জীবন

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮

মাঝ রাতের পর কিছু বিবশ মুহূর্তের অবকাশ, বোধ হীন যন্ত্রণা কাতর করে তোলে প্রতিটা ক্ষণকে,
অ-বিবেচ্য দেয়াল ঘড়িটা কেবলই টিক টিক করে খুইয়ে দেয়া ক্ষণগুলির মনে মৃত্যু শঙ্কা জাগায়
শেষ ফাল্গুনের কাছে যে মিনতি কর জোড়ে পেতে দিয়েছিল মেঘের ওপর পাতা শীতল পাটিটি
সে ফাগুন খুব আগুন নিয়েই ক্ষণের তিক্ততায় বোনা শীতল পাটিটি ঝলসে দিয়েছিল ।
ঝোপের ঘন অন্ধকারের মাঝে জোনাকি গুলো হঠাৎই আলো নিভিয়ে ঘুমের ভান করতে শুরু করে সূর্যের জেগে যাবার ভয়ে
তখন অর্থহীন শব্দগুলি কলমের আঁচড়ে আলপনা হয়ে নিজেদের অস্তিত্বে নতুন শরীরের অবয়ব তৈরি করে ।
সরল রেখার মত এটেল মাটির রাস্তাটি মাঝ রাতের অন্ধকারকে দু ভাগে ছেদ করে রক্তপাত হীন আঘাতে ।
সদ্য পাকা ধানের শীষে তারাদের আলোর প্রতিফলন জমিগুলিকে আলোর আস্ত ময়দান বানিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করে দিনের আলোর বিরুদ্ধে ।
সব কিছু মিলে দেয়াল ঘড়িটা বিবশ মূহুর্তের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে চলে চক্রবৃদ্ধি হারে ।
কোন না জানা যোগ্যতায় ফেলে আসা আঁধারই সময়ের গলা চেপে ধরে বর্তমানের অংশুমান ভোর
দিন গুটি গুটি পায় সামনে আসে সময়ের সুদীর্ঘ ছায়াকে অবলম্বন করে ।
জীবনের এপারে মুখ থুবরে পড়ে থাকে যৌবন কায়া, আর ওপারে সদর্পে বিচরণ করে থুরথুরে বার্ধক্য ,
যৌবনের অচলায়তন বর্তমান বাস্তবতার ঘানি টেনে চলে অবিরাম
সেখানে ঘানির কোলে বেয়ে চুইয়ে আসে অচল সুখের ফোটা ফোটা বিবশ অনুভূতি মাখা কিছু বিশেষ ।।

০ টি +০/-০