নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অঞ্জন ঝনঝন আমার আসল নাম না। আমি সামুর নিয়মিত ব্লগারও না। মাঝেমধ্যে ঘুরে যাই ভাল্লাগে।
ভদ্র মানুষেরা ক্যান স্ল্যাং এর ভাবানুবাদ করতে পারেন না? কোথায় বাঁধে তাদের, এটা মানতে (তারা বুঝেন যদিও) যে শব্দ নির্দোষ, প্রয়োগেই তা শালীন অথবা অশালীন হইয়া ওঠে। তারা সব কিছুর ভাবানুবাদ করতে পারেন, কিন্তু এই জায়গায় এসে কট্টরপন্থি হইয়া ওঠেন ক্যান?
মনে হয় তাদের মন মগজে এটা স্থায়ীভাবে গাঁইথা দেয়া হইছে যে, এইসব শব্দ 'ইতর শ্রেণীর' বা ছোটলোকের, এগুলা ভদ্দর লোকেরা ব্যবহার করে না। অবশ্য এখন ওয়েস্টার্ন ইনফ্লুয়েন্সে পোলাপান এফ অদ্যক্ষরে অভ্যস্থ হইয়া গ্যাছে। সেইখান থেকে 'চ' অদ্যক্ষররে গ্রহণ করাও শুরু করছে।
এটা বোঝানোর জন্যে অবশ্য ভার্সিটিতে বেশ ভালো একটা প্র্যাক্টিস হয়। 'পরিচয়পর্বে' কচি পোলাপানগুলারে 'তুই কি অমুক ভাইরে চু*স?' এবং এ টাইপের আরো অনেক কিছু জিগানো হয়, কওয়া হয়। এইখানে এই শব্দের অর্থ 'পাত্তা দেয়া'। তবে এটা আরো ইন্টেন্স। শব্দগুলা ট্যাবু হওয়ার কারণে এগুলা আরো বেশি হিট করে। পোলাপান যদিও তখন এইসবের কারণে ঝামেলায় পড়ে তবে এরকম চর্চার কারণেই অনেকেই এইসব শব্দগুলার নির্দোষ কিন্তু ইফেক্টিভ সাইড দেখতে সামর্থ্য হয়।
তারা এসব কিছুরে দৈনন্দিন এক্সপ্রেশন হিসেবে ইউজ করতে পারে। ভালোভাবে হজমও করতে পারে। এক্সপ্রেশন হিসেবে এইসব শব্দ বেশ শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কামে দেয়। আর তারা এটাও বুঝে যে সাইয়েদ জামিল বা অন্য কারো লেখায় এইসব শব্দ থাকা মানেই সেটা অশ্লীল না।
হিমালয় ভাইয়ের নামহীন দামহীন বই পড়তে গিয়া স্ল্যাং লইয়া একটু আলাপ দেইখা এইসব গ্যাঁজাইতে মন চাইলো আর কি।
২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪
অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: স্থান-কাল-পাত্রের কথা অস্বীকার তো আমি করি নাই। স্থানভেদে এ স্ল্যাং এ অশ্লীল নাও হইতে পারে সেই কথাই কইছি। পরিবারের কাছে থেইকা আমি শিখি নাই। সব পরিবারের কাছ থেকে শিখতে হয় না। পরিবার ছাড়া দুনিয়াতে আরো বড় অনেক শিক্ষক আছে। সমাজ সেটা।
২| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২২
আখেনাটেন বলেছেন: পরিবার ছাড়া দুনিয়াতে আরো বড় অনেক শিক্ষক আছে। সমাজ সেটা। -- সমাজ বড় শিক্ষক অস্বীকার করছি না। তবে মূল্যবোধ, নীতি-নৈতিকতা, সভ্যতা-ভব্যতা, শ্লীলতা এগুলো শেখার জন্য পরিবারের চেয়ে বড় কেউ নয়। আজকে সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয় বলে যে কথা বলা হচ্ছে তা এই পরিবারগুলোর দৈনদশার ফলেই।
যা খারাপ তা পরিবারেও খারাপ, সমাজেও খারাপ। আমার ব্যক্তিগত কথা বলি: ছোটকালে পরিবারের তীব্র আপত্তি থাকায় আমরা কখনই অশ্লীল গালাগালির ধারে কাছেও যেতাম না। এমনি ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে কথাবার্তাতেও। তাই বলে আমরা স্লাং ব্যবহারে থেমে ছিলাম না। আমাদের গালি ছিল, 'তুই একটা বদনা', 'তুই তালগাছ', 'তুই কুমড়া' এই জাতীয়। আপনি যেভাবে এক্সট্রিম স্ল্যাং ব্যবহার করে বন্ধুদের ডেকে নেওয়ার কথা বলেছেন। আমরা এখনও ডাকি, এই মদনাটার কথা বলিস না ইত্যাদি।
সময়ের সাথে (আপনার ভাষায় সমাজের শিক্ষতায়) কিছু অাধা-অশ্লীল শব্দও গোপনে ঢুকে পড়েছে তবে তা পারিবারিক মূল্যবোধের গণ্ডিকে ভেঙে দেয় নি। তাই যখন পাশের কোনো পরিচিতজনকে এইরকম এক্সট্রিম স্ল্যাং ব্যবহার করতে দেখি নিজেও বিব্রত বোধ করি।
তবে সময় বদলে যাচ্ছে। আমরা পশ্চিমা সভ্যতার ভালোটা নেওয়ার চেয়ে খারাপটা নেওয়াতেই বেশি অাগ্রহী। ফলে শিক্ষা-মূল্যবোধ ইত্যাদির মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধ করার চাইতে কুনীতি আর ধ্বংসের মাধ্যমেই জীবন গড়তে ছুঁটে চলেছি। আপসোস।
ভালো থাকুন।
৩| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: আমি কাউকে কোনো দিন বাজে কথা বলি। খুব রাগ হলে মনে মনে বলি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩
আখেনাটেন বলেছেন: ভদ্র মানুষেরা ক্যান স্ল্যাং এর ভাবানুবাদ করতে পারেন না? কোথায় বাঁধে তাদের, এটা মানতে (তারা বুঝেন যদিও) যে শব্দ নির্দোষ, প্রয়োগেই তা শালীন অথবা অশালীন হইয়া ওঠে। তারা সব কিছুর ভাবানুবাদ করতে পারেন, কিন্তু এই জায়গায় এসে কট্টরপন্থি হইয়া ওঠেন ক্যান? -- স্থান-কাল-পাত্র বলে একটা কথা আছে।
নিশ্চয় আপনি এই সব স্ল্যাং আপনার পরিবারের থেকে পান নি। কিংবা পরিবারের সদস্যদের উপর ব্যবহার করেন না। এক্সট্রিম স্ল্যাংগুলি এড়িয়ে যাওয়া বেটার বলে আমি মনে করি।