--------------সুবিধা বঞ্চিত শিশু যারা পথে ঘুরে দিন কাটায় তাদের জন্য শুভ কামনায় -------

০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

# ঝড়-বৃষ্টির ছেলে #
ঝড় আর বৃষ্টির ছেলে ,পথে পথে জল হয়েই ঘুরে বেড়ায় ।
তাকে ঝড়ও চেনেনা বোঝেনা তারই অংশ এ জল ।
বৃষ্টির কিছু করারই নেই সেতো মিশে গেছে মাটিতে ,
জল কেবলি গড়াতে থাকে ধরনী নামের দাইমার কোলের এপাশ ওপাশ ।
দাইমায়ের নিজের পেটের ১০কুড়ি ছেলে , সে খালে জল আপদ শেওলাসম ।
প্রকৃতির নিয়মে আসেই বৈশাখ আর শ্রাবন , শুরু হয় ঝড় আর বৃষ্টির মাতম
আবারো জন্ম হয় জলের......আর এভাবেই জন্ম নেয় আরো অসংখ্য জল ।
শেকড়হীন জল ঘরছেড়ে গুটি পায় হাটতে থাকে ছড়িয়ে যায় রাজপথে।
জলের সাথে এসে জমা হয় সভ্য ফ্ল্যাট বাসার অবর্জনার পলিথিন
জলের সাথে আবর্জনার পলিথিন জমে জমে প্লাবন বানায়
পথের ম্যনহোল আটকে দিয়ে জ্যাম তৈরী করে সভ্য মহাশয়দের গাড়ীর।
কিছু মেথরের দল আসে ,এসে জল আর অবর্জনাকে কেটেকুটে
জোর করে ঢুকিয়ে দেয় ড্রেনের বড় বড় পাইপ গুলোতে ।
জল আর আবর্জনার মাথে মিশে হারিয়ে যায় নদী আর সাগরের অথই জলে।
আমরা যৌবনের মাতাল ঝড় আর বৃষ্টি দিয়ে আনা জলের পরিচয় দিতে অপারগ
তবুও হাজারো বার বলবো, অসংখ্য জল আমার-আমাদের মূহুর্তের ভাললাগার ডোবায় জন্মানো পদ্মকলি
তবুও তাদের আর কোনদিন কোন মূহুর্তে কেউ চিনিনা । না তুমি , না আমি।
সভ্যতার ইট কংক্রিটের মাঝে তৈরী হওয়া আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছি আমারি শরীরের অংশ,
আজ তাকে আমার চিনে নিতে হয়না আবর্জনার স্তুপ থেকে ।
আমি ঘেন্নায় দুর্গন্ধে নাক চেপে চোখ আধবোজা করে পার হয়ে যাই আবর্জনার স্তুপের সভ্যতার ডাস্টবিন।
হ্যা ,আমি তুমি আমরাই সৃষ্টি কর্তা প্রদত্ত পবিত্র ঝড়-বৃষ্টি, আর কিছু মহামানব রচিত সভ্য-সভ্যতা
তাই আমারা চিনিনা চিনতে চাই না আমাদের। আর কোন দিন চিনবোও না ভুলেও না।
সময় ঠিকই আসবে ,প্রকৃতি কাওকে ক্ষমা করবে না, একদিন আবর্জনা আর নোংরা জল ঠিকই আসবে শোধ তুলতে ,সেদিন বেশী দুরে নয় বন্ধুগন ।শুধু সময় আর একটা প্রবল কালবৈশাখীর............................

২ টি +১/-০