![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোকাসোকা মানুষ, কঠিন কথা বুঝিনা। মৌলবাদের গুষ্ঠি কিলাই। লিখতে ভাল্লাগে তাই লিখি। যোগাযোগ: [email protected]
ধর্ষণ, তারপর ফেসবুকে-টিভিতে-পত্র-পত্রিকায় হাহাকার-চিৎকার। ধর্ষণ এখন এতটাই কমন হয়ে গেছে যে আজকাল এটা নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচিও তেমন আর হয়না। হবে কীভাবে? একটা ধর্ষণের খবর পড়তে না পড়তেই আরো গোটাকয়েক ধর্ষণ হয়ে যায়। একটা জিনিস আমাদের মেনে নিতে হবে: ধর্ষণ আজকে রাতেই বন্ধ হয়ে যাবে না। আগামীকালকেও কিছু মেয়ে ধর্ষিতা হবে, অতঃপর সমাজে অবাঞ্ছিত, পরিবারে লাঞ্ছিত হয়ে আত্মহন্তার পথ খুঁজবে। এদের প্রায় কারোরই বিয়ে হবে না, হলেও হবে নিতান্তই অযোগ্য কোনো পাত্রের সাথে। এদের অনেককেই সপরিবারে নিরুদ্দেশ হতে হবে। কেউ কেউ অবশ্য ভাগ্যবান- এতসব কিছু দেখতে হবে না ওদের; ওরা আত্মহত্যায় সফল হবে।
আমাদেরকে মানতেই হবে- ধর্ষণ নামক ব্যাধিটা আমাদের সমাজে রয়েছে, কাজেই যতদিন এর থেকে পরিত্রাণ না পাচ্ছি ততদিন আমাদেরকে ধর্ষণের সাথে বসবাস শিখে নিতে হবে। কাজেই, দু’টি কাজ অতীব প্রয়োজনীয়:
প্রথমত, ধর্ষণ ধর্ষিতার অপরাধ নয়। ধর্ষিতা নারী কোনোভাবেই পতিত নয়। সে আমাদের ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং সহযোগিতার দাবীদার। সমাজের আর দশটা নারীর মত সেও সমান সম্মান এবং মর্যাদার দাবী রাখে। এই ব্যাপারগুলো সমাজের আপামর জনসাধারণকে বারবার মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। এবং এর জন্য বোধ হয় আমাদের পুরনো বন্ধু বিটিভি’র বিকল্প নেই।
দ্বিতীয়ত, একজন নারীর প্রতি সম্ভাব্য সর্বোচ্চ নির্যাতন হলো ধর্ষণ। একজন ধর্ষিতা কোন ধরনের মানসিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যায়- সেটা একজন পুরুষ হিসেবে আমার পক্ষে অনুমান করাও অসম্ভব। আমাদের দেশের প্রতিটি থানায়, প্রতিটি গ্রামে সরকারীভাবে ধর্ষণ কাউন্সেলিং সেন্টার স্থাপন প্রয়োজন- যারা ধর্ষিতাদের কাউন্সেলিং করবে এবং তাদের পুনর্বাসনে ভূমিকা রাখবে।
০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০১
আম-আঁটির ভেঁপু বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো পোস্ট।