নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মা ও মাটির প্রতি মনের টান বুঝার জন্য অন্তত একবার বিদেশ ভ্রমন করুন

এপোলো

একটি বাংলা ব্লগ পেয়ে আমি খুব খুশি।আমি সকলের সাথে বাংলায় ভাব করতে পারব।

এপোলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়ার্ক ফ্রম হোমঃ বাসায় বসে এলোমেলো চিন্তা

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৪৯



করোনার বিস্তার প্রতিরোধে আমাদের রাজ্য সরকার গত সপ্তাহ থেকে বাসায় বসে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মার্চ মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত এই নির্দেশ থাকলেও একটু আগে ইমেইল করে জানালো এপ্রিলের ২৪ তারিখ পর্যন্ত অফিসে যাওয়ার একান্তই দরকার না পড়লে বাসা থেকে কাজ করার জন্য। এক সপ্তাহ বাসা থেকে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুব অদ্ভুদ। নতুন এক জগতে পা রাখলাম যেন।

প্রথমেই বলে রাখি আমি আইটি প্রফেশনাল নই। লেখালেখিও আমার পেশা না। পুরোপুরি বাসায় থেকে সবকাজ আমার করা সম্ভব না। আমার পেশাগত কাজে ৫০ ভাগ সময় মাঠে কাটানোর দরকার পড়ে। বাকি সময় অফিসে বসে প্রয়োজনীয় কাজ করি। এখন সময়ের প্রয়োজনে বাসায় বসে থাকতে হচ্ছে। বাসায় বসে থাকতে থাকতে মাঝে মাঝে বিরক্তি আসে, আবার মাঝে মাঝে রান্নাঘরে গিয়ে খাবার খাওয়ার সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। ভাবি, যাহোক বউ আছে পাশে, ভালমন্দ খাবার তো অফিসে বসে খাওয়া যেত না।

সবচেয়ে বড় কথা চাকরি হারাইনি। যতই বিরক্তি লাগুক, কাজে মন না বসুক, কিংবা কাজের পরিবেশ না থাকুক, চাকরি টিকে আছে এর চেয়ে বড় কোন কথা হতে পারে না। টেনেসি রাজ্য সরকার এত আগে থেকে করোনার বিস্তার প্রতিহত করতে যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা প্রশংসনীয়। অনেক বেসরকারি কোম্পানি এরকম ব্যবস্থা নিতে পারছে না তাদের কাজের ধরনের কারণে। সেসব কোম্পানিকে বাধ্য হয়ে কর্মী ছাটাই করা লাগছে। সাধারণ জনগণের জন্য এটা খুবই খারাপ একটা সময়। যারা করোনাতে আক্রান্ত তারা চিন্তায় আছে যথাযথ চিকিৎসা নিয়ে। আর যারা এখনো এই রোগে আক্রান্ত হয়নি, তারা চিন্তায় আছে কখন চাকরিতে ফেরত যেতে পারবে সেটা নিয়ে। সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে। আজকে নিউইয়র্কে থাকা এক সহপাঠির সাথে কথা বললাম। তারা বাসাবন্দী দুই সপ্তাহ ধরে। কখন অবস্থা স্বাভাবিক হবে তার কোন পূর্ভাবাস দেয়া যাচ্ছে না, কখন চাকরিতে ফেরত যেতে পারবে তারও কোন ঠিকঠিকানা নাই। আমরা যারা এখানে নতুন কর্মজীবন শুরু করছি, আমাদের মত অভিবাসীদের জন্য চাকরিতে থাকা যতটা না গুরুত্বপূর্ণ বেতনের জন্য, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভিসা স্ট্যাটাস রক্ষা করার জন্য। চাকরি হারানো সবার জন্যই খারাপ, অভিবাসন প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের জন্য একটু বেশিই খারাপ।

আমেরিকার অর্থনীতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন একটা সময় যাচ্ছে এখন। মন্দা আসন্ন, এটা সবাই ধারণা করতে পারছে। কিন্তু এই অর্থনৈতিক মন্দা কতটা ভয়াবহ হবে সেটা হয়ত এখনো পুরোটা বুঝে উঠা যাচ্ছে না। অর্থনীতির ছাত্র যেহেতু আমি নই, এই বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না। তবে, এই মন্দাটা হয়ত পুরো বিশ্বের জন্য অনেক খারাপ সংবাদ নিয়ে আসবে। খেটে খাওয়া মানুষরা তো কষ্ট পাবেই, কোটিপতি ব্যবসায়ীরা যে পথে বসবে না, সেটা বলা মুশকিল।

এইসব টেনশনের মধ্যে আছে দেশের চিন্তা। পরিবার-পরিজন, দেশবাসী সবার জন্যই খারাপ লাগে। প্রবাসীদের এই আরেকটা জ্বালা। দেশে নাই দেখে দেশ নিয়ে টেনশন, আবার বিদেশে আছি বলে বিদেশ নিয়েও টেনশন। টেনশনে টেনশনে জীবন শ্যাষ!

আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:১৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শুভ কামনা আপনার জন্য। ভালো l

২৫ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

এপোলো বলেছেন: ধন্যবাদ। যেখানেই থাকুন, সাবধানে থাকুন।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সদর্থক পদক্ষেপ নিয়ে এখনো পর্যন্ত অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছেন। এই আধুনিক যুগে এসে দেশের প্রধান ব্যাক্তিকে দিতে হবে বৈজ্ঞানিক সমাধান, আসমানি সমাধান নয়।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

এপোলো বলেছেন: কথা সত্য।
চায়নারা সবকিছু আয়ত্তে নিয়ে আসল, ইটালি আর আমেরিকার সংক্রমন থেকে বুঝা যাচ্ছে দেশের প্রধান ব্যাক্তির অবৈজ্ঞানিক মনোভাব কিভাবে জনগণের দুর্ভোগ ডেকে নিয়ে আসে। এর মধ্যে আমেরিকার কমান্ডার ইন চীফ এক লাইন বেশি বুঝে বলে দিল, ম্যালেরিয়ার ওষুধ (ক্লোরোকুইন) করোনা প্রতিরোধে কাজ করে। এই দাবির কারণে বাংলাদেশে ফার্মাসিতে এই জাতীয় ওষুধ আর পাওয়া যাচ্ছে না।
দেশপ্রধানদের আরও সচেতন হওয়া উচিত এইসব ব্যাপারে।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: বহু মানুষ চাকরি হারাবে।

২৫ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

এপোলো বলেছেন: আমাদের অফিসে যারা "Essential" কাজ করে (মেইনটেনান্স, কন্সট্রাকশন) তাদেরকে বাধ্য হয়ে অফিসের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করা লাগছে। কারণ সরকারি সেবা তো বন্ধ করা যাবে না। কিন্তু বেশিরভাগ নন-এসেনশিয়াল কাজ বন্ধ হয়ে আছে। ওসব কোম্পানি হয়ত ২ সপ্তাহ তাদের কর্মচারিদের রাখবে, তারপর ছাটাই করতে বাধ্য হবে। এরকম হিসাব করে আমেরিকাতে বেকারত্বের হার ২০-৩০% এর মত হবে বলে বিভিন্ন ব্যাক্তি মত দিয়েছেন। বর্তমান <৪% এর তুলনায় এই ২০ থেকে ৩০% অনেক অনেক বেশি।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এরকম কোন এস্টিমেশন এখনো চোখে পড়েনি। শুনলাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রফেসর সংক্রমনের সংখ্যা এস্টিমেট করে এখন সরকারি-বেসরকারি ঝামেলায় পড়েছেন। এরপরে বেকারত্বের হার নিয়ে মনে হয়না রিলায়েবল কেউ কাজ শুরু করবেন। দেখা যাক, কি হয়।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৫

নায়লা যোহরা বলেছেন: ভাল বলেছেন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৪২

এপোলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.