নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিক্তের বেদন

অনিন্দ নিন্দা

আমি অনিন্দ নিন্দা

অনিন্দ নিন্দা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবাকে খোলা চিঠি

৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:২৯

আমি আর সে কন্যাটি নেই মানুষ বনে গেছি ,আমি তোমার কাছ থেকে আবদার করে কিছু নেই না বহুকাল ,আমি তোমাকে দেই আমার খাওয়া থাকার বিল বাবত সামান্য কিছু । আমি ভিন্ন মানুষ,তোমার ভাড়াটে অতিথি। আমি সে বউটি নেই আমি তার জন্য রেঁধে খাবার নিয়ে মাঝ রাত অব্ধি বসে থাকি না আমি চাকুরী জীবী মানুষ , আমার সময়ের হিসেব আছে । আমি তার ভালবাসার নারীটা নেই যে ভালবাসা / দয়া পেতে বেড়ালের রূপে তার পায় পায় ঘুরে বেড়াতো ।আমি স্বতন্ত্র আত্ম সচেতন একজন মানুষ । আমি তাকে আর ভালবাসিনা, সবল ভালবাসেনা-, সবল দুর্বলকে ভালবাসার আড়ালে দয়া করে । দুর্বল সে ভালবাসার আড়ালে ভক্তি দিয়ে দয়া ভিক্ষা করে । আমি এখন তাই আর ভালবাসিনা , তাকে আশ্রয় ভেবে মাথার ওপর আশা করি না । স্বয়ং সম্পূর্ণতার বোধয় একটা স্বতন্ত্র অবয়ব আছে যা চাইলেই পানির মতে যে কোন পাত্রে ধারণ হয়ে যেতে পারে না ।######আমি কোন দিন কিছু চাইনাই আর চাইনাই বলে সেটা পাওয়ার যোগ্যতা নাই , আমি চাইনাই বলে আমি পাবার যোগ্যতা রাখি না বা তোমাদের কাছে পাও না না সেটা জানতাম না । তোমার ছেলে মেয়েকে দিচ্ছ সেটা নিয়ে আমি কিছু বলিনি । যে ঘরটায় আমি একটা মেয়ে থাকি এটা কি আদৌ কোন ঘর ? এ ঘরে কি একটা প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে থাকতে পারে । তাও আমি যেতাম না বাসা থেকে থেকে যেতাম . আমি চলে আসলাম তোমার সিংহ ছেলে যে তোমাদের করে খাওয়াবে ভবিষ্যতে মরলে মাটি দেবে । আমি তো আর দেব না তাই আমি চলে আসলাম। দোয়া করো কোনদিন যেন তোমাদের দরজা আর আমার একটা বাচ্চা তাকে তোমরা ধমকা বা , তার মামা নানা বাসায় এলে সে ইঁদুরের মত লুকানোর যায়গা খোজে এমন ও আমি চাইনাই আমি ঘরে পার্টিশন দিতে চেয়েছিলাম তোমরা দিতে দাও নাই . আমার রুম পার্টিশন দিলে তোমাদের ঘর ছোট হয়ে যেতো ।###আমি একটা বিবাহিতা মেয়ে আমাকে একটা সেপারেট রুম দিতে পার নাই , আজ তোমার ছেলে ঠিকই পর্দা দিয়ে রুম সেপারেট করে নিয়েছে তা তোমার সরানোর দরকার পরে নি । আমি যে ভয় আতঙ্ক নিয়ে বড় হয়েছি আমি চাইনা তোমাদের দয়া সমেত দেয়া সেই আতঙ্ক নিয়ে আমার ছেলে বড় হোক । দুই বছর তোমাদের বাসা ছিলাম আমার আলাদা ঘরের দরকার মনে করনাই । আজ তোমার ছেলে ঘুমলে ঘরের সবাই সামলে কথা বার্তা বল যেন তার ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে । কারণ সে তোমাদের ছেলে , সে তোমাদের র রোজগার করে খাওয়াবে । আমি খাওয়াবো না । আমার বিয়ের পরও আমার কোন ঘর দিতে পারনি । এখন তোমার মেয়ের উলঙ্গ ছবি তো দেখছ , বলেছিলা আমার বন্ধু দিসে , জেনে নিও সে ছবি কে আপলোড করেছে । সে শাওন সম্পর্কে খবর নিয়েই আমার বকন্ধু তোমার মেয়েকে ধমকেছিল যে ওই ছেলে সাথে না মেশার জন্য , আর সেটার কারণে তোমার মেয়ে আমার বাজারে বেচতে বাকি রাখে নাই । তোমার মেয়ের এবরশনের খবর ও আমাকে আমার বন্ধুই বলেছে, তোমার মেয়ে না কারণ- তোমার মেয়ে আমার চেয়ে আমার বন্ধুকেই আপন ভেবেছে । আর সে সমস্যার জন্য চিকিৎসা তাকে আমিই করিয়েছিলাম । তোমার মেয়ের মানসিক সমস্যা সারাতে আমি আমার বন্ধুটির সাথে মিশতে বলেছিলাম সত্য। তার সাথে শুতে বলিনি । ###আদতে তোমাদের কোন ভুল নাই । ভুল আমারই আমি তোমাদের যোগ্য হতে পারিনাই । ###এটা আমার প্রথমবার ঘর ছাড়া না আমি বার বার এ ঘরে এসেছি আর ঘর ছেড়েছি সহ্য করতে না পেরে ,, আমি বুঝতেই পারিনি এ ঘরে আমার কোন যায়গা নেই ।###প্রথমবার ঘর ছাড়লাম যখন তোমাদের বিয়ে দেয়া জামাই - আহাদের বাসায় আসি নিয়ে আপত্তি হল তখন . গিয়েছিলাম তানিনের বাসায় . আবার এলাম বাসা ভেঙে .. আমার ছেলে পেটে আসার পর তাও চলে গেলাম তোমাদের সমস্যা সারাতে .. আমি গাড়ী থেক নামার পর আমাকে এগিয়ে আনতে যেতে বাবার সমস্যার কারণে , আবার বছর খানেক পর এলাম আহাদ বিয়ের করল বলে যে ঝামেলা হল সেটা নিয়ে , তখনো বোঝা হয়ে গিয়েছিলাম আমি তোমাদের কাছে , তখনো তোমরা আমার দোষ দেখেছিলে আহাদের না । তোমাদের বোঝা হয়ে যাবার কারণে আবার চলে গেলাম বাদাইম্যা আহাদের সাথে । (তোমাদের তো কোন দোষ ছিল না , দোষ ছিল আমার আমি কেন আহাদকে বিয়ে করেছিলাম! আমি কি আহাদকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম না বিয়ে দেবে না বলে আমি গলায় দড়ি দিতাম বলেছিলাম?)###আবার এলাম তোমাদের কাছে ,আহাদের সংসারের প্রতি দায়িত্ব হীনতা আর লুচ্চামির চূড়ান্ত রূপ হাতে করে । আহাদকে ছেড়ে ঘরের আসবাব বেচে দিয়ে তোমাদের সাথে আজীবন থাকব বলে , সেটাও হল না , আমার ছেলে তোমাদের কেউ না বলে । আমার ছেলেকে নিয়ে তোমরা বেশ ভালই ছিলে আমার দেখা অনুযায়ী সেটা আমি ২০১৫ মার্চে জব ছাড়ার আগ অব্ধি , এর পরই কেমন জানি বদলে যেত থাকলো সব । ঋভুকে নিয়ে তোমাদের দাবা খেলার সময় হয় না , ঋভুরে নিয়ে হাটতে যাবার সময় হয়না , তোমার ভাগ্নির মেয়ে গালা গাল করলেও দোষ হয় না আমার ছেলে বেশী কথা বললে খেপে যাও। দেখছিলাম কিছু বলার ছিল না বলিও নি । ঋভুকে তোমার আদরের নাতনি ধুম ধাম মারলে তারে কিছু বলা হয় নি , যখন আমি ঋভুকে বললাম মারের বদলে মারতে তখন এটা দোষ হল ,, কি আর করা । আমার ছেলেকে পড়ানোর জন্য তোমার ছেলে মেয়েকে বেতন দিয়েও আমার ছেলের পড়া হয়নি কিচ্ছু বলিনি । বলব কি করে আমার ছেলে তোমাদের কারো কথা শোনে না (তোমাদের ভাবখানা এমন যে মিতু রাশুর চেয়ে ঋভু বড় , ওকে পড়তে বলবে আর সে বাধ্য ছেলের মত পড়তে বসবে )। আমার ছেলে বিকেলের নাস্তায় বেশী খায় সেটাও আমাকে শুনতে হয় ,, খারাপ না ভালই লেগেছে শুনতে। সেটাও ধরিনি ভেবেছিলাম বাপার বাড়ি আছি এতটা হতেই পারে , তারপর সমস্যা হল মিতুকে নিয়ে পর পর বেশ কবার প্রতিবারই দোষ হল আমার প্রথমে দোষ দিল তোমার ছেলে তারপর তুমিও দোষ দিলে আমার বন্ধুদের । কিছু বলার ছিল না , শুধু আপোষে প্রতিবাদ করলাম ।তার পর শুরু হল আমার ছেলে তোমাদের কাছে অসহ্য হয়ে গেল । তোমার ছেলে আমার ছেলেকে কম্পিউটারে বসতে দেবেনা সেটাতে পারসোনাল জিনিস থাকে বলে । তোমার ছেলের পারসোনাল জিনিস রাখার মত কত বয়েস হয়েছে ? সেখানে তোমার বড় বিবাহিতা মেয়ের পারসোনাল জিনিসের সাথে তুলনা করে পাসওয়ার্ড দিয়ে আমার ছেলেকে বসতে দাওনি কম্পিউটারে । আমার ৬ বছরের ছেলে বুঝে গিয়েছিল সেটা তার বাসা না , কেন বলতে পার ? কেন সে কথা বলতে হিসেব করে বলতে হত ? তোমার ছেলে ফেসবুকে বসে থাকলে আমর ছেলে হইচই করলে দোষ হয়? ছয় বছরের বাচ্চা কোলাহল করবে নাতো কি বুড়োরা কোলাহল করা তোমাদের নিয়ম ? আমি সেটা জানতাম না বাবা । আমার ছেলে তোমাদের ঘরের কটা জিনিস নষ্ট করেছে বা ভেঙেছে বলতে পার ? তোমার মেয়ের মাসিকের প্যডও আমি কিনে দিয়েছি .. আমি যে কাপড় পড়েছি তোমার মেয়েকেও সেটা দিয়েছি , একটা টাকা আলাদা করে রাখিনি জব ছেড়ে দেবার আগ পর্যন্ত আমার ছেলের জন্য যা কিনেছি তোমার ছেলেমেয়ের জন্যও তাই কিনেছি , তবুও আমি তোমাদের জন্য কিছুই করিনি । কোরবানির সময় টাকা শেয়ার করে কাজে আমি কতটা শেয়ার করেছি আর তোমার ছেলে কতটা শেয়ার করেছে ভেবে দেখ ? আমি তোমাদের কথা না শুনে বিয়ে করেছি , তানিনের সাথে সম্পর্ক রেখেছি সেটা দোষ মানলাম । সেটা কেন করেছি ভেবে দেখত ? বিয়ের পর জামাই মেয়ের কাছে আসবে সেটাতে কোন বাবার আপত্তি থাকে বা থাকতে পারে সেটা আমার বোধের বাইরে । তোমার এ একটা কারণে যদি বলি আমার জীবনটা আজ এ পর্যায়ে সেটা ভুল হবে বলে আমি মনে করি না । বিয়ের পর বউ ছেড়ে থাকা যায়না বলে তুমি না জানিয়ে চুরি করে হলেও শশুর বাড়ী গিয়েছ , সেটা মনে রেখ আর আমি যদি সে কারণে তোমার বন্ধুর বাসায় গিয়ে সংসার করতে শুরু করি সেটা অন্তত তোমার কাছে দোষ হবার কথা না । কারণ তুমি জান জীবন আর যৌনতার তাগিদে মানুষ কতটা বোধহীন কতটা হিংস্র হতে পারে । তোমার বাবা অঞ্জলিকে বিয়ে করার জন্য খেপেছিল ক্যান ? ইজ্জত নাপিত বাড়ির অঞ্জলির পেট নিয়ে যে গ্রামের শালিসি হয়েছিল সেটা কেন ?আমার ৬/৭ বছর বয়সের সময় তোমার চাচাত ভাই আমাকে নিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল সেটা কেন ? আনোয়ারকে চরে যে ফুপুটা সহ ঘরে আটক করেছিল সেটা কেন ? সব আমার দোষে ? রোকসানা যখন বাসায় ছিল তখন সে যে হেনেস্তা টা হয়েছিল তোমার কাছে সেটা কি আমি শিখিয়েছিলাম ? মানলাম সব দোষ আমার এত দোষের মানুষকে তুমি প্রশ্রয় দিবা ক্যান , কোন দরকার নাই । আমার পোশাক আশাক নিয়ে তোমাদের সমস্যা , হ্যা আমি তোমাদের পর্দা করা মেয়েদের মত নই যারা লুকিয়ে পর্দা সরায় । আমি পর্দা সরিয়েই চলি , আমি মুখে এক আর মনে আরেক নই ,, আমি মুখে যেটা বলি মনে সেটাই থাকে । আর সেটা যদি কেউ মানতে না পারে তাতে আমার কিছু এসে যায় না । ###তবুও বাসা ছাড়তাম না ছে এলাম আমার ছেলে তোমার ছেলেমেয়েকে ভয় পায় তোমাদের কারো হয়তো কোন দোষই নেই আমার ছেলের মানসিক সমস্যা-আমার ছেলে ভয় পায় তাই আমি আমার ছেলেকে নিয়ে চলে এলাম তোমরা তোমাদের বাকি চেলে মেয়েদের নিয়ে ভাল থেকো।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:১৬

কাশফুল মন (আহমদ) বলেছেন: অনেক মান-অবিমানে পূর্ণ,,,

২| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:০৯

ওমেরা বলেছেন: আপু এটা কি আপনার ঘটনা ? লিখাটা একটু এলোমেলো হয়েছে । ধন্যবাদ

৩| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

শূন্যনীড় বলেছেন: ভালো লিখেছেন। +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.