আপনাকে সামুতে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১২

অঙ্গনা বলেছেন: আপনাদের একজন হিসেবে গ্রহণ করাতে ব্লগিং এ আনন্দ পাচ্ছি।

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: স্বাগতম ব্লগে। নতুন ইতিহাস জানলাম। +++

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৩

অঙ্গনা বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য লিখেছেন আমার পোষ্টে।

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ওয়াও দারুণ, আপনার লেখার হাত যে অসাধারণ তা আমি আগেই জানতম। অনেক গুছিয়ে হরিপ্রভা তাকেদা'র ভ্রমণ কাহিনী ফুঁটিয়ে তুলেছেন, যাকে বলে একদম পার্ফেক্ট বুক রিভিউ।
আমি আগে ওনার নাম শুনিনি কখনো, আপনার রিভিউ পড়ে ওনার সম্পরর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। এখন যদি আমি নিজ পোস্ট নিয়ে ব্যস্থ থাকতাম তাহলে কি আর উনার সম্পর্কে জানতে পারতাম? যে কারণে আমি পোস্ট করি কম কিন্তু কমেন্ট করি বেশি। এ্যাডভেঞ্চার মুভির মত ভ্রমন রিলেটড বইও আমার ভাল লাগে, এ বইটাও একদিন ধরতে হবে।

পোস্ট করুন বেশি বেশি, আর আমি পড়তে থাকি।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৩

অঙ্গনা বলেছেন: নো নো এক্কেবারেই নো ফাঁকিবাজি জলদি লেখা শুরু করেন। আপনি এইটাকে ব্যাস্ততা বলেন আমার অবস্থা ভাবেন ? আমাকে তো আবার আমার পছন্দের ব্লগারের লেখা মন্তব্য কতক্ষণ ব্লগে একটিভ কি পড়েন ? কার লেখায় বেশি আসেন ? মন্তব্যে কি লেখন ? সব অব্জারভ করতে হয়। সাথে কতকত সিনিয়র ব্লগাররা পোষ্টে ওয়েলকাম জানাচ্ছেন উনাদের লিখায় যাবার সময় বের করতে হয়।
সোলাইমান শকুনের মত যত মোটিভেশন ই দেন না কেন নগদে আপনের পোষ্ট না পাইলে আমার লেখা নাই নাই নাই।

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ওও আচ্ছা, তাহলে এই অবস্থা!! তার ফুটপ্রিন্ট, যাবতীয় এক্টিভিটি সব আপনাকে নজড়ে রাখতে হয়? আহাঃ কষ্ট, কষ্ট।
তা এই কষ্ট আর কতদিন চলবে একটু শুনি?

বেচারা সুখনরে তাহলে শকুন বানিয়ে দিলেন!! =p~

জ্বী বুঝেছি, একদমই ফাঁকিবাজি করবো না, পোস্ট হবে সব ধামাকা, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার মাথা যে মোটা, তাই লেখার পাই না কোন আগা মাথা।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৫

অঙ্গনা বলেছেন: এক্কেবারে টেনশন নট যা আসবে তাই দেখবেন হিট হবে পটাপট।

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: ~ আর মডারেটর প্যানেল আমার পরিচিত কিনা ? জি ব্লগ মাতা মডারেটর শুধু না আমি তো বাইডেন আর ট্রাম্প কে ও খুবভালোভাবে চিনি, আমার পরিচিত।
হুম তাইতো বলি ক্যামনে কি হইল!! :)

অজানা একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৮

অঙ্গনা বলেছেন: আর মডারেটর প্যানেল আমার পরিচিত কিনা ? জি ব্লগ মাতা মডারেটর শুধু না আমি তো বাইডেন আর ট্রাম্প কে ও খুবভালোভাবে চিনি, আমার পরিচিত।
হুম তাইতো বলি ক্যামনে কি হইল!! :)


একদম আমি উনাদের সবাইকে খুব ভালো মতন চিনি
তাতে কি উনারা আমাকে চিনেন না।


আপনের ও অজানা ছিল এই বিষয় ? নাকি জুনিয়র বলে পিঠ চাপড়ে দিলেন।
ভালো থাইকেন স্যার।

১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। +

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৮

অঙ্গনা বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার।
আপনারা উৎসাহ দিলে কয়টা প্রিয় বই আছে সেগুলি নিয়া লিখব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.