নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেবার মত তেমন কোন পরিচয় এখনো অর্জন করতে পারিনি। আরও কিছুদিন সময় দিন.।।

আনন্দ কুটুম

কে আমাকে ফুলের মালায় বরণ করল, আর কে আমাকে জুতার মালায় বরণ করল ! তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি যেন সব সময় সত্য দ্বারা পক্ষপাত দুষ্ট হই। এটাই নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা।

আনন্দ কুটুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিরোনামহীন.।.।।।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৯

আজ একটি ওয়ার্কশপে ছিলাম। নামঃ Investor awareness workshop . কোথায় কখন কিভাবে ইনভেস্ট করতে হবে এটাই আলোচ্য বিষয়। বক্তা বলেছেন ভাল। হিন্দি ও ইংরেজির উপর তার দক্ষতা দারুন।
তিনি মাইক্রোফোনটা হাতে নিয়েই যে কথাটি প্রথমে বললেন তা হল- আমাদের ইনভেস্টমেন্ট গাইড কে?? আমরা নানা জন নানা উত্তর দিলাম। তিনি হল ঘরের সবার উত্তরকে খারিজ করে দিয়ে এক বাক্যে বললেন- "ভগবান"।
- " জীবন কিভাবে চলবে? ভগবান জানে। ছেলে মেয়ের পড়ালেখার খরচ কিভাবে হবে? ভগবান জানে। বাড়ি কবে কিনব? ভগবান জানে। বার্ধক্যে যত্ন কে নেবে? ভগবান জানে। ভারতের ১২০ কোটি মানুষের দায়ভার কেবল ভগবানের। তিনিই সব কিছু জানেন। আমাদের ইনভেস্টমেন্টের প্রধান গাইড সে। একারনেই আজ পর্যন্ত আমাদের উন্নতি হল না"
এতগুলি মানুষের সামনে ভগবান নিয়ে ব্যাঙ্গ করার সাহস দেখে বেশ চমকালাম। ভাবুনতো "ভগবান" শব্দটা তুলে নিয়ে "আল্লাহ" আর "ভারত" শব্দটা তুলে "বাংলাদেশ" বসিয়ে দিলে ঐ বক্তার পরিনাম কি হত??? আত্ম সমালোচনা একেই বলে। "যে আত্ম সমালোচনা করে সেই সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান- আল হাদিস" । ভুলে গেলেন কি??
আমি কিছুদিন ধরেই একটি বিষয় লক্ষ করছি। গত দেড় বছরে আমি কম করে হলেও ১০০০ মানুষের সাথে খোলাখুলি কথা বলেছি। অদ্ভুত হল অধিকাংশ মানুষই জানে না তাদের জীবনের গোল কি। কিন্তু জীবন চলছেই... ভারতীয়দের একটি বড় অংশ লেবার হয়ে গড়ে উঠছে। সময়ের সাথে সাথে লেবারির ধরন হয়ত বদলেছে। কিন্তু কাজটা প্রায় একই শ্রেণীভুক্ত। এদের একটি বড় অংশের চূড়ান্ত গোল হল কোন একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে কাজ করা। বিয়ে করা। জীবন ক্ষতম।
ভারতীয় তরুণরা বেড়েই উঠছে সহজ পথে টাকা আয়ের কৌশল শিখে। এতে ভেতরে ভেতরে যে একটা বিশাল শুন্যতা তৈরি হচ্ছে সেটা এরা বুঝতে পারে কি না জানি না। কিছু আন্তর্জাতিক কোম্পানির হাতে যে সকলের জীবন, স্বপ্ন ও সুখ সমৃদ্ধি বন্ধক হয়ে যাচ্ছে এটা উপলব্ধি করতে অনেকেই অপারগ। জীবন ভাবনা থেকে শুধু টাকা উৎপাদনই এদের লক্ষ। জীবনের যে ভিন্ন মানে হতে পারে সেটা সম্পর্কে এরা প্রায় অজ্ঞ। তরুণদের কাছে সুখ সমৃদ্ধি মানেই এখন KFC, BMW, volkswagenn.. এই তরুণদের একটা বড় অংশই স্রেফ মেকানিক হিসেবে কাজ করে জীবন শেষ করে দেবে। এই সকল শিক্ষা ব্যবস্থায় হয়ত সাময়িক জীবনের নিরাপত্তা বিধান হবে। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে ফ্রাস্টেশন এসে ছেয়ে নেবে জীবন।
আজ আরো একটা বিষয় আবিস্কার করলাম। আবিস্কার টা আমি করিনি। করেছে এক বন্ধু। আমার চরিত্রের সাথে নাকি চাইনিজদের চরিত্রের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। কারন আমি নাকি মার্ক্স বাদী, লেনিন বাদী কথা বার্তা বলি। আসল কথাটা হল বাদানুবাদ সম্পর্কে আমি পুরোটাই অজ্ঞ। আমি অধিকতর উন্নততর অবস্থানকে সত্য বিবেচনা করে করে কথা বলি। এবং আমি বিশ্বাস করি কোন বাদ/ ইজমই চূড়ান্ত সত্য নয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১১

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বেশ গুছিয়ে বলেছেন, যা বলতে চেয়েছেন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.